dse lago deshprotikhonদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। কোম্পানিগুলোর ৩০ জুন, ২০১৬ সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন মূল্যায়নের ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিগুলো হলো- মুন্নু সিরমিক, মুন্নু জুট স্ট্যাফলার্স, ফাইন ফুড, দেশ গামেন্টর্স এবং একটিভ ফাইন কেমিক্যাল লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, মুন্নু সিরামিক ও মুন্নু জুট স্ট্যাফলার্স কোম্পানি দুটি ৩০ জুন, ২০১৬ সমাপ্ত হিসাব বছরের ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বন্টন করেনি বলে মন্তব্য করেন নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান।

মুন্নু সিরামিক: সিরামিক খাতের এ কোম্পানি ১ কোটি ১৯ লাখ ৬৪ হাজার ১০ টাকার ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বন্টন করেনি; যা ৩০ জুন ২০১৭ হিসাব বছরের প্রদেয় ডিভিডেন্ড হিসাবে রাখা হয়েছে। যা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিস্টিং রেগুলেশন-২০১৫ এর ধারা (২৮) লঙ্গন। উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ৩০ জুন, ২০১৬ সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিলো।

মুন্নু জুট স্ট্যাফলার্স: জুট খাতের এ কোম্পানি ৪ লাখ টাকার ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বন্টন করেনি; যা ৩০ জুন ২০১৭ হিসাব বছরের প্রদেয় ডিভিডেন্ড হিসাবে রাখা হয়েছে। যা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিস্টিং রেগুলেশন-২০১৫ এর ধারা (২৮) লঙ্গন। উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ৩০ জুন, ২০১৬ সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

ফাইন ফুড: খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের এ কোম্পানিকে বিক্রয় ও বিক্রয় বাবদ টাকা আদায়ের ক্ষেত্রে সঠিক অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণের জন্য, নিরীক্ষক কোম্পানিটিকে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা জমার পরামর্শ দিয়েছেন। একইসঙ্গে যেকোন টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে ব্যাংকের মাধ্যমে করার পরামর্শ দিয়েছেন। যা আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর সেকশন ৩০(আই) ও (এম) পরিপালনে সহায়তা করবে।

দেশ গামেন্টর্স: বস্ত্র খাতের কোম্পানিটি স্থায়ী সম্পদের বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য দেয়নি বলে মন্তব্য করেছে নিরীক্ষক। যার কারণে নিরীক্ষক স্থায়ী সম্পদ, প্ল্যান্ট অ্যান্ড ইক্যুপমেন্টের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। ফলে এসব বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির নিরীক্ষক আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন।

এছাড়াও কোম্পানিটি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবে মুনাফা ও সম্পদ বেশি দেখিয়েছে। বাংলাদেশ হিসাব মান (বিএএস)-১৬ অনুযায়ি, দেশ গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ পূণঃমূল্যায়নজনিত অতিরিক্ত (সারপ্লাস) সম্পদের উপর ২০১৬-১৭ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবে অবচয় গণনা করেননি। যাতে ওই অর্থবছরে মুনাফা ও সম্পদ বেশি দেখানো হয়েছে।

একটিভ ফাইন কেমিক্যাল: ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) শেয়ার ধারনের নির্দেশনা মানছেন না বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

বিএসইসির ২০১১ সালের ৭ নভেম্বরের নির্দেশনা অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত প্রত্যেক কোম্পানির পরিচালককে এককভাবে ২ শতাংশ ও সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু অ্যাকটিভ ফাইনের এক পরিচালক ১.৯৮ শতাংশ শেয়ার ধারনের মাধ্যমে বিএসইসির ওই নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া সম্মিলিতভাবে মাত্র ১২.০২ শতাংশ শেয়ার ধারনের মাধ্যমেও ওই নির্দেশনা লঙ্ঘন করা হয়েছে।