dseদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে টানা কয়েক কার্যদিবস ধরে ব্যাংক খাতের শেয়ারের একটানা দরবৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীরা ব্যাংকবিমুখ হয়ে বস্ত্র খাতের দিকে ঝুঁকছেন। সোমবার লেনদেনের শুরুতে ব্যাংক খাতের একক আধিপত্য থাকলেও ১২ টার পর থেকে বস্ত্র খাতের আধিপত্য শুরু হয়। তবে ব্যাংক খাতের শেয়ারের দরপতনে সূচকের কিছুটা নিন্মমুখী প্রবনতা বিরাজ ছিল।

তাছাড়া অধিকাংশ ব্যাংক খাতের শেয়ারের দর গত এক মাসে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ছে। যা বিনিয়োগকারী ও বাজার সংশ্লিষ্টরা অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন। এছাড়া ব্যাংক টানা বাড়া বাজারের জন্য শুভ লক্ষণ নয় বলে মনে করেন।

তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা অধিকাংশ সময় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ এবং বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ দেখে কোম্পানিগুলোয় বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠেন বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। এক্ষেত্রে বস্ত্র খাতের শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ছে। বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন, সচেতন বিনিয়োগকারীরাই বাজারের স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা রাখেন। অন্যদিকে গত এক মাসের ব্যবধানে বস্ত্র খাতের শেয়ার লেনদেন অনেকটা পিছিয়ে গেছে।

বস্ত্র খাতের মোট ৪৮টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। জুনে কোম্পানিগুলোর হিসাববছর শেষ হয়েছে। আগের বছর দু’একটি ছাড়া বেশিরভাগ কোম্পানিই বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে।  সে হিসেবে সামনে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য আরও ভাল ডিভিডেন্ড আসতে পারে বলে ধারণা বিনিয়োগকারীদের। আর এ জন্যই হয়ত দর বাড়ছে এ খাতের কোম্পানিগুলোর এমনটিই মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশী বিনিয়োগ উভয়ই বেড়েছে বস্ত্র খাতে।  তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের ১৫ কোম্পানির শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে, কমেছে ১৮টি কোম্পানিতে। অপরদিকে ৪টি কোম্পানিতে বিদেশী বিনিয়োগ বেড়েছে আর কমেছে ২টি কোম্পানিতে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীলতা থাকায় অনেক বিনিয়োগকারীর মধ্যে এই খাতটিকে নিয়ে ধীরে ধীরে আস্থার সঞ্চার হচ্ছে।

ধারাবাহিক উত্থানের কারণে দেশের শেয়ারবাজার অনেকটাই বিনিয়োগ উপযোগী হয়ে উঠেছে। যার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি বিদেশিরাও বিনিয়োগে সক্রিয় হচ্ছেন এই খাতে। আর এসকল বিষয় আকৃষ্ট করছে দেশের সাধারন বিনিয়োগকারীদের।

কয়েকটি কোম্পানি ইতিমধ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দিয়েছে।সবকিছু মিলে বস্ত্রখাতের জয়জয়কার।তবে বাজার নিয়ে যারা নিয়মিত গবেষণা করেন তাদের ধারনা, বাজারে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা।

আর যখন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর প্রবেশ ঘটে, তখন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সৃষ্টি হয়। কারণ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সাধারণত সব সময়ই বিনিয়োগ করার আগে সেই প্রতিষ্ঠান নিয়ে গবেষণা করে। সে কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থার সঞ্চার হয়। সেদিক থেকে বস্ত্রখাতে গত মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে একথা কারো অজানা নয়।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর জুনে হিসাব বছর শেষ হবে। সে হিসেবে এসব কোম্পানির লভ্যাংশের মৌসুম আসছে। তাই আগের চেয়ে এসব কোম্পানির শেয়ারদর বেশি। এসব কোম্পানির শেয়ারে আগের চেয়ে আগ্রহ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের। এতে এসব খাতের লেনদেনে অবস্থানও শক্তিশালী হচ্ছে। তবে আগের চেয়ে বর্তমান সময়ে ব্যাংকিং খাতের লেনদেনের হার কমেছে। এ খাতের কোম্পানি থেকে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতায় এমনটি হয়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বস্ত্র খাতের শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী কমে যাওয়ার পেছনে দুইটি ইস্যু কাজ করে। একটি হলো বস্ত্র খাতের অধিকাংশ শেয়ারের দর আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি। অন্যটি হলো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর আগ্রহ কমেছে।

