dse dorpotonদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো নিজেদের দায় শোধ করতে অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। এজন্য তারা হাতিয়ার হিসাবে বেছে নিচ্ছে পুঁজিবাজারকে। বিনিয়োগকারীদের টাকায় ঋণ পরিশোধ করা যাবে আইনের এমন সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোম্পানিগুলো ঋণ পরিশোধ করছে। পরবর্তী সময়ে বেশিরভাগ কোম্পানিই ব্যবসায় উন্নতি করতে না পেরে হাত গুটিয়ে নেয়। আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। কারণ বছর শেষে লাভ-লোকসানের দায় তাদের ওপরই এসে পড়ে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত চার বছরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু সে অনুপাতে বাড়েনি মুনাফা কিংবা নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো উত্তোলনকৃত অর্থের অর্ধেক ব্যয় করছে ব্যাংকঋণ পরিশোধে। এ সময় ৫৭টি কোম্পানি বাজার থেকে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। এর প্রায় ৭০ শতাংশ বা তিন হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে ব্যাংকঋণ পরিশোধে। এ অবস্থায় কোম্পানিগুলো দায়মুক্ত হলেও ব্যবসা সম্প্রসারিত হয়নি, এতে লাভবানও হতে পারেনি বিনিয়োগকারীরা।

ব্যবসা সম্প্রসারণ ও ব্যাংক ঋণ পরিশোধের নামে ২০১৪ ও ২০১৫ হিসাব বছরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৬ কোম্পানির শেয়ার ইস্যু মূল্যের নিচে অবস্থান করছে। বছর শেষে কোম্পানির মুনাফায় পুঁজিবাজার থেকে সংগৃহীত অর্থের কোনো প্রতিফলন না থাকায় এসব শেয়ার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ১৭টি কোম্পানি। এর মধ্যে ৭টি কোম্পানি প্রিমিয়ামসহ বাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করে। অন্যদিকে, ২০১৫ সালে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ১৩টি কোম্পানি। এসময় ৮টি কোম্পানি প্রিমিয়ামসহ টাকা উত্তোলন করে। প্রিমিয়ামসহ আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনকারী এ ১৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬টির শেয়ার দর রয়েছে অভিহিত মূল্যের নিচে।

এদিকে গত বছর প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) ও রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে বিভিন্ন কোম্পানি ১২শ কোটি টাকা তুলেছে। এর মধ্যে ১১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড আইপিওর মাধ্যমে সংগ্রহ করেছে প্রায় সাড়ে আটশ কোটি টাকা। এ অর্থের মধ্যে ৮টি কোম্পানি ৬৫৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা আর ৩টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ১৯০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। অন্য তিনটি কোম্পানি রাইট শেয়ার ইস্যু করে উত্তোলন করে ৩৬৬ কোটি টাকা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যে দেখা গেছে, চলতি বছরে আইপিও মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা কোম্পানিগুলো হলো-ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেড, একমি ল্যাবরেটরিজ, ডোরিন পাওয়ার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, ইভিন্স টেক্সটাইল, ইয়াকিন পলিমার, ফরচুন সুজ ও প্যাসিফিক ডেনিমস।

এছাড়া একই সময়ে টাকা উত্তোলন সম্পন্ন করা তিনটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে রয়েছে ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ড, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড-১ ও এসইএমএল আইবিবিএল শরীয়াহ ফান্ড।

২০১৫ সালে অনুমোদন পাওয়া কোম্পানি বস্ত্র খাতের ড্রাগন সোয়েটার টাকা উত্তোলন করেছে চলতি বছরের শুরুতে। কোম্পানটি আইপিওর মাধ্যমে ১০ টাকা মূল্যের চার কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ৪০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে।

ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি একমি ল্যাবরেটরিজের মূলধন রয়েছে ২১১ কোটি ৬০ লাখ ১৭ হাজার টাকা। যার মধ্যে ১৬১ কোটি ৬০ লাখ ১৭ হাজার টাকা উদ্যোক্তাদের আর বাকি ৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে আইপিও’র মাধ্যমে। একমি ল্যাবরেটরিজ শেয়ারপ্রতি প্রিমিয়াম নিয়েছে ৬৭ টাকা।

বিদ্যুত্ ও জ্বালানী খাতের কোম্পানি ডোরিন পাওয়ারের মূলধন রয়েছে ৮০ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৬০ কোটি টাকা উদ্যোক্তাদের আর বাকি ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে আইপিও’র মাধ্যমে। কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি প্রিমিয়াম নিয়েছে ১৯ টাকা। বীমা খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স ১৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা টাকা সংগ্রহ করেছে আইপিও’র মাধ্যমে।

একইভাবে বস্ত্র খাতের কোম্পানি ইভিন্স টেক্সটাইল ১৭ কোটি টাকা, চামড়া খাতের কোম্পানি ফরচুন সুজ ২২ কোটি টাকা, প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ইয়াকিন পলিমার ২০ কোটি টাকা এবং প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেড ৭৫ কোটি টাকা আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলন করে।

