bsec-dse lagoদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মালিকানায় কৌশলগত বিদেশি অংশীদার বাছাইয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে নাগরিক পরিষদ।

পুঁজিবাজারের এ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিএসই’র কৌশলগত মালিকানা ভারতের হাতে তুলে দিতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে দাবি করে সংগঠনটি পুঁজিবাজারকে দিল্লির হাতে সমর্পণের অপচেষ্টা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন গতকাল এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ডিএসই’র কৌশলগত মালিকানা নিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটি একচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ভারতের পক্ষে অনৈতিক চাপ প্রয়োগ পুঁজিবাজারকে দিল্লির হাতে সমর্পণের অপচেষ্টা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে শেয়ারবাজার লুটের হোতা সালমান এফ রহমান, মোসাদ্দেক আলী ফালু, লোটাস কামাল, লুৎফর রহমান বাদল এবং ভারতীয় মাড়োয়ারীদের বিরুদ্ধে ড. ইব্রাহিম খালেদের রিপোর্টের সুপারিশ বাস্তবায়ন না করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী লাখ লাখ বেকার যুবকদের সর্বশান্তের বিচার না করে বিএসইসি জনস্বার্থ রক্ষায় সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে।

এখন আবার সর্বোচ্চ দরদাতাকে কৌশলগত মালিকানায় অংশীদারিত্ব না দিয়ে ভারতের পক্ষে অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে বাংলাদেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতের স্বার্থ রক্ষায় অপচেষ্টা করেছে। এতে প্রমাণ হয় তাদের মধ্যে ভারতীয় এজেন্ট ঘাপটি মেরে আছে। অবিলম্বে তাদের চিহ্নিত করে নির্মূল করতে ব্যর্থ হলে রাকেশ আস্তানার মতো রাজকোষ ধ্বংশের লীলানৃত্যের ধ্বনি আবারও ঝংকৃত হবে শেয়ারবাজারে।

মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, পুঁজিবাজারকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হলে সংস্কৃতির আগ্রাসনে ভারতীয় চ্যানেল বাংলাদেশের বাজার দখলের মতো ভারতীয় পুঁজির সেবাদাসে পরিণত হবে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার। বিনিয়োগকারীরা অসহায় হয়ে আত্মসমর্পণ করে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব অবস্থায় আর্তনাদ করবে। যা ১৯৯৬, ২০১০ কে হার মানাবে। অবিলম্বে বিএসইসি’কে অনৈতিক চাপ প্রয়োগ থেকে বিরত থেকে বাংলাদেশের স্বার্থরক্ষার আহ্বান জানান তিনি।