২০১৫-১৬ অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের লোকসান হয়েছিল ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এক বছর পর ২০১৬-১৭ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকেও লোকসান হয়েছে ৪ কোটি ২১ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে কম্পানিটির লোকসান হয়েছে ৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক জুলাই-সেপ্টেম্বরে লোকসান ২ কোটি ১০ লাখ আর দ্বিতীয় প্রান্তিক ’১৬ অক্টোবর-ডিসেম্বরে লোকসান হয়েছে ২ কোটি ১২ লাখ টাকা। লোকসানে থাকলেও জানুয়ারি মাসে কম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছিল।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কর্তৃপক্ষের কারণ দশানো চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ জানুয়ারি কম্পানি জানায়, শেয়ারের দাম বাড়ার পেছনে সংবেদনশীল কোনো তথ্য নেই। লোকসানে থাকায় কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ায় কম্পানিটির জেড ক্যাটাগরিতে রয়েছে। শেয়ারের দাম অভিহিত মূল্য ১০ টাকার নিচে।

চলতি অর্থবছরের গত ৯ মাসে (জুলাই ’১৬-মার্চ ’১৭) পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতের ৮৫ শতাংশ কম্পানি মুনাফা করেছে। ৯ মাসে তৃতীয় প্রান্তিকের হিসাব অনুযায়ী তালিকাভুক্ত ৪৮ কম্পানির মধ্যে ৪১টি মুনাফা করেছে। আর ৭টি কম্পানি মুনাফা করতে পারেনি।

একটি কম্পানি প্রান্তিকে লোকসানে থাকলেও পরবর্তী দুই প্রান্তিকে মুনাফায় ফিরেছে। আর দুই কম্পানি তিন প্রান্তিকে মুনাফা করলেও শেয়ারের দাম অভিহিত মূল্য ১০ টাকার কম। অন্যদিকে বছর বছর লাভের মুখ দেখতে না পারলেও চড়া দামে শেয়ার লেনদেন হচ্ছে কয়েকটি কম্পানির। তৃতীয় প্রান্তিকে কম্পানির প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ঢাকা ডায়িং, দুলমিয়া কটন, মেট্রোস্পিনিং, সোনারগাঁও টেক্সটাইল ও তাল্লু স্পিনিং ৯ মাসে কোনো মুনাফা করতে পারেনি। ধারাবাহিকভাবে লোকসানের মুখে রয়েছে কম্পানিগুলো। আরএন স্পিনিং প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) লোকসানে থাকলেও এখন মুনাফায় ফিরেছে কম্পানিটি।

এদিকে বিগত বছর শেয়ারগ্রাহকদের কোনো লভ্যাংশ দিতে না পারায় ঢাকা ডায়িং, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, দুলমিয়া কটন, ম্যাকশন স্পিনিং মিলস, মেট্রো স্পিনিং ও তাল্লু স্পিনিং মিলসকে জেড ক্যাটাগরিতে অবনমন করা হয়েছে। সিএনএ টেক্সটাইল ও জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন মুনাফায় থাকলেও শেয়ারের দাম অভিহিত মূল্য ১০ টাকার নিচে। এ ছাড়া ঢাকা ডায়িং, দুলামিয়া কটন, ফ্যামিলিটেক্স ও মেট্রো স্পিনিং মিলসের শেয়ারের দাম ১০ টাকা কমে লেনদেন হচ্ছে।

ডিএসই সূত্র জানায়, পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত কম্পানি জুলাই-জুন হিসাবে বার্ষিক হিসাব পরিচালনা করে। সেই হিসাবে ২০১৬ সালের জুলাই ও চলতি বছরের জুনে আর্থিক হিসাব বছর শেষ হবে। ইতিমধ্যে বিগত ৯ মাসে কম্পানি আর্থিক হিসাব প্রকাশ করেছে। এতে বেশির ভাগ কম্পানির মুনাফা বেড়েছে। আর কোনো কম্পানির মুনাফা আগের বছরের চেয়ে কমেছে।

আনিলিমা ইয়াং অ্যান্ড ডায়িং লিমিটেড ৯ মাসে মুনাফা করেছে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের বছর এই মুনাফা ছিল ১ কোটি ৪৩ লাখ ৮৭ হাজার। এ বছর কম্পানিটির মুনাফা কমেছে। শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে (ইপিএস) ০.৭৩ টাকা, যা গত বছর ছিল ০.৮১ টাকা। এপেক্স স্পিনিং অ্যান্ড নিটিং মিলসের মুনাফা হয়েছে ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, গত বছর এ মুনাফা ছিল ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ৯ মাসের হিসাবে ইপিএস ২.০১ টাকা, যা গত বছর ছিল ২.২৭ টাকা।

