bangladesh-bankদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা চুরি যাওয়ার ঘটনায় সিআইডির তদন্তে চূড়ান্তভাবে ১০ কর্মকর্তার নাম আসতে পারে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, ব্যাংকের সাবেক একজন উপ-পরিচালক (ডিডি), একজন সহকারী পরিচালক (এডি), একজন ডিজিএম, ব্যাক অফিস অব দ্য ডিলিং রুমের এক নারী কর্মকর্তাসহ ছয়জন, পেমেন্ট অফিসের এক কর্মকর্তা, একাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং শাখার সাবেক এক কর্মকর্তা, বাজেট শাখার সহকারী পরিচালক পদের এক কর্মকর্তা এবং গভর্নরের সচিবালয়ের তিন কর্মকর্তার নাম যুক্ত করা হচ্ছে।

দেড় বছরের দীর্ঘ তদন্তে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় ১২০ জন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তের প্রায় শেষ পর্যায়ে ব্যাংকের ১০ জনের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এর আগে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় ১০১ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮৮০ কোটি টাকা) চুরির ঘটনা ঘটে। অর্থের একটি বড় অংশ ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের (আরসিবিসি) মাধ্যমে ফিলিপাইনের জুয়ার টেবিলে চলে যায়।

চুরির মাসখানেক পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির হিসাব ও বাজেট শাখার যুগ্ম পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪-সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন ২০০৬-এর ৫৪ ধারায় ও বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা করা হয়। এতে ‘অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের’ আসামি করা হয়। সংবেদনশীল এই মামলাটির তদন্তের দায়ভার দেয়া হয় সিআইডিকে।