Lafarge-Cementদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের বহুজাতিক কোম্পানি লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট নিয়ে ফেইসবুকে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। বহুজাতিক কোম্পানি লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের শেয়ারদর বছরের সর্বনিম্ন পর্যায়ে হঠাৎ করে শেয়ারের দরবৃদ্ধিতে নানা গুঞ্জন চলছে। কেউ বলেছে এ শেয়ারের দাম আরো বাড়বে, আবার কেউ বলেছেন গুজব ছড়িয়ে শেয়ারের দাম বৃদ্ধির চেষ্টা কারসাজির চক্রের।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর আবারও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরে আসে এবং এদিন লেনদেনের শীর্ষ তালিকায়ও কোম্পানিটি স্থান করে নেয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

lafazবাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত বুধবার (২০ ডিসেম্বর) লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের শেয়ারদর ৫২ টাকার নিচে লেনদেন হয়। এটি গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বনিম্ন শেয়ারদর। পরের দিন বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরতে দেখা যায়। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর বৃদ্ধি পায় ৬ শতাংশের বেশি এবং লেনদেন বৃদ্ধি পায় আগের দিনের চেয়ে ১৯৯.৬৬ শতাংশ।

কিন্তু জুলাই থেকে কোম্পানিটির শেয়ার পতন প্রবণতায় নেমে আসে। এর কারণ হলো-হোলসিম ও লাফার্জের মধ্যে শেয়ার কেনাবেচার যে দরদাম ঠিক হয়েছিল, বাংলাদেশ ব্যাংক সেই দাম অনুমোদন করেনি। ফলে কোম্পানি দুটি একীভূত হওয়ার পথে জটিলতার সৃষ্টি হয়।

আর এর বিরুপ প্রভাব পড়ে শেয়ারবাজারে। এক পর্যায়ে গত বুধবার কোম্পানিটির শেয়ার দর বছরের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর বছরের সর্বোচ্চ দর অপেক্ষা ৩৮ শতাংশ বেশি দর হারিয়ে ৫২ টাকার নিচে লেনদেন হতে দেখা যায়।

তবে পরের দিন বৃহস্পতিবার পতনের বাজারেও কোম্পানিটির শেয়ার দরে চাঙ্গাভাব দেখা যায়। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ও লেনদেন উভয়ই হঠাৎ বৃদ্ধি পায়।

উল্লেখ্য, গত হিসাব বছরে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। চলতি হিসাব বছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ৩৭ পয়সা মুনাফা করেছে। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ১ টাকা ১৩ পয়সা।

২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১১৬১ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং বর্তমান রিজার্ভ ও সারপ্লাস ৩৭৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে কোম্পাটির শেয়ার রয়েছে ৬৪.৬৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪.৪১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ১.১৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯.৭২ শতাংশ শেয়ার।