summit-power-limitedদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সামিট কর্পোরেশন লিমিটেড ও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানী সামিট পাওয়ার লিমিটেডের যৌথ মালিকানায় নির্মাণাধীন মোট ৪৪৯ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র আগামী ২০১৮ সালের মে- জুনের মধ্যে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে। সামিট পাওয়ারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ তথ্য শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।

বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটি হলো ১৪৯ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার এইস অ্যালায়েন্স পাওয়ার লিমিটেড এবং ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার সামিট গাজীপুর ২ পাওয়ার লিমিটেড। কেন্দ্র দুটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হলে সামিট পাওয়ারের শেয়ার প্রতি আয় (ঊচঝ) বাড়বে বলে জানিয়েছেন সামিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সামিট গাজীপুর ২ পাওয়ার লিমিটেড: সামিট গাজীপুর ২ পাওয়ার লিমিটেড, সামিট কর্পোরেশন লিমিটেড এবং পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সামিট পাওয়ার লিমিটেডের যৌথ মালিকানাধীন প্রজেক্ট কোম্পানী। এটি এ যাবৎ দেশের সর্ববৃহৎ রেসিপ্রোকেটিং ইঞ্জিন চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে যেটি জাতীয় গ্রীডে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। এছাড়া এটি বাংলাদেশের অন্যতম ফাস্ট ট্র্যাক প্রজেক্ট হওয়ায় মাত্র ৯ মাসের মধ্যে কেন্দ্রটি বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে বলে আশা করা যায়।

এর আগেও সামিট পাওয়ারের আরেকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ১০২ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সামিট নারায়নগঞ্জ পাওয়ার প্ল্যান্ট ইউনিট-১ মাত্র ৯ মাসে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায়। উল্লেখ্য, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে সামিট গাজীপুর ২ পাওয়ার লিমিটেডের সাথে বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (PPA) এবং বাস্তবায়ন চুক্তি (IA) সম্পন্ন হয়।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মেয়াদ হবে ১৫ বছর। এর আগে ১০ আগস্ট, ২০১৭ সালে এই কেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অনুমতিপত্র (LOI) পায় সামিট পাওয়ার লিমিটেড।

এইস অ্যালায়েন্স পাওয়ার লিমিটেড: এইস অ্যালায়েন্স পাওয়ার লিমিটেড ১৪৯ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ডুয়েল ফুয়েল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। কেন্দ্রটিতে বিনিয়োগের জন্য এইস অ্যালায়েন্স পাওয়ারের সব শেয়ার কিনে নিয়েছে সামিট গ্রুপ। প্রকল্পটির লিড ও অপারেটিং স্পন্সর হিসাবে কাজ করছে সামিট পাওয়ার লিমিটেড।এই প্রকল্পে সামিট গ্রুপ নিজস্ব অর্থ বিনিয়োগ ছাড়াও বিদেশি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নেবে।

উল্লেখ্য, ১২ এপ্রিল ২০১৭ সালে এইস অ্যালায়েন্স পাওয়ার লিমিটেডের সাথে বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (PPA) এবং বাস্তবায়ন চুক্তি (IA) সম্পন্ন হয়। এর আগে ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর এই কেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অনুমতিপত্র (LOI) পায় সামিট পাওয়ার লিমিটেড। কেন্দ্রটি ১৫ মাসের মধ্যে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে বলে আশা করা যায়।