japaদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: মন্ত্রীসভায় আরও একদফা রদবদল হবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসেই এই রদবদল হতে পারে। এই রদবদলে জাতীয় পার্টির তিন মন্ত্রী, মন্ত্রীসভা থেকে বাদ পরবেন। আওয়ামীলীগের দায়িত্বশীল একজন নেতা বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কথা হয়েছে।

আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায়। এর প্রস্তুতি হিসেবেই তাঁরা সরকারের অংশ থাকতে চান না। প্রধানমন্ত্রী তাদের ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়েছেন।’ আওয়ামীলীগের ওই নেতা আরও জানিয়েছেন, জাতীয় পার্টির তিন মন্ত্রী পদত্যাগ করলেই তা গ্রহণ করা হবে।

জাতীয় পার্টি সুত্রে জানা গেছে, এরশাদ রংপুর থেকে ফিরেই, তিন মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে পদত্যাগ পত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রেরন করবে। রংপুরে এরশাদ গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টির মন্ত্রীদের পদত্যাগ সময়ের ব্যাপার মাত্র।’

তবে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে, সমঝোতার ভিত্তিতেই জাতীয় পার্টির তিন মন্ত্রী সরে যাচ্ছেন।শেষ পর্যন্ত বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ না নেয়, তাহলে গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে জাপার সরকারের বাইরে থাকা জরুরী। এতে বিএনপি ছাড়াও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ মূলক এবং প্রতিদন্ধিতা পূর্ণ হবে বলে উভয় দলই মনে করছে।

২০০৮ সালে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এলে জাতীয় পার্টি সরকারের শরীক হন। কিন্তু ২০১৪ সালের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচনের পরও জাপার সদস্যরা মন্ত্রী সভায় অন্তর্ভুক্ত থাকেন। আওয়ামীলীগ, ঐক্যমতের ভিত্তিতে সরকারের ধারণা থেকেই বিরোধী দলকে সরকারের সঙ্গী করে। কিন্তু নির্বাচনের এক বছরেরও কম সময়ে আগে, কৌশলগত কারণেই জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের রায় নিতে চাইছে।

বর্তমানে জাতীয় পার্টির তিন সদস্য মন্ত্রী সভায় রয়েছেন। এরা হলেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ব্যরিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক এবং পল্লী উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা। সূত্র মতে, চলতি মাসে তাঁরা পদত্যাগ করলেই মন্ত্রীসভায় আরেক দফা রদবদল হবে। ওই তিন মন্ত্রণালয়ের আওয়ামীলীগ তার শরীকদের সুযোগ দিতে পারে বলে ধারণা করছে রাজনৈতিক পর্জবেক্ষক মহল।

যোগাযোগ করা হলে, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি. এম. কাদের বলেন,‘ সরকারের মন্ত্রীসভায় থাকলে, আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য কঠিন হয়ে উঠতে পারে। জনগনের কাছে গিয়ে আমরা কি বলবো? সরকারের ব্যর্থতার কি সমলোচনা করবো?

অবশ্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্য বলছেন,‘জাতীয় পার্টির একটি সম্ভাবনাময় বিরোধী দল হিসেবে অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে দশম পার্লামেন্টে তারা বিরোধী রাজনীতি কেমন হওয়া উচিত তা দেখিয়ে দিয়েছে।’ ঐ নেতা বলেন,‘বিএনপি যদি আগামী নির্বাচন না করে, তাহলে দলটি বিলীন হয়ে যাবে। শূন্যস্থান পূরনে জাতীয় পার্টি হবে আদর্শ দল’। তাঁর মতে,‘ জাতীয় পার্টি হবে আগামীদিনের দ্বিতীয় প্রধান দল।’