Basundhara Newsদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া বসুন্ধরা পেপার মিলসের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) বাতিলের দাবি চেয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করেছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনটির সভাপতি এ. কে. এম মিজান-উর-রশীদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সংগঠনটির পক্ষ থেকে বিএসইসিতে জমা দেয়া হয়েছে।

বিএসইসিতে দেয়া ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারে স্মরণকালের মহাধসে পড়ে সাধারন বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে ২৫ জন বিনিয়োগকারী আত্মাহূতি দিয়েছে। বহু বিনিয়োগকারী নি:স্ব হয়ে বাজার ছেড়ে চলে গিয়েছিল।

২০০৯-১০ সালে বুক বিল্ডিং পদ্ধতি ও ডাইরেক্ট লিস্টিং প্রবর্তনের কারনে শেয়ারবাজার অতিমূল্যায়িত্ব হয়। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির অন্যতম কারন অতিরিক্ত প্রিমিয়ামসহ ইস্যুকৃত শেয়ার বিনিয়োগ করা। অতিরিক্ত প্রিমিয়ামের বদনাম থেকে রেহাই পেতে এবং স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে পাবলিক ইস্যু রুলস ২০১৫ সংশোধন করে বুক বিল্ডিং পদ্ধতি চালু করা হয়। এর আওতায় সম্প্রতি বসুন্ধরা পেপার মিলস প্রিমিয়ামসহ ৮০ টাকায় আইপিও অনুমোদন পায়।

যেখানে বিডিং প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয়েছিল, এই অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আপনার বরাবরে আবেদন করেছিলাম, কিন্তু অনিয়মের তদন্ত করেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সম্প্রতি বসুন্ধরা পেপার মিলসের আইপিও অনুমোদন হয়েছে। এ কোম্পানির ইপিএস ১.৪৬ টাকা এবং এনএভিপিস ৩০.৪৯ টাকা (সমন্বিতসহ) এবং এনএভিপিএস ১৫.৭৯ টাকা (সমন্বয় ছাড়া)।

আমরা মনে করি, কোম্পানি কর্তৃপক্ষ, ইস্যু মানেজার, মার্চেন্ট ব্যাংক ও কতিপয়যোগ্য বিনিয়োগকারীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শেয়ারের দর অতিমূল্যায়িত্ব করেছে এবং বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়াকে কলঙ্কিত করেছে। এ অতিমূল্যায়িত্ব কোম্পানি অনুমোদন সাধারণ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এরপরও কোম্পানিটি আইপিওতে অনুমোদন পায়।

অতএব, সাধারন বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির কথা বিবেচনা করে বসুন্ধরা পেপার মিলসের আইপিও অনুমোদন বাতিলের দাবি করেন।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি এ. কে. এম মিজান-উর রশীদ চৌধুরী বলেন, বসুন্ধরা পেপারের বিডিংয়ের ক্ষেত্রে কোম্পানির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) ও শেয়ার প্রতি সম্পদের (এনএভিপিএস) যুক্তিকতা যাচাই করেনি বিনিয়োগকারীরা।

আবার এ কোম্পানির বিডিংয়ের ক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা পাবলিক ইস্যু রুলসও পরিপালন করেনি। তাই এ কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত হলে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নিকট কোম্পানিটির আইপিও বাতিলের দাবি করে চিঠি দিয়েছি আমরা।