right shareআমিনুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজার থেকে কোম্পানিগুলোর মূলধন উত্তোলনের পরিমান কমলেও বেড়েছে রাইট শেয়ার। পুঁজিবাজারে শিল্প বিনিয়োগে অর্থায়নের ক্ষেত্রে শেয়ার বাজারের অবদান বাড়ছে। সেতুলনায় কোম্পানিগুলোর মুলধন উত্তোলনের পরিমান বাড়ছে না।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির সাথে সাথে আইপিওতে (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহের কারণেই কোম্পানিগুলো মূলধন উত্তোলন করতে পারছে। তবে আইপিও প্রক্রিয়া আরো সহজ ও দ্রুত করা হলে ভালো ভালো কোম্পানি বাজারে আসতে আগ্রহী হবে। ফলে পুঁজিবাজারের অবদান আরো বাড়ানো সম্ভব হবে।

একাধিক বিনিয়োগকারীরা বলছেন, পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি এলে বিনিয়োগের আগ্রহ বাড়ে। তাছাড়া বাজারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই ভালো কোম্পানিগুলোকে শেয়ার বাজারে আনার উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষ করে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি ও টেলিকম খাতের কোম্পানি বাজারে এলে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যবহার না হতেই বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে নতুন করে মূলধন বাড়াচ্ছে কোম্পানিগুলো। বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পাওয়া মূলধন কোন্ ধরনের কাজে ব্যবহার করা হবে সে বিষয়ে কোম্পানির পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের স্পষ্ট কিছু জানানোও হচ্ছে না। প্রতি বছর ধারাবাহিকভাবে এ কাজ করে আসছে নতুন তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিগুলো।

সাধারণত ব্যবসায়িক কর্মকান্ড বৃদ্ধি, নতুন বিনিয়োগ বা আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নতুন করে অর্থের প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো পুনঃগণপ্রস্তাব (আরপিও), রাইট শেয়ার, ডিবেঞ্চার বা বন্ডের মাধ্যমে বাজার থেকে নতুন করে মূলধন সংগ্রহ করতে পারে।

কিন্তু এসব পদ্ধতিতে মূলধন বাড়াতে হলে নানা ধরনের আইনী পদ্ধতি পরিপালন ও কোম্পানিকে জবাবদিহিতার মধ্যে থাকতে হয়। কিন্তু বোনাস শেয়ারের মাধ্যমে মূলধন বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোন ধরনের জবাবদিহিতা না থাকায় শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানি যৌক্তিক কারণ ছাড়াই বোনাস শেয়ার ইস্যু করে মূলধন বাড়াচ্ছে।

আগের বছরগুলোর মতো ২০১৬-২০১৭ সালেও শেয়ারবাজার থেকে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করেছে এমন কোম্পানিগুলোর তথ্য বিশ্লেষণে এ প্রবণতা দেখা গেছে। আইপিওর অর্থ ব্যয় না হতেই কোম্পানিগুলো বোনাস শেয়ার ইস্যুরর মাধ্যমে মূলধন বাড়াচ্ছে। বোনাস শেয়ারের মাধ্যমে মূলধন বাড়ানো হলে কোম্পানি থেকে কোন ধরনের ক্যাশ আউটফ্লো হয় না। কিন্তু নগদ লভ্যাংশ দেয়া হলে ক্যাশ আউটফ্লো হয়।

মূলত সমুদয় আয়ই কোম্পানিতে রেখে দেয়ার কৌশল হিসেবে বোনাস শেয়ার ইস্যু করছে কোম্পানিগুলো। এতে কোম্পানির মূলধন বাড়লেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, সে হারে কোম্পানিগুলোর আয়ের প্রবৃদ্ধি হয় না। এতে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় ও সম্পদমূল্য কমে যায় এবং কোম্পানির লভ্যাংশ দেয়ার সক্ষমতাও কমে যায়।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের পরিমাণ হ্রাস পাওয়া ভালো লক্ষণ নয়। পুঁজিবাজারে যত কোম্পানি তালিকাভুক্ত হবে, বাজারের আকার তত প্রসারিত হবে। দায়িত্বশীলদের উচিত ভালো কোম্পানি যাতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া।

ব্যাংক ঋণ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য উদ্যোক্তারা ব্যাংকে বেশি নির্ভর করছে উল্লেখ করে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে ব্যাংক ঋণ নিলে তারা সহজে পরিশোধ করে না। যে কারণে অনেকে ব্যাংক ঋণ পছন্দ করে। তাদের ধারণা, ঋণ শোধ করতে পারলে পারলাম, না পারলে না পারলাম। তবে ব্যাংকঋণের বিষয়ে কঠোর হওয়া গেলে আশা করা যায় পুঁজিবাজার থেকে আইপির মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের পরিমাণ বাড়তে পারে।

এদিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের পরিমাণ কমেছে। বিদায়ী অর্থবছরে (২০১৬-১৭) তিনটি মিউচুয়াল ফান্ডসহ মোট ৯টি কোম্পানি আইপিওর মাধ্যমে ৩৯০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করেছে, যা গত ১১ অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০০৫-০৬ অর্থবছরে আটটি কোম্পানির মাধ্যমে শতকোটি টাকা অর্থ আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যমতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে শিল্পোদ্যোক্তারা বাজার থেকে তিনটি মিউচুয়াল ফান্ডসহ মোট ৯টি প্রতিষ্ঠান আইপিওর মাধ্যমে ৩৯০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করে। অন্যদিকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আইপিওর মাধ্যমে দুটি মিউচুয়াল ফান্ডসহ মোট ১১টি প্রতিষ্ঠান মোট সংগ্রহ করে ৮৫৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এর মধ্যে পাঁচটি কোম্পানি প্রিমিয়াম বাবদ ৫১৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা মূলধন উত্তোলন করে।

২০১৬-১৭ অর্থবছরে আইপিওর মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ কমলেও বেড়েছে রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন। এ বছর চারটি কোম্পানি রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মোট এক হাজার ৪১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা মূলধন সংগ্রহ করে। এর মধ্যে দুটি কোম্পানি প্রিমিয়াম বাবদ ১৮৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা মূলধন উত্তোলন করে।

আগের অর্থবছরে (২০১৫-১৬) দুটি কোম্পানি রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করে ৩১৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রিমিয়াম বাবদ মূলধন উত্তোলনের পরিমাণ ছিল ৯২ কোটি টাকা।

বিদায়ী অর্থবছরে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১১৭টি কোম্পানি ১৮৮ কোটি বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে এক হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা মূলধন বৃদ্ধি করে। এর আগের অর্থবছরে (২০১৫-১৬) মোট ১০৯টি কোম্পানি ২২৫ কোটি বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে দুই হাজার ২৬৫ কোটি টাকা মূলধন বৃদ্ধি করে।

জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আইপিওর মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি অর্থ উত্তোলন করেছে ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালান্সড ফান্ড। ফান্ডটি পুঁজিবাজার থেকে ৯৫ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। এ বছর প্যাসিফিক ডেনিস উত্তোলন করেছে ৭৫ কোটি টাকা। সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড উত্তোলন করেছে ৭০ কোটি টাকা। নূরানী ডায়িং ৪৩ কোটি, এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ড ২৫ কোটি, ফরচুন সু ২২ কোটি, ইয়াকিন পলিমার ২০ কোটি, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ২০ কোটি ও বিবিএস ক্যাবলস ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। এ বছর সব কোম্পানিই প্রিমিয়াম ছাড়াই অর্থ উত্তোলন করেছে।

২০১৬-১৭ অর্থবছরে রাইট শেয়ার ছেড়ে সব থেকে বেশি ৫৬৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা উত্তোলন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইডিএলসি ১২৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা প্রিমিয়ামসহ উত্তোলন করেছে ২৫১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এছাড়া ৫৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা প্রিমিয়ামসহ সাইফ পাওয়ারটেক ১৭৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ও বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম ৫২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা রাইট শেয়ার ছেড়ে উত্তোলন করেছে।

আগের অর্থবছর (২০১৫-১৬) রাইট শেয়ার ছাড়ে দুটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে জিপিএইচ ইস্পাত ২৬১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা উত্তোলন করে। কোম্পানিটি প্রিমিয়াম বাবদ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে নেয় ৭৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। অপর প্রতিষ্ঠান সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট ১৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা প্রিমিয়ামসহ ৫১ কোটি ৫২ লাখ টাকা উত্তোলন করে।

এ অর্থবছরে (২০১৫-১৬) আইপিওর মাধ্যমে সব চেয়ে বেশি অর্থ উত্তোলন করে একমি ল্যাবরেটরিজ। প্রতিষ্ঠানটির উত্তোলন করা ৪০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকার মধ্যে প্রিমিয়াম বাবদই নেওয়া হয় ৩৫৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ১২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে দ্বিতীয় স্থান দখল করে রিজেন্ট টেক্সটাইল। প্রতিষ্ঠানটি উত্তোলিত টাকার মধ্যে প্রিমিয়াম বাবদ নেয় ৭৫ কোটি টাকা। তৃতীয় স্থানে থাকা ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফাইন্যান্স মিউচুয়াল ফান্ড উত্তোলন করে ৭০ কোটি টাকা।

এছাড়া সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ ৩০ কোটি টাকা প্রিমিয়ামসহ ৬০ কোটি, ডরিন পাওয়ার ৩৮ কোটি টাকা প্রিমিয়ামসহ ৫৮ কোটি, ড্রাগন সোয়েটার ৪০ কোটি, এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড ২৫ কোটি, কেডিএস ১২ কোটি টাকা প্রিমিয়ামসহ ২৪ কোটি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স ১৭ কোটি ৭০ লাখ, এনভয় টেক্সটাইল ১৭ কোটি ও ইনফরমেশন টেকনোলজি ১২ কোটি টাকা উত্তোলন করে।

