dse-cse-dhakaদেশ প্রতিক্ষণ, ঢা্কা: গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। ১৪ আগস্ট জন্মাষ্ঠমী এবং ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কারণে লেনদেন বন্ধ ছিল। যে কারণে গত সপ্তাহে মাত্র ৩ কার্যদিবস লেনদেন হয়। এতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। তবে তিন কার্যদিবসের লেনদেন খুব একটা সন্তোষজনক ছিল না। সামনে ঈদকে ঘিরে বাজার ঘুরে দাড়াবে। সুচক ও লেনদেনে গতি আসবে এমন প্রত্যাশা থাকলে এখনো তা পূরণ হয়নি। চলতি সপ্তাহে বাজার কেমন যায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।

সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরণের মূল্য সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেন। আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন কমার পরিমাণ ছিলো ১৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত সপ্তাহে ৩ কার্যদিবসে ২ হাজার ৪৪৬ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার। যা এর আগের সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ছিলো ৪ হাজার ৮৭৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার। ৫ কার্যদিবস হিসাবে তুলনা করলে দেখা যায়,গত সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৮০২ কোটি ৯ লাখ টাকা বা ১৬.৪৩ শতাংশ।

সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে দশমিক ৬৯ শতাংশ বা ৪০.৬৯ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক কমেছে দশমিক ৭৮ শতাংশ বা ১৬.৬২ পয়েন্ট। অপরদিকে, শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে দশমিক ৭৯ শতাংশ বা ১০.৩৬ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯০টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ২৩০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির। আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ২২৪ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার। তবে সার্বিক সূচক কমেছে দশমিক ৫৯ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৭৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭১টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৮৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির