khlada -tarekদেশ প্রতিক্ষণ,ঢাকা: দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা হয়ে জেলে গেলে জোবাইদা রহমান নয় দলকে নেতৃ্ত্বে দেবেন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডনে থাকলেও তারেক রহমানই বিএনপির প্রধান নেতা হবেন। তার পরার্মশেই দলের স্থায়ী কমিটির ৯ সদস্য সম্মিলিতভাবে দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। আর সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার কথা রয়েছে। রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা হলে বিএনপির নেতৃত্ব কে দেবেন তা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। তবে সব আলোচনার অবসান ঘটিয়ে বিএনপির সর্বশেষ স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে-তারেক রহমানের পরার্মশে দলের সিনিয়র নয়জন নেতা সম্মিলিতভাবে দল চালাবেন।

বেশকিছুদিন ধরেই বিএনপিতে ডা. জোবাইদা রহমানের নেতৃত্ব নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছিল। বেগম খালেদা জিয়া জেলে গেলে কার্ডিওলজির চিকিৎসক জোবাইদা রহমান বিএনপির কান্ডারি হবেন এমন গুঞ্জন ছিল। কিন্তু এসব আলোচনার মধ্যেই জানা যাচ্ছে, জোবাইদা নয় খালেদা জিয়ার অবর্তমানে দল চালাবেন তারেক রহমান। তার হাতেই থাকছে বিএনপির কর্তৃত্ব।

বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পাবেন। কারণ আমাদের আইনজীবীরা প্রমাণ করেছেন দুর্নীতির যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন। তারপরও যদি অন্যায়ভাবে আমাদের চেয়ারপার্সনকে সাজা দেয়া হয় তাহলে জনগণই তার উচিত জবাব দেবে।

বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী খালেদা জিয়ার পর তারেক রহমান আমাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা। যদিও তিনি এখন দেশে নাই। তারপরও বিএনপি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তার পরার্মশে দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। আমাদের চেয়ারপার্সন দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতাদের সম্মিলিতভাবে দল পরিচালনার কথা বলেছেন। পরিস্থিতি বাধ্য করলে তারেক রহমানের পরামর্শক্রমে আমরা সেই দায়িত্ব পালন করব।

বিগত ওয়ান ইলেভেনের সময় জামিনে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান তারেক রহমান। এরপর থেকে তিনি তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে তারেক রহমান লন্ডনে অবস্থান করছেন। তার বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। ইতিমধ্যে একটি মামলায় তার সাজাও হয়েছে।