EMARELD1দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি এমারেন্ড অয়েল ৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য লভ্যাংশ দিতে পারেনি। এমনকি কোম্পানিটি বার্ষিক সাধারণ সভাও (এজিএম) করতে পারেনি। এছাড়া, কোম্পানিটির উৎপাদনও দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ। এসব কারণে কোম্পানিটির শেয়ার জানুয়ারির প্রথম কার্যদিবস থেকে জেড ক্যাটাগরিতে অবনমন হতে যাচ্ছে বলে স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে, দুদকের মামলায় এমারেল্ড অয়েলের প্রধান উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হাসিবুল গণি গালিব এখন পলাতক। ওই মামলায় গ্রেফতার হয়ে কিছুদিন জেল খাটার পর জামিন নিয়ে তিনি বিদেশে পাড়ি জমান। এরপর আর দেশে ফেরেননি। তবে তার আগে থেকেই কোম্পানিটিতে স্থবিরতা নেমে আসে।

ওই মামলায় কোম্পানিটির সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। আর্থিক সংকট ও নেতৃত্ব শূন্যতার কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ে কোম্পানিটির।  তবে উৎপাদন বন্ধ থাকলেও গত কয়েকদিন যাবত হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করেছে এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার দর। সর্বশেষ তিন কার্যদিবস শেয়ারটির দর প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়ে ২৩ টাকা ১০ পয়সায় উঠে।

এমনকি ওই তিনদিনের মধ্যে ক্রয়ের চাপে শেয়ারটি বিক্রেতাশূন্য অবস্থায় পড়ে। তবে গত রোববার কোম্পানিটির দর ৯ শতাংশের কাছাকাছি বাড়লেও বিক্রেতা শুন্য হয়নি।

page 1 (1)এর আগে তালিকাভুক্তির পৌনে দুই বছর পর ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে কোম্পানিটির শেয়ার দর সর্বোচ্চ ৮০ টাকায় ওঠে। পরের দুই মাসে তা ক্রমাগত কমে ৫০ টাকায় নামে। ওই বছরের মার্চেই শেয়ারটি দুই সপ্তাহে ৫০ টাকা থেকে ১৫ টাকা বেড়ে ৬৫ টাকায় দাঁড়ায়। এরপর তা ক্রমাগত কমতে থাকে। গত দেড় বছরে মালিকানা বদলের ইস্যুতে চার দফায় অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটে কোম্পানিটির।

উল্লেখ্য, এমারেল্ড অয়েলের বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৫৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে কোম্পানিটিরশেয়ার রয়েছে ২৮ দশমিক ৪২ শতাংশ। ২০১৪ সালে তালিকাভুক্তির সময় তাদের কাছে শেয়ার ছিল মোটের ৩৪ শতাংশ। তাছাড়া তাদের নিকটাত্মীয়দের নামে ছিল আরও ২৩ শতাংশ শেয়ার।

গত তিন বছরে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা-পরিচালকরা ঘোষণা দিয়ে তাদের প্রায় ৩০ লাখ ৩৫ হাজার শেয়ার (মোট ৫ শতাংশ) প্রায় সোয়া ১৮ কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন। দুদকের মামলার পর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের নিকটাত্মীয়রাও নিজেদের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন।

তালিকাভুক্তির সময় কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গালিবের শেয়ার ছিল ১ কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার। অর্থাৎ কোম্পানিটিতে তার নিজস্ব বিনিয়োগ ছিল ১১ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ২০১৫ সালের মার্চে এবং ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে দুই দফায় ৩৯ টাকা ৬০ পয়সা ও ৭২ টাকা ৬০ পয়সা দরে ১৭ লাখ ৪৩ হাজার শেয়ার বিক্রি করেন তিনি। যার মূল্য ছিলপ্রায় পৌনে ১১ কোটি টাকা।