hasina-2-দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: যে দেশে স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় আসে, সে দেশের উন্নয়ন হয়- এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় আসে। যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দিয়ে মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, উপদেষ্টা করে ক্ষমতায় বসানো হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, যেখানে তিনি (বঙ্গবন্ধু) অন্যায় দেখেছেন, সেখানে তিনি প্রতিবাদ করেছেন। কী অন্যায় তিনি করেছিলেন? দেশ স্বাধীন করেছিলেন, আত্মপরিচয় এনে দিয়েছিলেন। তারপরও তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। গতকাল ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে ইপিআরের ওয়ার্লেস থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বাংলার মাটি থেকে একটি শত্রু বেচে থাকতে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন জাতির পিতা। দক্ষিণ এশিয়ায় একটা ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে জাতির জনকের নেতৃত্বে।

ষড়যন্ত্রের কারণে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বারবার বিজয় ছিনিয়ে এনেছে বাংলাদেশের মানুষ। সংগ্রাম করেই একুশ বছর পর আবারও ক্ষমতায় আসতে পেরেছে আওয়ামী লীগ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল খালেদা জিয়ার উৎসব ছিল আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা। এর আগে বেলা ৩টার দিকে জনসভাস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। বেলা ২টার মধ্যেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় ভরে ওঠে। প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে লাখো মানুষের ¯েøাগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে সভাস্থল।

মঞ্চে উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীসহ আরও অনেকে। গতকাল সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ধরে নানা জায়গা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল আসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এসব মিছিলে সভা উপলক্ষে তৈরি নানা প্রতিকৃতি, পোস্টার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিবাহী পোস্টার ও প্রতিকৃতি ছিল অনেকের হাতে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক ছোট আকারের নৌকা শোভা পায় অনেকেরই হাতে। মিছিলের মানুষ অনেকে পরেছেন এক রঙের গেঞ্জি। যুবলীগের কর্মীরা পরেছেন সবুজ রঙের টি-শার্ট। এ

র কলার লাল রঙের। তাদের মাথায় সবুজ রঙের টুপি। এমন একই রঙের টি-শার্ট যারা পরেছেন, তারা দলবদ্ধ হয়ে বসেছেন সভামঞ্চের সামনে। জনসভা উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানজুড়ে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। সভাস্থলে ঢোকার আগে সবারই তল্লাশি চলেছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা আছেন নিরাপত্তার দায়িত্বে।