financial lagoদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: আর্থিক খাত থেকে ধীরে ধীরে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। নানা কারনে এ খাতের উপর আগ্রহ হারিয়েছে বিনিয়োগকারীরা। রুগ্ন হয়ে পড়েছে দেশের ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক খাত। অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ।

গুটিকয়েক খাত ও গ্রাহককে ঋণের সিংহভাগ দিয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। ওই কয়েকটি খাতেই খেলাপি ঋণের পাহাড় জমেছে। মোট খেলাপি ঋণের ৫৪ শতাংশই মাত্র ৪টি খাতের। ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের ৫৮ ভাগ ভোগ করছে চারটি খাত। সেগুলো হচ্ছে: বাণিজ্যিক, বড় শিল্পপতিরা, পোশাক রপ্তানি ও বস্ত্র খাত। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

অনিয়ম দুর্নীতির কারণে ব্যাংকিং খাতে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। মাত্র কয়েকটি ব্যাংকের কাছে কেন্দ্রীভূত হয়ে আছে এসব খেলাপি ঋণ। মোট খেলাপি ঋণের ৫২ শতাংশ দেশের ৫ ব্যাংকের কাছে। অন্যদিকে শীর্ষ ১০ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মোট খেলাপি ঋণের ৬৫ শতাংশ শতাংশ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষায় খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ঋণ বিতরণের সময় আইন-কানুনগুলো যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। ব্যাংক ঋণের বড় অংশ যাতে গুটিকয়েক নির্দিষ্ট খাত ও গ্রাহকের মধ্যে কেন্দ্রীভূত না হয় সেদিক নজর রাখতে হবে। এ জন্য বড় ধরনের ঋণ না দিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের মাঝে ঋণ বিতরণ করতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার ঘোষিত উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ও সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি। করপোরেট খেলাপি সংস্কৃতি আর্থিক খাতকে যেন গ্রাস করতে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। সিস্টেমেটিক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে এমন আগ্রাসী বিনিয়োগ করা যাবে না।

ওই রিপোর্টে ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি সহনশীলতার পরীক্ষার ফল দেখানো হয়েছে। এতে দেখা যায়, বর্তমানের তুলনায় খেলাপি ঋণ বাড়লে দেশের ব্যাংকিং খাত আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী ১০ শতাংশ হারে মূলধন সংরক্ষণ করতে পারবে না।

খেলাপি ঋণ ৩ শতাংশ বাড়লে মূলধন দাঁড়াবে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং ৯ শতাংশ বাড়লে তা মাত্র ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশে নেমে আসবে। শীর্ষ ৩ ঋণগ্রহীতা ঋণ ফেরত না দিলে মূলধন সংরক্ষণ কমে দাঁড়াবে ৯ দশমিক ০৫ শতাংশ। এ ছাড়া ৭ গ্রাহক ফেরত না দিলে তা আরও কমে দাঁড়াবে ৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পর্যালোচনা তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। গত বছর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ৫৩ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ ঋণগ্রহীতা খাতগুলো হচ্ছে: বাণিজ্যিক, তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাত। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাড়ি নির্মাণে সবচেয়ে বেশি মোট ঋণের ১৭ শতাংশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে খেলাপি ঋণ ও সুশাসনের বিবেচনায় গত বছর ৭টি প্রতিষ্ঠান বিপজ্জনক তথা রেড জোনে, ২১ প্রতিষ্ঠান ইয়োলো জোনে এবং ৫টি প্রতিষ্ঠান সুবিধাজনক গ্রিন জোনে রয়েছে। আগের বছর রেড জোনে ছিল ১০টি ও ইয়োলো জোনে ১৮টি এবং গ্রিন জোনে ৪টি প্রতিষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে আল্লাহ মালিক কাজেমী বলেন, মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে হলে আর্থিক খাতের ভূমিকা থাকবে অনেক বেশি। আর্থিক খাত ২ পায়ে হাঁটছে নাকি ৪ পায়ে হাঁটছে সেটি দেখতে হবে। কোন কোন খাত বেশি ঋণ পাচ্ছে, সেখান আদায়, খেলাপি ঋণ কত, তা বিবেচনায় রাখা দরকার। অসুস্থ প্রতিযোগিতায় আগ্রাসী বিনিয়োগ করা যাবে না।