গেল বছরে পুঁজিবাজার থেকে রাইট শেয়ার ছেড়ে অর্থ উত্তোলন করেছে সামিট এ্যালায়েন্স পোর্ট, জিপিএইচ ইস্পাত এবং বাংলাদেশ থাই এ্যালুমোনিয়াম। প্রতিষ্ঠান তিনটি মোট ৩৬৫ কোটি ৮১ লাখ ৭৭ হাজার টাকা বাজার থেকে উত্তোলন করে।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ড আইপিওর মাধ্যমে তুলেছে ৯৫ কোটি টাকা, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৭০ কোটি এবং এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ড বাজার থেকে তুলেছে ২৫ কোটি টাকা।

প্যাসিফিক ডেনিমস: চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় প্যাসিফিক ডেনিমসের। ওই দিন লেনদেন শেষে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম দাঁড়ায় ২৬ টাকা ৫০ পয়সা। এরপর ৫ মার্চ দাম বেড়ে হয় ২৮ টাকা ৬০ পয়সা। লেনদেন শুরু প্রথম এক মাস এভাবেই দাম বাড়ে প্রতিষ্ঠানটির ১০ টাকা মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের। অর্থাৎ লেনদেন শুরুর প্রথম এক মাসে প্যাসিফিক ডেনিমসের শেয়ার দাম বাড়ে ১৮৬ শতাংশ।

তবে বেশি দিন স্থায়ী হয়নি প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দর বৃদ্ধির এ রথ। ৫ মে’র পর থেকে অনেকটা ধারাবাহিকভাবেই প্যাসিফিক ডেনিমসের শেয়ার দাম কমেছে। টানা দাম কমে ২১ মে প্রতিটি শেয়ারের দাম নেমে আসে ২১ টাকা ৩০ পয়সায়। তবে জুলাই মাসে বাজারে উল্লম্ফন দেখা দেয়ায় এ প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দামও আবার বাড়তে থাকে। ২৬ জুলাই লেনদেন শেষে শেয়ারের দাম বেড়ে ২৬ টাকা ৯০ পয়সায় পৌঁছে যায়।

লেনদেন শুরুর প্রথম মাসের মতো এবারও মূল্য বৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকেনি। ২৬ জুলাইয়ের পর থেকে আবার ধারাবাহিকভাবে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের মূল্য কমেছে। ২৮ সেপ্টেম্বর লেনদেন শেষে প্যাসিফিক ডেনিমের দাম দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ২০ পয়সা।

শুধু প্যাসিফিক ডেনিমস নয়, বর্তমানে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির তালিকায় বা ‘এন’ গ্রুপে থাকা সব কোম্পানির তথ্য পর্যলোচনা করে একই অবস্থা পাওয়া গেছে। বর্তমানে এন গ্রুপে কোম্পানি আছে পাঁচটি। অন্য চারটি হলো, ফরচুন সুজ, নূরানী ডাইং, বিবিএস কেবলস এবং শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। লেনদেনের প্রথমদিকে এই কোম্পানিগুলোর সব ক’টির দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। এরপর শেয়ার দাম ধারাবাহিকভাবে কমে গেছে।

তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত আগস্ট মাসেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনে বড় ধরনের দাপট দেখায় এন গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলো। জুলাই মাসের শেষ দিন বিবিএস কেবলসের লেনদেন শুরু কারণেই মূলত দাপট দেখায় এন গ্রুপ।

ডিএসইর মোট লেনদেনে এন গ্রুপের অংশ চলে যায় ৮ শতাংশের ওপরে। তবে বিবিএস কেবলসের লেনদেন শুরুর এক মাস পর থেকেই আবার একই চিত্র দেখা গেছে। বর্তমানে ডিএসইর মোট লেনদেনে এন গ্রুপের অংশ কমে অর্ধেক বা ৪ শতাংশে চলে এসেছে।

লেনদেন শুরুর পর এক মাসের মধ্যে বিবিএস কেবলসের ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের দাম বেড়ে দেড়’শ টাকায় পৌঁছে যায়। এরপর পরিণতি যা হওয়ার ঘটেও তাই। ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে কোম্পানিটির শেয়ার দাম। দেড়’শ টাকা থেকে কমতে কমতে ২৮ সেপ্টেম্বর লেনদেন শেষে বিবিএস কেবলসের শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ১৩০ টাকা ৩০ পয়সায়।

লেনদেন শুরুর দিকে শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং এরপর ধারাবাহিকভাবে কমার বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ বিনিয়োগকারী কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগ করে না। তারা মূলত বাজারে যখন যে গুজব চলে তার ওপর ভিত্তি করে বিনিয়োগ করে। ফলে বিভিন্ন চক্র বাজারে নানা রকম গুজব ছড়িয়ে শেয়ার দাম বাড়িয়ে ফায়দা লুটে নেয়। শেয়ার দাম বৃদ্ধির পর ওইসব চক্র তাদের কাছে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে ছিটকে পড়ে এবং তার পর থেকেই শেয়ারের দাম কমতে থাকে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, যখন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কোন কোম্পানির শেয়ারের চাহিদা বেড়ে যায়, তখন ওই কোম্পানির শেয়ার দাম হুট করে বেড়ে যায়। তবে সব সময় এ চাহিদা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যুক্তিসংগত কোন সঠিক কারণ থাকে না। মূলত গুজবের ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীরা এ বিনিয়োগ করে। ফলে একটা পর্যায়ে এসে শেয়ার দাম ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে।

