ipoআমাদের বাজারের তারল্য সংকট বহুদিন ধরে চলছে। এখনও এই সংকট থেকে বাজার বেরুতে পারছে না। বরং দিন দিন এই সমস্যা আরো প্রকট হচ্ছে।

এর মধ্যেই অনৈতিক ভাবে বিভিন্ন কারসাজির মাধ্যমে নতুন নতুন কোম্পানিকে লিস্টেড করা হচ্ছে। এই সব কোম্পানি ১০ টাকার কাগজ দিয়ে বহুগুন বেশি অর্থ বাজার থেকে নিয়ে যাচ্ছে।

এই নতুন শেয়ার বাজারে আসার পর শুরু হচ্ছে বড় ধরনের কারসাজি। এটা আমরা সাধারন বিনিয়োগকারীরা যেমন জানি- DSE, BSEC এবং মার্কেট সংশ্রিষ্ট সবার কাছেই পরিস্কার। তারপরও অজানা কারনে এই সব প্রতিষ্ঠান চুপ করে আছে। কেন?

কারন এরাই বিভিন্ন কারসাজি করে অতি উচ্চ মূল্যে “আদা পঁচা” কতগুলো কোম্পানিকে বাজারে নিয়ে আসছে।

আমরা সাধারন বিনিয়োগকারীরা এখানে একেবারেই অসহায়। আমাদের কিছুই করার নেই। আমরা প্রতিবাদ করতে পারি কিছু দাবি দাওয়া পেশ করতে পারি। যদি উপরের সৎ কোন কর্মকর্তার চোখে পড়ে তাহলে হয়তো সরকারের উপর মহলে পৌছে দিতে পারে।

বুকবিল্ডিং প্রথা বাতিল করা হোক।

BSEC একটি কমিটি করে IPO র মূল্য নির্ধারন করুক। কমিটির সদস্যদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হোক।

স্টক ব্রোকারদের IPO কোঠা বাতিল করা হোক।

ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের IPO কোঠা বাতিল করা হোক।

ব্রোকার হাউজরা IPO নিয়ে বহু প্রকার কারসাজি করে আসছে এইগুলো বন্ধ করা হোক। এই কারসাজি নিয়ে পূর্নাঙ তদন্ত করা হোক।

IPO লিস্টেড হওয়ার প্রথম দিন থেকেই সার্কিট ব্রেকার পদ্ধতি প্রয়োগ করা হোক।

উদ্যোক্তা পরিচালকদের বোনাস শেয়ার বিক্রির উপর ১ বছরের লকইন রাখা হোক।

আবদুল মান্নান, বিনিয়োগকারী