DSE-mobile-appsমোবারক হোসেন, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে ক্রমেই বাড়ছে মোবাইল অ্যাপস ব্যবহারকারীর সংখ্যা। অ্যাপস চালুর প্রায় ১৯ মাসে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ২২ হাজার। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যবহারকারীদের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এ অ্যাপসটি। মূলত যারা নিয়মিত পুঁজিবাজারে আসা এবং লেনদেনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারেন না তাদের ক্ষেত্রে এ অ্যাপসের ব্যবহার বাড়ছে।

জানা গেছে, এই অ্যাপ চালুর পর ক্রম বর্ধমান হারে মোবাইলে লেনদেন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলছে, যা ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৬০৭ জনে। যেখানে গেল মাসের ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত মোবাইলে লেনদেনে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা ছিল সাড়ে ২১ হাজার। গেল জুলাই মাসে নিবন্ধিত গ্রাহক ছিল ১৫ হাজার।

পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারীদের লেনদেন পদ্ধতি সহজ করার উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালের ৯ মার্চ ডিএসইতে সংযোজন হয় মোবাইল অ্যাপ। একই বছরের জুনে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ হাজার অতিক্রম করে। অক্টোবরে তা বেড়ে দ্বিগুণ হয়। ডিসেম্বরে মোবাইলে লেনদেনে গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬ হাজারে। ২০১৭ সালের শুরুর দিকে এটি আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ২০১৭ সালের প্রথম চার মাসে গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭ হাজারে।

ডিএসই মোবাইল অ্যাপের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি মাসে গড়ে এক হাজারের বেশি মোবাইল অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেনকারী বেড়েছে। ২০১৭ সালের ৩১ মে সময়ে অ্যাপস ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ২৮১ জন। জুন মাসে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৪৮ জন। আর জুলাই মাসে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৩৯৯ জন। চলতি বছরের আগস্ট মাসে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে হয় ১৭ হাজার।

ডিএসই-মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে যে কোনো স্থান থেকেই শেয়ার কেনাবেচা করা যায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ‘ডিএসই-মোবাইল’ নামের অ্যাপসটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে স্মার্টফোনে সংযুক্ত করতে হয়। ব্রোকারেজ হাউসের কাছ থেকে পাসওয়ার্ড ও আইডি নম্বর নিয়ে শেয়ার কেনাবেচা ও পোর্টফোলিও এবং মার্কেটের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত থাকা যায়।

স্মার্টফোনে বাজার ও নিজ পোর্টফোলিওর সঙ্গে সরাসরি থাকার সুযোগ রয়েছে এই অ্যাপে। ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপে ব্যবহারের জন্যও ডিএসই-ইনভেস্টর নামের অ্যাপস রয়েছে। বর্তমানে বিনামূল্যে অ্যাপসটি সংযোজন বা রেজিস্ট্রেশন করা যায়।

এ প্রসঙ্গে বিনিয়োগকারী আলী আহমেদ বলেন, আমি নিজেও এই অ্যাপস ব্যবহার করি। এতে লেনদেন আগের তুলনায় অনেক সহজ হয়েছে। এই অ্যাপস দিয়ে নিজের পোর্টফোলিও ম্যানেজ করা যায়। ফলে কখন কোন শেয়ার বিক্রি করতে হবে, কখন কোন শেয়ার ক্রয় করতে হবে তা সময়মতো সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয়।

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত জাতীয় ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক আ ন ম আতাউল্লাহ নাঈম বলেন, অ্যাপসটিকে আরও জনপ্রিয় করতে ডিএসইর উদ্যোগ নেয়া উচিত। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে বিনিয়োগকারীদের এর সুফল সম্পর্কে জানান দেয়া প্রয়োজন।

তিনি বলেন, অ্যাপসটি মূলত যারা নিয়মিত পুঁজিবাজারে আসতে পারেন না তাদের জন্য উপকারী। একই সঙ্গে যারা নিয়মিত পুঁজিবাজারে আসেন তারাও এটি ব্যবহার করে থাকেন। তিনি বলেন, অ্যাপের মধ্যে যেসব সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে তা নতুন বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করবে।