baraka powerদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বারাকা পাওয়ার লিমিটেডের ১০ম বার্ষিক সাধারন সভা কোম্পানির সচিব মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় গত ১৪ ডিসেম্বর সিলেট শহরের পূর্ব দরগা গেইট স্টার প্যাসিফিক হোটেল এর হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত বাষিক সাধারন সভা কোম্পানির চেয়ারম্যান ফয়সাল আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, বারাকা পাওয়ার লিমিটেড নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ৫১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে জাতীয় উন্নয়নে অগ্রনী ভুমিকা রেখে আসছে। কোম্পানিটির ব্যবসায়িক সাফল্য, সুনাম ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নতুন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছে।

বারাকা গ্রুপ বিগত অর্থবছরের মে মাসে বেলা ফ্যাশন লিমিটেড নামে ১০০ শতাংশ রপ্তানীমুখী চালু গামের্ন্টস একুইজিশন করেছে। গত ৮ আগষ্ঠ বারাকা পাওয়ারের একটি সাবসিডিয়ারি কর্নফুলী পাওয়ার লিমিটেড ১১০ মেগাওয়াট সম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য পিডিবির কাছ থেকে এলওএল প্রাপ্ত হয়। এছাড়া চট্টগ্রামের শিকলবাহায় আরো একটি ১০০ যোগ ১৫ শতাংশ মেগাওয়াট সম্পন্ন ফারনেস ওয়েল ভিত্তিক পাওয়ার প্লাটের আবেদন সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।

বারাকাগ্রুপ ভবিষ্যতে এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ট্যাঙ্ক টার্মিনাল রোল রইচ এর সাথে এসএম আর টেকনেলজি নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া চলমান প্রজেক্ট হিসেবে বারাকা এপারেলস লিমিটেড নামে নির্মান কাজ চলছে যা প্রাথমিক ভাবে ২০ লাইন ওভেন ও স্যুট খ্যাত বিশ্বমানের লিডস গ্লোড প্ল্যানটিনাম সারটিফাইড তৈরী পোষাক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।

বারাকা পাওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম রাব্বানী চৌধুরী তার বক্তব্যে কোম্পানির পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কোম্পানিটির সম্মলিত মুনাফা ৪৫.৭৮ কোটি টাকায় উন্নতি হয়েছে যা বিগত বছরের তুলনায় ১.৮৭ কোটি টাকা বেশি মুনাফা করেছে।

শেয়ার প্রতি আয় গত বছরের তুলনায় ৪.৩৬% বৃদ্ধির মাধ্যমে বারাকা পাওয়ার লিমিটেড আরো একটি সফল বছর পার করেছে। কোম্পানিটির বর্তমান শেয়ার প্রতি সম্পদ ২০ টাকা দাড়িঁয়েছে।

এছাড়া বারাকা পাওয়ার লিমিটেডের একটি সাবসিডিয়ারি বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য লঙ্কাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডকে ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বারাকা পাওয়ার লিমিটেড ১০ম বাষিক সাধারন সভায় ১৫ শতাংশ স্টক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।