আর্গন ডেনিম মুনাফা করেছে ৩০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। গত বছর ছিল ২২ কোটি ১৯ লাখ টাকা। ইপিএস ছিল ২.৭০ টাকা, এ বছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.২৩ টাকা। রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় কম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে। সিএনএ টেক্সটাইল তিন প্রান্তিকে আয় ১২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডায়িংয়ের মুনাফা ৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। গত বছর ছিল ৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এ বছর ইপিএস ৩.৫৭ টাকা।

ঢাকা ডায়িং তিন প্রান্তিকেই লোকসানে। তিন প্রান্তিকে কম্পানিটির লোকসান হয়েছে ১৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ডেল্টা স্পিনিং তিন প্রান্তিকে মুনাফা করেছে ৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। দেশ গার্মেন্টস মুনাফা করেছে ৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। ইপিএস ৬.৫৩ টাকা। আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে ইপিএস।

ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং মিলসের তিন প্রান্তিকে মুনাফা ১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলসের তিন প্রান্তিকে লোকসান ১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এনভয় টেক্সটাইল লিমিটেডের মুনাফা ২২ কোটি ৮ লাখ টাকা। ইপিএস ১.৪১ টাকা।

ইভিন্স টেক্সটাইলের মুনাফা ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ইপিএস ১.১৫ টাকা। ফ্যামিলি টেক্স দ্বিতীয় প্রান্তিকের কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। প্রথম প্রান্তিকে ১৮ লাখ টাকা মুনাফা দেখালেও দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোনো হিসাব নেই। আলহাজ টেক্সটাইলের মুনাফা ২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। শেয়ারপ্রতি আয় ১.৪৪ টাকা। সিএমসি কামালের মুনাফা ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। ইপিএস ০.৪৯ টাকা।

ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডায়িংয়ের মুনাফা ২২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। ইপিএস প্রায় ১.৩৮ টাকা। জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনের মুনাফা ১৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ইপিএস ০.৪০ টাকা। হামিদ ফেব্রিক্সের মুনাফা ৭ কোটি ৪ লাখ টাকা। ইপিএস ০.৭৭ টাকা। এইচ আর টেক্সটাইলের মুনাফা ২ কোটি ৮১ লাখ। ইপিএস ১.১১ টাকা।

হা-অয়া ওয়েল টেক্সটাইলের মুনাফা ৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। ইপিএস ১.৫৪ টাকা। ম্যাকশন স্পিনিংয়ের মুনাফা ৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। ইপিএস ০.২৩ টাকা। মালেক স্পিনিংয়ের মুনাফা ১৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। মতিন স্পিনিংয়ে মুনাফা ১৫ কোটি ২৫ লাখ। ইপিএস ১.৫৬ টাকা। মেট্রোস্পিনিংয়ের লোকসান হয়েছে ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। ইপিএস (-০.৪৬) টাকা।

মোফাজ্জল হোসেন স্পিনিং মিলসের মুনাফা ১৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। ইপিএস ২.০৫ টাকা। মডার্ন ডায়িং অ্যান্ড স্কিনিং প্রিন্টিং মুনাফা করেছে ১৪ লাখ টাকা।  শেয়ারপ্রতি আয় ১.০৪ টাকা। নুরানী ডায়িং অ্যান্ড সোয়েটার এ বছরই তালিকাভুক্ত হয়েছে। তৃতীয় প্রান্তিকে আয় ১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। ইপিএস ০.৪০ টাকা। প্যাসিফিক ডেনিমস দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা ২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। তৃতীয় প্রান্তিকে ৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

প্রাইম টেক্সটাইলে মুনাফা ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলে মুনাফা ১৪ কোটি ৯ লাখ টাকা। ইপিএস ১.২ টাকা। রহিম টেক্সটাইল অ্যান্ড মিলসের মুনাফা তিন কোটি ৬৫ লাখ টাকা। ইপিএস ৫.৩৭ টাকা। রিজেন্ট টেক্সটাইল দুই প্রান্তিকে মুনাফা করলেও তৃতীয় প্রান্তিকের কোনো হিসাব প্রকাশ করেনি।

আর এন স্পিনিং মিলসের প্রথম প্রান্তিকে লোকসানে থাকলেও পরে দুই প্রান্তিকে মুনাফায় ফিরেছে। লোকসান বাদ দিয়ে ৯ মাসে আয় ১২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সাফকো স্পিনিংয়ের আয় ৫৬ লাখ টাকা। ইপিএসই ০.২০ টাকা। সায়হাম কটন মিলসের মুনাফা করেছে ১২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। ইপিএস ০.৮৭ টাকা। সায়হাম টেক্সটাইল মিলসের ৭ কেটি ৩৭ লাখ টাকা মুনাফা আর ইপিএস ০.৮৬ টাকা। সাসা ডেনিমস মুনাফা ৪২ কোটি ৭০ লাখ টাকা ও ইপিএস ৩.৭৯ টাকা।