sir llআমি একজন শিক্ষক। মানুষ গড়ার কারিগর। দেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রী নিয়ে আমাদের সন্তানেরা চাকরীর অভাবে আত্মহত্যা করে, মাদকাসক্ত হয়, সন্ত্রাসী হয়ে ওঠে এবং জঙ্গি দলে যোগ দেয়। এ ব্যর্থতা যারই হোক আমাদের সমাধানের পথ খুজে বের করতে হবে। উচ্চশিক্ষিত এই ধারার জন্য সরকারি বেসরকারি খাতে অনেক বেশি কর্মসংস্থানের জন্য বাজেট বৃদ্ধি করতে হবে।।

চাকরীর বয়সসীমা ৩৫ বছর করতে হবে কারণ :

১. সরকারি চাকরীর অবসর এর বয়স ৫৭ থেকে ৫৯ করা হয়েছে।

২. সরকারি চাকরিতে Extension, পুনঃনিয়োগ, রাজনৈতিক নিয়োগ দিয়ে নীচের কর্মকর্তারা উপরে উঠতে পারছেন না। উপরে পদ খালি না হওয়াতে নিচে পদ সৃষ্টি করা যাচ্ছেনা।

৩. বাজেট সীমাবদ্ধতার কারণে ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও সরকার হাজার হাজার পদ সৃষ্টি করতে না পারায় কোন BCS আবেদনকারী একাধিকবার পরিক্ষা দিয়ে সরকারি চাকরিতে ঢুকতে পারছেন না।তাই স্বল্প সংখ্যক আবেদনকারি BCS চাকরীর সুযোগ পাচ্ছেন।

৪. রাজনৈতিক শক্তিগুলোর রাজনৈতিক সংঘর্ষ ও রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে Session Jam সৃষ্টি হয়েছে, হচ্ছে। ছাত্র ছাত্রীরা Masters Degree নিয়ে ২৪-২৫ বৎসর বয়সের স্থলে ২৮-২৯ বৎসর বয়সে কর্ম বাজারে আসছে।

৫. গ্রাম বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সামাজিক বাস্তবতার আলোকে ১৬ বৎসরে SSC ১৮ বৎসরে HSC পাশ যারা করতে পারেননা তারা ২৯-৩০ বৎসর বয়সে Masters পাশ করেন। তাদের মধ্যে মেধাবীরা BCS পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পান না।

৬. তাছাড়া ভারতে IASC এর বয়সসীমা ৩২-৩৫ বৎসর, নেপালে ৩২-৩৫ , ভুটানে ৩৫ বৎসর এবং মালদ্বীপে বয়সসীমা আরও বেশি।

সমস্ত বিষয় পর্যালোচনা করলে যেকোনো গণমুখী সরকারের উচিত BCS এর বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করা ।

প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
চেয়ারম্যান, এন.বি.ই.আর
সিনিয়র প্রফেসর, মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়.