এদিকে পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানি রাইট ইস্যুর মাধ্যমে ৩৬৭ কোটি টাকা উত্তোলনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। কোম্পানি তিনটি হলো: ইফাদ অটোস, আরএসআরএম লিমিটেড এবং জাহিন স্পিনিং মিলস। ইফাদ অটোস এবং আরএসআরএম লিমিটেড প্রতিটি রাইট শেয়ারের বিপরীতে প্রিমিয়াম নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও জাহিন স্পিনিং কোনো প্রিমিয়াম না নিয়ে ফেসভ্যালুতে রাইট শেয়ার ইস্যু করার প্রস্তাব করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ইফাদ অটোস: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশলী খাতের ইফাদ অটোস লিমিটেড কোম্পানি ২ আর: ৫ অনুপাতে অর্থাৎ পাঁচটি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে দু’টি রাইট শেয়ার ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এতে ১০ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ১৫ কোটি ৫৪ লাখ ৮০ হাজার। প্রতি ৫টি শেয়ারের বিপরীতে ২টি করে রাইট শেয়ার ইস্যু করলে কোম্পানিটি মোট ৬ কোটি ২১ লাখ ৯২ হাজার রাইট শেয়ার ইস্যু করবে।

আর প্রতিটি রাইট শেয়ারের বিপরীতে ২০ টাকা ( ফেসভ্যালু ১০ টাকার সঙ্গে প্রিমিয়াম ১০ টাকা) নিলে কোম্পানিটি রাইট শেয়ারের বিপরীতে পুঁজিবাজার থেকে ১২৪ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা সংগ্রহ করবে। গত ২৫ জুলাই এ কোম্পানির বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্ঠিত হয়। শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের পর এখন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন পেলেই কোম্পানিটি রাইট শেয়ার ইস্যু করার সাবস্ক্রিপশনের তারিখ নির্ধারণ করবে।

আরএসআরএম লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশলী খাতের আরএসআরএম লিমিটেড কোম্পানিটি ২ আর: ৩ অনুপাতে অর্থাৎ তিনটি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে দু’টি রাইট শেয়ার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ টাকা।

বর্তমানে কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা হলো ৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৬ হাজার ৪০০। প্রতি ৩টি শেয়ারের বিপরীতে ২টি করে রাইট শেয়ার ইস্যু করলে কোম্পানিটি মোট ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৫৭ হাজার ৬০০ রাইট শেয়ার ইস্যু করবে। আর প্রতিটি রাইট শেয়ারের বিপরীতে ২৫ টাকা (ফেসভ্যালু ১০ টাকার সঙ্গে প্রিমিয়াম ১৫ টাকা) নিলে কোম্পানিটি রাইট শেয়ারের বিপরীতে ১৪৪ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা সংগ্রহ করবে। আগামী ১২ অক্টোবর কোম্পানির ইজিএম অনুষ্ঠিত হবে।

জাহিন স্পিনিং মিলস লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানিটি ১ আর: ১ অনুপাতে অর্থাৎ একটি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে একটি রাইট শেয়ার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোনো প্রকার প্রিমিয়াম ছাড়া ফেসভ্যালু ১০ টাকায় শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কোম্পানিটি ৯ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ রাইট শেয়ার ইস্যু করবে। আর প্রতিটি রাইট শেয়ারের বিপরীতে ১০ টাকা হারে কোম্পানিটি রাইটের বিপরীতে পুঁজিবাজার থেকে ৯৮ কোটি ৫৫ লাখ ২৭ হাজার টাকা সংগ্রহ করবে।

এছাড়াও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি কোম্পানি রাইট (অগ্রাধিকারমূলক) শেয়ার ইস্যু। কোম্পানিগুলো হলো: আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড, এবি ব্যাংক লিমিটেড, সিএমসি কামাল, জিকিউল বলপেন এবং লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড।

আইএফ আইসি: আইএফআইসি ব্যাংকের ১টি শেয়ারের বিপরীতে ১টি রাইট শেয়ার ছাড়ার জন্য বিএসইসিতে আবেদন করেছে। প্রতিটি রাইট শেয়ারের অভিহিত মূল্য হবে ১০ টাকা।

এবি ব্যাংক: এবি ব্যাংক লিমিটেড ৫টি শেয়ারের বিপরীতে ৪টি রাইট শেয়ার ছাড়ার আবেদন করেছে। এর আগে ১০ টাকা ফেসভ্যালুর সঙ্গে ২.৫০ টাকা প্রিমিয়ামসহ সাড়ে ১২ টাকায় রাইট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিল এবি ব্যাংক।

লংকাবাংলা: ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক খাতের কোম্পানি লংকাবাংলা ফিন্যান্স ২:১ অনুপাতে অর্থাৎ ২টি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে ১টি রাইট ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিটি রাইট শেয়ারের মূল্য ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সিএমসি কামাল: ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে একটি শেয়ারের বিপরীতে একটি রাইট শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি।
জিকিউ বলপেন: জিকিউ বলপেন ১০ টাকা ফেসভ্যালুতে একটি শেয়ারের বিপরীতে এক দশমিক ৫টি রাইট শেয়ার দেবে। অর্থাৎ দুইটি শেয়ারের বিপরীতে ৩টি রাইট শেয়ারের আবেদন করেছে কোম্পানিটি।