bankদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারীতে পুঁজিবাজারের ৬ ব্যাংক, নজরদারীর ফলে এসব ব্যাংককে এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পুঁজিবাজারে ৬ ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর প্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলোর কাছে অতিরিক্ত বিনিয়োগের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ইতিমধ্যে এ নির্দেশনার মাধ্যমে শেয়ারবাজারে এক্সপোজার লিমিটে ব্যাংকগুলোর প্রতি নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। ভবিষ্যতের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরই জেরে ৬ ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ পাওয়া গেছে। তাই তাদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলোর উপর নজরদারী আরো জোরদার করা হয়েছে। তবে ব্যাংকগুলোর নাম প্রকাশ করেননি। জানা যায়, এ ৬ ব্যাংকের মধ্যে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় রয়েছে।

গত ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সর্বোচ্চ ৬১৬৭ পয়েন্টে থাকাকালীন যেন অনাকাঙ্খিত কিছু না ঘটে তাই ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগে নজরদারি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ওইদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এখন থেকে ব্যাংকগুলোকে শেয়ারবাজারে নতুন বিনিয়োগের তথ্য প্রতি সপ্তাহে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। একই সাথে প্রতিদিনের লেনদেনের তথ্য আলাদাভাবে প্রতিবেদনে উপস্থাপন করতে হবে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বিকাল ৫টার মধ্যে ইমেইলের মাধ্যমে এসব তথ্য পাঠাতে হবে।

বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগে ব্যাংকগুলো প্রতি সপ্তাহে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ এবং সাপ্তাহিক গড় লেনদেনের তথ্য পাঠায়। দৈনিক লেনদেনের তথ্য আলাদা করে পাঠাতে হয়না।

নির্দেশনা মতে শেয়ারবাজারে নতুন বিনিয়োগ এবং এ বিনিয়োগে প্রতিদিনের লেনদেনের তথ্য পাঠাতে হবে। একই সাথে সহযোগী প্রতিষ্ঠানে দেয়া নতুন তহবিলের তথ্যও একইভাবে পাঠাতে হবে। এতে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেওয়া মার্জিন ঋণ বিতরণের দৈনিক তথ্য দাথিল করতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, গত কয়েক সপ্তাহে শেয়ারবাজারে ব্যাংকের শেয়ারে ভর করে সূচকে উত্থান ঘটেছে। তাই গেইনারে ব্যাংকের আধিপত্য দেখা গেছে। তাদের মতে ব্যাংকের হাতে নগদ অর্থের পরিমাণ বাড়ছে। শেয়ারবাজারের উত্থানে বিনিয়োগে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। তাই মার্চেন্ট ব্যাংকে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর আরো বিনিয়োগে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলো নতুন কতো বিনিয়োগ করেছে তার স্পষ্ট তথ্য চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলো মূলধনের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারে। ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম, স্ট্যাটুটরি রিজার্ভ এবং রিটেইনড আর্নিং ধরে মূলধন হিসাব করা হয়। শেয়ার, ডিবেঞ্চার, করপোরেট বন্ড, মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং অন্যান্য সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ এক্সপোজারের মধ্যে গণনা করা হয়।