আনিস এ খান বলেন, খেলাপি ঋণ অবশ্যই কমিয়ে আনতে হবে। গুণগত ঋণ বিতরণ করে পর্যাপ্ত মূলধন নিশ্চিত এবং মুনাফা বাড়াতে হবে। ব্যাংকিং খাতকে গতিশীল ও ঝুঁকিমুক্ত করতে ক্যাশবিহীন বিকল্প লেনদেন বাড়ানো প্রয়োজন।

শেয়ারের চাহিদা কম থাকায় এক মাসের ব্যবধানে কমে গেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর। ২৩ জুলাই’ ২০১৭ হতে ২২ আগস্ট’ ২০১৭ তারিখ পর্যন্ত আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর পর্যবেক্ষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। সর্বশেষ প্রকাশিত অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা যায়, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) আর্থিক খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে বা লোকসান বেড়েছে ১১টি কোম্পানির।

এর প্রভাব দেখা গেছে চলতি মাসের শেয়ারদরের উপর। এক মাসে শেয়ারদর কমেছে ১২টি কোম্পানির। আর ১০টি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। ১ মাসের ব্যাবধানে একটি কোম্পানির শেয়ারের দর ২৩ জুলাই তারিখের সমপরিমানেই চলে এসেছে। যদিও পুরো মাস জুড়েই কোম্পানিটির শেয়ারদরে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে।

অত্যাধিক পরিচালন ব্যায়ের কারণেই আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলো দুর্দশায় পরে। এর ফলেই শেয়ারদরে নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে মত দিয়েছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক এবং প্রখ্যাত অর্থনীতিবীদ ডঃ আবু আহমেদ। তিনি বলেন, ব্যাংক ব্যবসার সাথে তুলনা করলে দেখা যাবে, আর্থিক খাতে ব্যবসা করা আসলে কতোটা কঠিন।

তাঁরা ব্যাংকের মতোই ঋণ দিয়ে থাকে। কিন্তু ব্যাংক আমানত সুবিধা পায়। আর্থিক খাতের কোন প্রতিষ্ঠান এই সুবিধা ভোগ করতে পারেনা। তাই তারল্য সংকট মেটাতে তাঁদেরকেও ব্যাংকগুলোর সরণাপন্ন হতে হয়। এর ফলে বৃদ্ধি পায় পরিচালন ব্যয় এবং কোম্পানিগুলো বাধ্য হয়, ঋণে সুদের হার বৃদ্ধি করতে। এ কারণেই এই খাতের ব্যবসার অবস্থা সুবিধার নয়।

সম্প্রতি প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এই খাতের বেহাল চিত্র ফুটে উঠার কারণেই শেয়ারদরে এই নিম্নমুখী প্রবনতা দেখা যাচ্ছে বলে মনে করেন এই বর্ষীয়ান অধ্যাপক। তিনি আরোও মনে করেন, এই ঘটনায় বোঝা যায়, বিনিয়োগকারীরা আগের চাইতে এখন অনেক বেশী সচেতন। আর্থিক খাতের প্রতিটি কোম্পানির ১ মাসের তুলনামুলক শেয়ারদরের চিত্র নিচে আলোচনা করা হয়েছে।

বে লিজিং: ২৩ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারদর ছিল ২৭.২ টাকা। ২২ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ২৭.৯ টাকা। অর্থাৎ ১ মাসের ব্যাবধানে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৭ টাকা। ১ মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ারদর ছিল  ২৮.২ টাকা। সর্বশেষ অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির ইপিএস বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্স: ২৩ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারদর ছিল ১৯.৫ টাকা। ২২ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ১৮.৯ টাকা। অর্থাৎ ১ মাসের ব্যাবধানে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে ০.৬ টাকা। ১ মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ারদর ছিল  ১৯.৮ টাকা। সর্বশেষ অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে।

