icb-logoজ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক,দেশ প্রতিক্ষণ,ঢাকা:  ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের আইসিবি’র ২৩৮ কোটি টাকা লুটে শীর্ষ ৫ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব করেছে। আজ সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তলব করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহীসহ ঊর্ধ্বতনসহ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে।  দুদক থেকে দেওয়া নোটিশে তাদেরকে আগামী ১২ ও ১৩ নভেম্বর প্রধান কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্যা বলা হয়েছে।

‍এরমধ্যে আগামী ১২ নভেম্বর তলবকৃত কর্মকর্তারা হলেন-আইসিবির সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. এহিয়া মন্ডল, মো. সামছুল আকন্দ ও ধনঞ্জয় কুমার মজুমদার। আর ১৩ নভেম্বর তলবকৃতরা হলেন: এক্সিকিউটিভ অফিসার সুপ্রিয় সাহা ও সিনিয়র অফিসার এ কে এম রেজাউল হক।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, আইসিবি এবং এর সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডে (আইএসটিসিএল) ২৩৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকার অনিয়ম হয়েছে। এর মধ্যে ২০০৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে পিটি হিসাব (পাবলিক ট্রেড হিসাব) সমূহে নিয়ম বর্হিভূতভাবে ঋণ সীমার অতিরিক্ত ১২৩ কোটি ২৮ লাখ টাকার মার্জিন ঋণ প্রদান করা হয়েছে।

এর সঙ্গে জড়িত তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী ছানাউল হক, উপ-প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিপু সুলতান ফারাজীসহ ছয়জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের এ অনিয়মের কারণে সরকারে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।

সূত্র আরও জানায়, আইএসটিসিএলের প্রধান কার্যালয়ের ১৯১টি পিটি হিসাবে ২০০৮ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ২৩৭ কোটি ৮২ লাখ ৭০ হাজার টাকার মার্জিন ঋণ প্রদান করা হয়। এ হিসাবসমূহে নিয়ম বর্হিভূতভাবে ঋণ সীমার অতিরিক্ত ১২৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা প্রদান করা হয়।

এ পিটি হিসাবসমূহ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মূলত ২০০৯, ২০১০ এবং ২০১১ সালের প্রথম দিকেই মার্জিন ঋণ সীমার ব্যাপক অনিয়ম ঘটিয়ে সিকিউরিটিজ ক্রয় করা হয়।

হিসাব পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ১০৩২ নম্বর পিটি হিসাবে ডেবিট স্থিতি থাকা অবস্থায় কাজী ছানাউল হকের মেয়াদকালে ২০০৮ সালের ১৯ অক্টোবরে ১৭ লাখ ৪৮ হাজার ৮৯১ টাকার ক্রেডিট স্থিতির ওপর ১৮ লাখ এবং ২০ অক্টোবর ৫১ হাজার টাকা ডেবিট স্থিতির ওপর পুনরায় ৭ লাখ টাকা তহবিল উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটা বিধিবর্হিভূত এবং গুরুতর অনিয়ম।

আর ৪৪৮১ নম্বর পিটি হিসাবে প্রায় সাড়ে ৪৪ লাখ টাকা ডেবিট স্থিতি থাকা অবস্থায় ছানাউল এবং ফারাজীর মেয়াদে ২০১০ সালের ৪ অক্টোবর সিকিউরিটিজ অন্য প্রতিষ্ঠানের লিংক বিও-তে স্থানান্তর করা হয়েছে যা শতভাগ নিয়ম লঙ্ঘন।

এসব ঘটনায় আইসিবি ব্যাংক পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। আর তদন্তেও মিলেছে এমন সত্যতা। দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়র প্রধান বিষয়টির অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।