বিএসইর আরেক সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, শেয়ারবাজারে একটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন শুরুর প্রথমদিকে ওই কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি থাকে। এতে হুট করে শেয়ারের দাম বেড়ে যায়। শুরুতেই কোন কোম্পানির দাম হুট করে বেড়ে যাওয়া বাজারের জন্য ভালো না। কিন্তু এটা বন্ধ করার কোন উপায় নেই। কেউ যদি বিনিয়োগ করতে চায়, তাকে ঠেকানো যাবে না। মূলত আমাদের বিনিয়োগকারীরা যথেষ্ট পরিপূর্ণতা (দক্ষ) লাভ করেনি, যে কারণে এমন চিত্র দেখা যায়। তবে যারা চালাক তারা দাম কমার আগেই বিক্রি করে দেয়।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. বখতিয়ার হাসান বলেন, এন গ্রুপের কোম্পানিগুলোর দাম ও লেনদেন চিত্র দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, লেনদেন শুরু হওয়ার প্রথম কয়েকদিন দাম হু হু করে বাড়ছে। কিছুদিন দাম বাড়ার পর এক পর্যায়ে এসে টানা দাম কমে যাচ্ছে। এমন হুট করে দাম বাড়ার পেছনে যেমন গুজব কাজ করছে, তেমনি রেগুলেটরি (নিয়ন্ত্রণ) দুর্বলতাও রয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিয়ন্ত্রণ সঠিকভাবে না হওয়ার কারণেই নতুন কোম্পানির শেয়ার দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে এবং এক পর্যায়ে এসে দাম কমে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ১০ টাকার একটি শেয়ার এমনি এমনি দেড়’শ টাকায় পৌঁছে যেতে পারে না। এটাকে কিছুতেই স্বাভাবিক বলা যায় না। একটি কোম্পানি ১০ টাকা মূল্যে শেয়ারবাজারে আসল, আর তালিকাভুক্তির পরপরই তার আর্থিক অবস্থার কি এমন পরিবর্তন ঘটল শেয়ার দাম ১৪শ’ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাবে।

নিশ্চয় কোন বিশেষ চক্র এমন দাম বাড়ার পেছনে রয়েছে। দাম বাড়ার পর ওই চক্র তাদের ফায়দা লুটে শেয়ার ছেড়ে দিয়েছে। যার প্রভাব এখন শেয়ার দামে দেখা যাচ্ছে। ফলে ধারাবাহিকভাবে দাম কমছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিত যারা এমন দাম বাড়িয়ে ফায়দা লুটেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তা না হলে এমন ঘটনা বারবার ঘটতে থাকবে এবং এক শ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ধরা খাবেন।

ফরচুন সুজ: গত বছরের ২০ অক্টোবর লেনদেন শুরু হওয়া ফরচুন সুজের ১০ টাকার শেয়ার প্রথম দিনেই লেনদেন হয় ৬০ টাকায়। এরপর কিছুদিন দাম কমলেও ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিটি শেয়ারের দাম ৬২ টাকা ৯০ পয়সায় পৌঁছে যায়। তবে এ পর্যায়ে এসে অনেকটা ধারাবাহিকভাবেই কমেছে ফরচুন সুজের শেয়ার দাম। ২৮ সেপ্টেম্বর লেনদেন শেষে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ৫০ পয়সা। অথচ সেপ্টেম্বর মাসের শরুতেও কোম্পানিটির শেয়ার ৬১ টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে।

নূরানী ডাইং: চলতি বছরের ১ জুন লেনদেন শুরুর প্রথম দিন নূরানী ডাইং-এর শেয়ার দাম দাঁড়ায় ২০ টাকা ৮০ পয়সা। এরপর দাম বাড়তে বাড়তে তা ১২ জুলাই ২৭ টাকায় পৌঁছে যায়। এ পর্যায়ে এসে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম কমতে থাকে। ২৮ সেপ্টেম্বর লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৭০ পয়সা। তবে গত ১৮ সেপ্টেম্বরও প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম ২৩ টাকার ওপরে ছিল।

শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ: এন গ্রুপের অপর প্রতিষ্ঠান শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের লেনদেন শুরু হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম দিনের লেনদেন শেষে প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়ায় ৫৩ টাকা ১০ পয়সা। পরের কার্যদিবসে তা বেড়ে হয় ৫৫ টাকা ৪০ পয়সা।

এরপর থেকেই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম ধারাবাহিকভাবে কমেছে। ২৮ সেপ্টেম্বর লেনদেন শেষে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ৬০ পয়সা। অথচ চলতি মাসের শুরুতেও কোম্পানিটির শেয়ার দাম ৪০ টাকার ওপরে ছিল।