বিআইএফসি: ২৩ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারদর ছিল ১০.৬ টাকা। ২২ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ১০.৪ টাকা। অর্থাৎ ১ মাসের ব্যাবধানে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে ০.২ টাকা। ১ মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ারদর ছিল  ১১.৫ টাকা। সর্বশেষ অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার  প্রতি লোকসান বেড়েছে ।

ডিবিএইচ: ২৩ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারদর ছিল ১১৩.৮ টাকা। ২২ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ১২৪.১ টাকা। অর্থাৎ ১ মাসের ব্যাবধানে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে ১০.৩ টাকা। ১ মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ারদর ছিল  ১২৪.৪ টাকা। সর্বশেষ অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির ইপিএস বৃদ্ধি পেয়েছে।

ফারইস্ট ফাইন্যান্স: ২৩ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারদর ছিল ১২.২ টাকা। ২২ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ১১.৫ টাকা। অর্থাৎ ১ মাসের ব্যাবধানে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে ০.৭ টাকা। ১ মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ারদর ছিল  ১২.৩ টাকা। সর্বশেষ অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার  প্রতি লোকসান বেড়েছে।

ফাস ফাইন্যান্স: ২৩ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারদর ছিল ১৬.৭ টাকা। ২২ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ১৫.৬ টাকা। অর্থাৎ ১ মাসের ব্যাবধানে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে ১.১ টাকা। ১ মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ারদর ছিল  ১৬.৮ টাকা। সর্বশেষ অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে।

ফার্স্ট ফাইন্যান্স: ২৩ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারদর ছিল ১২.২ টাকা। ২২ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ১৪.৪ টাকা। অর্থাৎ ১ মাসের ব্যাবধানে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে ২.২ টাকা। ১ মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ারদর ছিল  ১৪.৪ টাকা। সর্বশেষ অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির ইপিএস বৃদ্ধি পেয়েছে।

জিএসপি ফাইন্যান্স: ২৩ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারদর ছিল ২৮.৮ টাকা। ২২ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ২৯.৪ টাকা। অর্থাৎ ১ মাসের ব্যাবধানে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৬ টাকা। ১ মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ারদর ছিল ৩১.১ টাকা। সর্বশেষ অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির ইপিএস বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ: ২৩ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারদর ছিল ১৮৯.১ টাকা। ২২ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ১৮০.৪ টাকা। অর্থাৎ ১ মাসের ব্যাবধানে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৫ টাকা। ১ মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ারদর ছিল  ১৯৮.৩ টাকা। সর্বশেষ অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির ইপিএস বৃদ্ধি পেয়েছে।

আইডিএলসি: ২৩ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারদর ছিল ৭৩ টাকা। ২২ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ৮০ টাকা। অর্থাৎ ১ মাসের ব্যাবধানে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৭ টাকা। ১ মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ারদর ছিল  ৮০.৪ টাকা। সর্বশেষ অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির ইপিএস বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল লিজিং: ২৩ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারদর ছিল ১৫.৯ টাকা। ২২ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ১৫.৯ টাকা। অর্থাৎ ১ মাসের ব্যাবধানে কোম্পানিটির শেয়ারের দর আগের অবস্থানে ফিরে এসেছে। ১ মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ারদর ছিল  ১৬.৫ টাকা। সর্বশেষ অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার  প্রতি লোকসান বেড়েছে।

আইপিডিসি: ২৩ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারদর ছিল ৪৯.৫ টাকা। ২২ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ৪৭.৭ টাকা। অর্থাৎ ১ মাসের ব্যাবধানে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে ১.৮ টাকা। ১ মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ারদর ছিল  ৪৯.৫ টাকা। সর্বশেষ অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে।

