bsec-dse lagoদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: টানা দর পতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না দেশের পুঁজিবাজার। একদিন বাড়লে অন্যদিন কমে। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীরা বাজারের প্রতি আস্থা রাখতে পারছেন না। বরং দিন দিন লোকসানের মাত্রা ভারী হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের আহাজারীতে ডিএসই বাতাস ভারী হয়ে উঠছে।

সাপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার দেশের পুঁজিবাজারে নেতিবাঁচক অবস্থা দেখা গেছে। এর পেছনে কোনো কারসাজি আছে কী না, তার অনুসন্ধান করার নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯৯ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট এবং সিএসইর সাধারণ সূচক কমেছে ১৭৮ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট।

অন্যদিকে রোববার ডিএসইতে ৪৪০ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে প্রায় ৭১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা কম। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৫১২ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আর লেনদেন হওয়া ৩৩৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪৯টির, কমেছে ২৭০টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টি কোম্পানির শেয়ার দর।

অন্যদিকে সিএসইতে ৩০ কোটি ৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২২৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৭টির, কমেছে ১৭৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির শেয়ার দর।

এমন পরিস্থিতীতে স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেনের ঋনাত্মক অবস্থানের কারণ অনুসন্ধানের জন্য উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে চিঠি দিয়েছে কমিশন। ঋনাত্মক ধারার পেছনে কোনো কারসাজি আছে কী না, তা খতিয়ে দেখে অতিসত্ত্বর কমিশনকে অবহিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।