Icb_Logoজেষ্ঠ্য প্রতিবেদক, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে ২০১০ সালের মহাধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পুন:অর্থায়নের ৯০০ কোটি টাকা পাওয়ার জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল ইনভেষ্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ(আইসিবি)।

অর্থাৎ আগামী মাসেই এর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কিন্তু বর্তমান বাজার পরিস্থিতি ও ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির দিক বিবেচনা করে এর মেয়াদ আরো বাড়ানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিবি। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা পুন:অর্থায়নের সুবিধা পেতে আবেদন করতে পারবেন। আইসিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় নাম থাকা বিনিয়োগকারীদের সুদ মওকুফ ও মাত্র ৯ শতাংশ সুদে ঋণ রি-সিডিউলিংয়ের সুবিধা প্রাপ্তির আবেদন করতে হবে। বিনিয়োগকারীরা স্ব-স্ব মার্চেন্ট ব্যাংক ও সিকিউরিটিজ হাউজের মাধ্যমে পুন:অর্থায়নের সুবিধা পেতে আবেদন করতে পারবেন।

আইসিবি’র একাধিক কর্মকর্তা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পুন:অর্থায়নের ৯০০ কোটি টাকা তহবিলের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭ পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে এ অর্থ বিতরণ শেষ করতে হবে। তা না হলে অবিতরণকৃত অর্থ সরকারের তহবিলে ফেরত যাবে।

প্রসঙ্গত, বিনিয়োগকারীদের পুনঃঅর্থায়ন সহায়তা তহবিলের ঋণে আকৃষ্ট করতে এর আগে ২০১৬ সালের জুনে সুদহার কমানো হয়েছে। পাশাপাশি ঋণ পরিশোধের সময় বাড়ানো হয়েছে। তবু এ তহবিলের ঋণের প্রতি বিনিয়োগকারীরা কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

তদারকি কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে একই বছরের মে মাসে পুনঃঅর্থায়ন সহায়তা তহবিলের সুদহার শতকরা দেড় পয়েন্ট কমিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে সুদহার দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ, যা আগে ছিল ৯ শতাংশ। ঋণ পরিশোধের সময়ও এক বছর বাড়িয়ে ২০১৭ সালের ৩১ সেপ্টেম্বর করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের শেয়ারবাজার ধসের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর ক্ষতিগ্র্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় বিশেষ স্কিমের ঘোষণা দেয়। ওই স্কিমের আওতায় তাদের এক বছরের মার্জিন ঋণের ৫০ শতাংশ মওকুফ এবং বাকি সুদসহ সমুদয় ঋণ তিন বছরে সমান ১২ কিস্তিতে প্রদানের সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়।

মাত্র ৯ শতাংশ সুদে ক্ষতিগ্র্রস্ত এসব বিনিয়োগকারীর পুনঃঅর্থায়ন ঋণ সহায়তা দেয়া হয়। এছাড়া আইপিওতে ক্ষতিগ্র্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ কোটা সুবিধাও দেয়া হয়।