ইসলামী ফাইন্যান্স: ২৩ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারদর ছিল ২৩.৮ টাকা। ২২ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ২২.৩ টাকা। অর্থাৎ ১ মাসের ব্যাবধানে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে ১.১ টাকা। ১ মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ারদর ছিল  ২৩.৯ টাকা। সর্বশেষ অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে।

লঙ্কা-বাংলা ফাইন্যান্স: ২৩ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারদর ছিল ৫৬.৫ টাকা। ২২ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ৫৭ টাকা। অর্থাৎ ১ মাসের ব্যাবধানে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৫ টাকা। ১ মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ারদর ছিল  ৫৯ টাকা। সর্বশেষ অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির ইপিএস বৃদ্ধি পেয়েছে।

মাইডাস ফাইন্যান্স: ২৩ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারদর ছিল ২৯.৮ টাকা। ২২ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ৩০ টাকা। অর্থাৎ ১ মাসের ব্যাবধানে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে ০.২ টাকা। ১ মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ারদর ছিল  ৩১.৪ টাকা। সর্বশেষ অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির ইপিএস হ্রাস পেয়েছে।

এনএইচএফআইএল: ২৩ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারদর ছিল ৫২.৯ টাকা। ২২ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ৫২.৬ টাকা। অর্থাৎ ১ মাসের ব্যাবধানে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে ০.৩ টাকা। ১ মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ারদর ছিল  ৫৩.৪ টাকা। সর্বশেষ অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির ইপিএসে কোন পরিবর্তন আসেনি।

ফিনিক্স ফাইন্যান্স: ২৩ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারদর ছিল ২৯ টাকা। ২২ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ৩০.৮ টাকা। অর্থাৎ ১ মাসের ব্যাবধানে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে ১.৮ টাকা। ১ মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ারদর ছিল ৩১.১ টাকা। সর্বশেষ অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির ইপিএস বৃদ্ধি পেয়েছে।

পিপলস লিজিং: ২৩ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারদর ছিল ১২.৯ টাকা। ২২ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ১২.৮ টাকা। অর্থাৎ ১ মাসের ব্যাবধানে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে ০.১ টাকা। ১ মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ারদর ছিল ১৪.১ টাকা। সর্বশেষ অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে।

প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স: ২৩ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারদর ছিল ২৩.৮ টাকা। ২২ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ২২.৩ টাকা। অর্থাৎ ১ মাসের ব্যাবধানে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে ১.১ টাকা। ১ মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ারদর ছিল  ২৩.৯ টাকা। সর্বশেষ অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে।

প্রাইম ফাইন্যান্স: ২৩ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারদর ছিল ১৩.৫ টাকা। ২২ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ১৩.৩ টাকা। অর্থাৎ ১ মাসের ব্যাবধানে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে ০.২ টাকা। ১ মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ারদর ছিল  ১৪.২ টাকা। সর্বশেষ অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার  প্রতি লোকসান কমেছে।

ইউনিয়ন ক্যাপিটাল: ২৩ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারদর ছিল ২৪.৮ টাকা। ২২ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ২০.৯ টাকা। অর্থাৎ ১ মাসের ব্যাবধানে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে ৩.৯ টাকা। ১ মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ারদর ছিল  ২৪.৮ টাকা। সর্বশেষ অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে।

ইউনাইটেড ফাইন্যান্স: ২৩ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারদর ছিল ২১.৫ টাকা। ২২ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ২৩.৪ টাকা। অর্থাৎ ১ মাসের ব্যাবধানে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে ১.৯ টাকা। ১ মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ারদর ছিল ২৩.৪ টাকা। সর্বশেষ অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির ইপিএস বৃদ্ধি কমেছে।

উত্তরা ফাইন্যান্স: ২৩ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারদর ছিল ৫৯.৩ টাকা। ২২ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ৭০.২ টাকা। অর্থাৎ ১ মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে ১০.৯ টাকা। ১ মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ারদর ছিল ৭৪.৮ টাকা। সর্বশেষ অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির ইপিএস বৃদ্ধি পেয়েছে।