resize_1414042198

দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : ‘সামরিক শাসন সব সময় দেশকে সঠিক পথে ফিরিয়ে নিয়ে এলেও বেসামরিক সরকারগুলো এটিকে ভিন্নপথে নিয়ে যায়। বুধবার বিবিসি উর্দূকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মুশাররফ এ মন্তব্য করেন। সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের সাবেক সামরিক স্বৈরশাসকদের প্রশংসা করেন তিনি।

‘স্বৈরশাসকরা দেশকে সঠিক পথে নিয়ে গেলেও বেসামরিক সরকার তা ধ্বংস করেছে। সাবেক এই প্রেসিডেন্টের দাবি, ‘একমাত্র সেনা শাসনের সময়ই পাকিস্তানের উন্নয়ন ঘটেছে।’

তার আমলে পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারির ঘোষণা দেয়ার ব্যাপারে দেশটির সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এটা ছিল সময়ের দাবি।’

তিনি বলেন, স্বৈরশাসকদের কারণেই এশিয়ার সব দেশের উন্নয়ন হয়েছে। দেশ নির্বাচিত সরকার চালাচ্ছে নাকি স্বৈরশাসক চালাচ্ছে সেটা নিয়ে পাকিস্তানের জনগণের মাঝে কোনো বিভেদ নেই। তারা অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি চান।

পাকিস্তানের সাবেক এই স্বৈরশাসক বলেন, ‘দেশের যদি উন্নয়ন না ঘটে; তাহলে নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং জনগণকে স্বাধীনতা দেয়ার মানে কি?’

বিবিসি উর্দূকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসক ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান ও জেনারেল জিয়াউল হকের প্রশংসা করেন পারভেজ মুশাররফ। ভূট্টোর শাসনামলকে দেশভাগের জন্য দায়ী করে তিনি বলেন, আইয়ুব দেশে উন্নয়নের রেকর্ড সৃষ্টি করেছিলেন।

জেনারেল জিয়ার শাসনামল নিয়ে বিতর্ক আছে বলে মন্তব্য করেন পারভেজ মুশাররফ। তিনি বলেন, আফগানিস্তান আক্রমণের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে আমেরিকা ও মুজাহিদিনকে সাহায্য করার জন্য সাবেক স্বৈরশাসকের সিদ্ধান্ত সঠিক পদক্ষেপ ছিল।

পারভেজ মুশাররফ ১৯৯৯ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের ব্যাপারেও কথা বলেন। ওই সময় তিনি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের কাছে থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেন। তিনি বলেন, অভূত্থান ঘটেছিল; কারণ এটা ছিল দেশের জনগণের দাবি।

বেসামরিক সরকারকে অপসারণের পাকিস্তানের নাগরিকদের হাতে সুযোগ রাখা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সংবিধানেও ভারসাম্য আনা উচিত। তিনি বলেন, নিজেকে বাঁচানোর জন্য মানুষ সেনাবাহিনীর কাছে আসে; বাঁচার জন্য মানুষ আমার কাছে এসেছিল।

‘সংবিধান রক্ষার নামে আমরা দেশকে ধ্বংস করতে পারি না। জনগণকে বাঁচাতে আমরা সংবিধানকে উপেক্ষা করতে পারি।’