dse lago deshprotikhonদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে থাকা চারটি খাতের অবদান কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্যমতে, আগস্ট মাসে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা প্রকৌশল, বিদ্যুত ও জ্বালানি, ওষুধ ও রসায়ন এবং বস্ত্র খাতের অবদান রয়েছে ৫৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এর আগের মাস জুলাইয়ে চারটি খাতে লেনদেনের অবদান ছিল ৫৯ দশমকি ০২ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে ২ দশমিক ০৯ শতাংশ কমেছে।

আগস্ট মাসে ডিএসইতে ২৩৪ কোটি ২৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯৮৯টি শেয়ার কেনা-বেচার মাধ্যমে মোট ৯ হাজার ৬২৯ কোটি ২৯ লাখ ৫৪ হাজার ২৫৩ টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগে জুলাই মাসে ১৭৭ কোটি ৪৫ লাখ ৩২ হাজার ৭৮৭টি শেয়ারের হাত বদলের বিনিময়ে ৬ হাজার ৫৭৩ কোটি ৬১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৮৫ টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই হিসেবে ডিএসইতে মোট লেনদেন বেড়েছে। কিন্তু খাতওয়ারী লেনদেনের তালিকায় আগের মাসের চেয়ে কমেছে।

জানা গেছে, বর্তমানে পুঁজিবাজারে প্রায় সাড়ে ৩শ’ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড ২০টি খাতে তালিকাভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে লেনদেনের শীর্ষে থাকা চার খাতে লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৪৮৩ কোটি ৪ লাখ ৭৯ হাজার ২২৪ টাকার। এর আগের মাস জুলাইয়ে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৮৭৯ কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার ৯১৩ টাকার। তবে সেই মাসে লেনদেনের শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন, প্রকৌশল এবং বিদ্যুত ও জ্বালানি এবং ব্যাংক খাত। ডিএসইর পাশাপাশি দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) খাতগুলোর লেনদেনের পরিমাণে একই অবস্থা দেখা গেছে।

ডিএসইর মাসিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই মাসে তৃতীয় স্থানে থাকা প্রকৌশল খাত আগস্ট মাসে লেনদেনের শীর্ষে উঠেছে। গত মাসে এ খাতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৮০ কোটি ৯০ লাখ ০৯ হাজার ১৬৮ টাকার। যা শতাংশের হিসেবে ১৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এর আগের মাস জুলাইয়ে এ খাতের অবদান ১৪ দশমিক ২৬ শতাংশ।

জুলাই মাসে লেনদেনের শীর্ষে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাত আগস্ট মাসে দ্বিতীয় স্থানে নেমে এসেছে। আলোচিত মাসে এ খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪০৩ কোটি ৩১ লাখ ২৯ হাজার ৭০৬ টাকা। যা শতাংশের হিসেবে ১৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এর আগের মাস জুলাইয়ে লেনদেন হয়েছিল ১৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

জুলাই মাসে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিদ্যুত ও জ্বালানি খাত ডিএসইর মোট লেনদেনে তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে। আগস্ট মাসে এ খাতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪শ’ ৩২ কোটি ৭৮ লাখ ৭৫৩ টাকার। যা শতাংশের হিসেবে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ। জুলাই মাসে এ খাতের অবদান ছিল ১৪ দশমিক ১৯ শতাংশ।

অপরদিকে জুলাই মাসে চতুর্থ স্থানে থাকা ব্যাংক খাতকে পেছনে ফেলে আগস্ট মাসে চতুর্থ স্থান দখল করেছে বস্ত্র খাত আর চতুর্থ স্থানে থাকা ব্যাংক খাত এক ধাপ নিচে নেমে এখন অবস্থান করছে পঞ্চম স্থানে।

অন্যদিকে লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা খাতগুলো হলো, বন্ড, পেপার এ্যান্ড প্রিন্টিং, পাট, মিউচুয়াল ফান্ড, ট্যানারি, সিরামিক, আইটি, ট্রাভেলস, টেলিকম ও বিমা খাতের শেয়ার। বাজারে এসব খাতের অবদান শতকরা দুই অঙ্কের কোটার নিচে অবস্থান করছে।