pm-(3)খুলনা ব্যুরো, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ভোলা থেকে পাইপ লাইনে বরিশাল এবং খুলনায় গ্যাসের ব্যবস্থা করা হবে। অচিরেই এর প্রক্রিয়া শুরু হবে। ভোলায় গ্যাসের সন্ধান পাওয়াকে সুখবর বলে জাতিকে অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।

তিনি বলেন, ১৬শ’ মেগাওয়াট থেকে এখন ১৬ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। ২০২১ সালের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো হবে। গতকাল শনিবার দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও সকলকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহবান জানান।

প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার স্টেশন নির্মাণ, বন্ধ কলকারখানা চালু, বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, রাস্তা-ঘাট, পুল-ব্রিজ নির্মাণ, মংলা বন্দর পর্যন্ত রেল লাইন প্রকল্প বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৬৮ লাখ মা-বোন ভাতা পাচ্ছে। স্কুল শিক্ষার্থীদের বই কিনতে হয়না, বই কেনার দায়িত্ব আমি নিয়েছি। বিনা পয়সায় জানুয়ারির ১ তারিখে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হয়।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি করলে শাস্তি পেতেই হবে। এখানে সরকারের কিছুই করার নেই। আদালতের রায়ে উনি কারাগারে।

‘উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাইলে নৌকায় ভোট দিতে হবে’ বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে চান? যদি চান নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। দুই হাত তুলে দেখান, নৌকায় ভোট দেবেন কীনা, ওয়াদা করেন। এসময় সবাই ওয়াদা করলে তিনি বলেন, ইনশাল্লাহ নৌকার জয় হবে।

KHulNa-pm-প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন ঠেকানোর নামে ও ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে কত মানুষ হত্যা করেছে! সরকার উৎখাত না করে বাড়ি ফিরবেন না বলেছিলেন। তিনি তিন মাস অফিসে বসে ছিলেন। অফিসে বসে বিরানি খান আর মানুষ পোড়ানোর হুকুম দেন।
তিনি বলেন, মা-বাবা চোখের সামনে দেখে সন্তান পুড়ে মরছে। এমনকি আমি বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাই সেখানেও আগুন দেয়। প্রায় ৫০০ মানুষ নিহত ও সাড়ে তিন হাজার মানুষ আগুনে পুড়ে আহত হয়। বিএনপি শুধু ধ্বংস করতে জানে সৃষ্টি করতে জানে না। মানুষ বাঁচাতে নয়, হত্যা করতে জানে।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য উন্নয়ন। খুলনাসহ সারাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিয়েছি। চিংড়ী চাষ হয় এখানে, এজন্য চিংড়ী গবেষণাগার তৈরি করে দিয়েছি। আর বিএনপি সব কারখানা বন্ধ করে দেয়। ব্যস্ত থাকে হত্যাকান্ডে। এসময় সরকার প্রধান বিএনপি সময়ে নিহত দলীয় নেতাদের নাম উল্লেখ করেন।

২০০৩ সালে খুলনায় বোমা হামলার কথাও উল্লেখ করে তিনি বলেন, খুলনা ছিল সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য। আজকের খুলনা শান্তির নগরী। প্রায় ১০০টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিস্থাপন শেষে তিনি বলেন, এই খুলনার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করেছে সরকার। প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন করেছি। সারাদেশে বিনামূল্যে বই, বিনা পয়সায় চিকিৎসা সেবাসহ যা যা দরকার করে দিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প করে দিয়েছি। এর মধ্য দিয়ে নিজের ব্যবস্থা নিজে করার সুযোগ পাচ্ছে। একটা মানুষও গৃহহীন থাকবে না। জাতির পিতার আদর্শ গ্রাম বাস্তবায়ন করছি। কেউ কুড়ে ঘরে থাকবে না, নিদেনপক্ষে একটা টিনের ঘর হলেও আমরা করে দেব, সে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

এর আগে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে নগরীর খালিশপুরস্থ আইইবি কেন্দ্রে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) এর ৫৮তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এবং বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, আইইবির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এতে বক্ততা করেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি,

সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. দিপু মনি, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান এমপি, বিএম মোজাম্মেল হক এমপি, আবু সাইদ আল মামুন এমপি, খালিদ মামুন চৌধূরী এমপি, বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা সুজিৎ রায় নন্দি, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম মিলন, পঙ্কজ দেবনাথ এমপি,

অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম কাওছার, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি, সম্পাদক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান এমপি, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, অ্যাডভোকেট শেখ মো. নূরুল হক, সাবেক ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদী, কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল হোসেন, মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হোসনে আরা রুনু, পারভীন জামান কল্পনা, মাহমুদা বেগম, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা নাজমা আক্তার, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন।

এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিৎ অধিকারী, সদর থানা সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা সভাপতি বুলু বিশ্বাস, শেখ হেলালের ছেলে শেখ তন্ময়, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আনিছুর রহমান পপলু, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আশরাফুজ্জামান বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বিএম জাফর,

মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক লুৎফুন্নেছা লুৎফা, হোসনে আরা চম্পা, মালিক সরোয়ার উদ্দিন, রণজিৎ কুমার ঘোষ, অ্যাডভোকেট রাবেয়া অলি করবী, সেলিমা আক্তার প্রিয়া, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, সাধারণ সম্পাদক এসএম আসাদুজ্জামান রাসেল, জেলা সভাপতি পারভেজ হাওলাদারসহ প্রমুখ।