dse-up-dowenবিশেষ প্রতিনিধি, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে টানা দরপতনে হতাশ বিনিয়োগকারীরা। অব্যাহত দরপতনে মুল পুঁজি নিয়ে দু:শ্চিনায় বিনিয়োগকারীরা। লেনদেন মন্দায় টানা ছয় কার্যদিবসে অব্যাহত পতনে ভুগছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। ঐসময় ডিএসইর বাজার মূলধন প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা হারিয়েছে।

পাশাপাশি বাজারের সার্বিক মূল্যসূচক ২৭০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮৩২ পয়েন্টে স্থিতি পেয়েছে। এদিকে, রোববার দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক কমেছে ১৫১ পয়েন্ট। এসময় সিএসইর লেনদেন ৫০ শতাংশ কমে ১৫ কোটি টাকায় স্থিতি পেয়েছে। ডিএসই ও সিএসইর বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।

স্টার লিংক সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকতা এস এম নাসির উদ্দিন জানান, গত দুই সপ্তাহের অধিকাংশ সময়ে বাজারের সূচক ও লেনদেন কমেছে। এসময় বাজারের প্রায় ৮০ শতাংশ কোম্পানির দর পতন হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বাজার মূলধনে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ১৪ ফেব্রæয়ারির পর থেকে টানা দর পতনে ভুগছে পুঁজিবাজার। ওই দিন ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৯৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

দিনশেষে শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন ৪ লাখ ৫ হাজার ৪৪৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকায় স্থিতি পেয়েছে। অর্থাৎ এসময় ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১৪ হাজার ৯৪৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

এদিকে,দিনশেষে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও ফান্ডগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৭টির, দর কমেছে ২৪৩টির এবং দর অপরিবর্তিত ছিল ২৩টি প্রতিষ্ঠানের। এসময় ডিএসইতে ৮ কোটি ৪২ লাখ ৬ হাজার ৯টি শেয়ার লেনদেন হয়। এসময় বাজারে ৩৮৪ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দিনশেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৭৪.৮৫ পয়েন্ট। এসময় ডিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক ৫৮৩২.১২ পয়েন্টে স্থিতি পায়।

page 1 (2)এদিকে, টানা ছয় কার্যদিবসের অব্যাহত পতনে ডিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক কমেছে ২৭০.১৭ পয়েন্ট। এসময় শরীয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর মূল্যসূচক কমেছে ১৪.১৭ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ২৮.১৯ পয়েন্ট। লেনদেন শেষে টার্নওভার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে স্কয়ার ফার্মা।

এদিন কোম্পানিটির ২২ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। টার্নওভার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইউনিক হোটেলের ১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৩ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মধ্য দিয়ে টার্নওভারে তৃতীয় অবস্থানে ছিল ইফাদ অটোস।

টার্নওভার তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো: বেক্সিমকো ফার্মা, এসিআই, ফার্মা এইড, সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল, আইডিএলসি, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার ও ইউনাইটেড পাওয়ার। এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হওয়া ২২৪টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৮টির, দর কমেছে ১৭৩টির ও দর অপরিবর্তিত ছিল ১৩টি প্রতিষ্ঠানের।

এসময় সিএসইতে ১৫ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন শেষে সিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক সিএসইএক্স ১৫১.৪৩ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৮৬৭ পয়েন্টে স্থিতি পেয়েছে। এসময় টার্নওভার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ইউনিক হোটেল। কোম্পানিটির ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।