CMCদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি সিএমসি কামাল টেক্সটাইল মুনাফা বাড়লেও বাড়েনি ডিভিডেন্ড। ফলে কোম্পানির নতুন ব্যবস্থাপনার উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীরা নতুন ব্যবস্থাপনার কাছে ভালো ডিভিডেন্ড প্রত্যাশা করেছিলেন। তবে তাদের প্রত্যাশার সাথে মিল নেই।

সিএমসি কামাল টেক্সটাইলের ২০১৬-১৭ অর্থবছরের শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়েছে ৫৯ শতাংশ। এর বিপরীতে লভ্যাংশ ঘোষণা বেড়েছে ২৬ শতাংশ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটির ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ইপিএস হয়েছে ১.৯২ টাকা। যার পরিমাণ আগের বছরে হয়েছিল ১.২১ টাকা। এ হিসাবে ইপিএস বেড়েছে ০.৭১ টাকা বা ৫৯ শতাংশ।

অপরদিকে আগের ১৮ মাসে (জানুয়ারি ১৫-জুন ১৬) ১৩ শতাংশ হিসাবে ১২ মাসে ৮.৬৭ শতাংশ বা প্রতিটি শেয়ারে ০.৮৭ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। এবার ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ১২ মাসে ১১ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি ১.১০ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। এ হিসাবে শেয়ারপ্রতি লভ্যাংশ বেড়েছে ০.২৩ টাকা বা ২৬ শতাংশ।

এদিকে ডিএসইতে সিএমসি কামালের ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়ের লভ্যাংশ প্রদানের তথ্য আছে। কিন্তু কোন বছরই কোম্পানিটি থেকে নগদ লভ্যাংশ প্রদান করেনি। তবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সিএমসি কামালের ২০১৬-১৭ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ১.৯২ টাকা হিসাবে নিট ২১ কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে। এর বিপরীতে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১১ শতাংশ হারে প্রতিটি শেয়ারে ১.১০ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ হিসাবে মুনাফার ১২ কোটি ৩ লাখ টাকা বা ৫৭ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যাতে বাকি ৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বা ৪৩ শতাংশ রিজার্ভে যোগ হবে।

১০৯ কোটি ৪০ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের সিএমসি কামালে ৫০ কোটি ৬১ লাখ টাকার রিজার্ভ রয়েছে। যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ব্যবসায় মুনাফার কম লভ্যাংশ ঘোষণা করায় এর পরিমাণ আরও ৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বাড়বে।