bsecদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সাড়ে ৪ মাসের মধ্যে নিজেদের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে না পারলেও একই কাজের ব্যর্থতার জন্য তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে শাস্তির আওতায় এনেছে। তাই কোম্পানিগুলোকে শাস্তি দিলেও একই ভুল করেছে বিএসইসি। এক্ষেত্রে বিএসইসির এই চর্চার মধ্যে এসে অন্যদেরকে শাস্তি দেওয়া উচিত বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

বিএসইসির বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে সময় লাগে প্রায় ১ বছর দেড় মাস। তবে অর্থবছর শেষ হওয়ার ৪ মাস ১৪ দিনের মধ্যে বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিলে ব্যর্থ হওয়া তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় সংস্থাটি।

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর রুল ১২(৩এ) অনুযায়ি, ইস্যুয়ার কোম্পানিসমূহকে হিসাব বছর শেষ হওয়ার ১২০ দিনের মধ্যে নিরীক্ষক দ্বারা নিরীক্ষা করতে হয়। এর পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে কমিশনে দাখিল করতে হয়। অন্যথায় কমিশন আর্থিক প্রতিবেদন দাখিলে ব্যর্থতায় ইস্যুয়ার কোম্পানির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রহণ করে।

দেখা গেছে, বিএসইসির ২০১৫-১৬ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসের মাঝামাঝি। এক্ষেত্রে অর্থবছর শেষে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশে প্রতিষ্ঠানটির সময় লেগেছে প্রায় ১ বছর দেড় মাস। যদিও এরইমধ্যে ২০১৬-১৭ অর্থবছরও শেষে হয়ে গেছে।

তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে বার্ষিক প্রতিবেদনে সম্পূর্ণ বছরের আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের বিস্তারিত তুলে ধরতে হয়। এ ছাড়া নিজেদের বিভিন্ন কার্যক্রমসহ, বিভিন্ন বিষয়ে নোটস, পর্ষদের তথ্য, চেয়ারম্যান ও এমডির বক্তব্য, এজেন্ডা সমূহ ও বিভিন্ন বিষয়াদি তুলে ধরে। অপরদিকে বিএসইসি নিজেদের কার্যক্রম তুলে ধরে।

সঙ্গে সঙ্গে স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে সংগৃহীত শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট কিছু তথ্য তুলে ধরে। আর ১ পৃষ্ঠার আয়-ব্যয় প্রকাশ করে। এ হিসাবে বিএসইসির তুলনায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিলে বেশি সময় দরকার বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, কোম্পানিগুলোর বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিলে ৪ মাস ১৪ দিন যথেষ্ট। তবে বিএসইসিরও উচিত এই সময়ের মধ্যে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা। উল্লেখ্য, যথাসময়ে আর্থিক বিবরণী দাখিল না করায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৪১টি কোম্পানির বিরুদ্ধে বিএসইসি এনফোর্সমেন্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।