seikh-hasinaদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ কোনও লিখিত ভাষণ না; কোনও রিহার্সেল দিয়ে তৈরি করা ভাষণও না। এটা দীর্ঘ ২৩ বছরের লাঞ্ছনা-বঞ্চনা ও প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর। এই ভাষণের আবেদন যুগ যুগ ধরে থাকবে।

আজ শুক্রবার বিকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। একাত্তরের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি উপলক্ষে এ সেমিনার আয়োজিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে সম্পূর্ণ দিক নির্দেশনা ছিল এ ভাষণ। এ ভাষণটি মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রতিদিন বাজানো হতো। ১৯৭৫ সালের পর হারিয়ে গিয়েছিল এ ভাষণ, বাঙালি জাতি তা আবারও ফিরে পেয়েছে। শুধু বাংলাদেশ না, সারা বিশ্ব এ ভাষণ নিয়ে গর্বিত।

এ সময় ছয় দফাকে মুক্তির সনদ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছয় দফার বিপরীতে একটি আট দফা দেওয়া হয়েছিল। এর মাধ্যমে দলের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত হয় ছয় দফা থেকে আমরা বিচ্যুত হবো না।

এর আগে আগরতলা মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধু জেল থেকে বের হয়ে আসার পর প্রায়ই বলতেন- আমার ছয় দফা মানে বলেই তিনি একটা আঙুল দেখাতেন। তখন এই কথা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করা নিষেধ ছিল। আমরা এ কারণে ইশারাতেই সব বুঝে যেতাম।

তিনি আরও বলেন, ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানে মার্শাল-ল দেওয়ার সময়েই তিনি স্বাধীনতার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। ছাত্রলীগকে দিয়ে ১৯৬২ সালের পর থেকেই একটা ‘নিউক্লিয়াস’ তিনি ফর্ম করেছিলেন। প্রতিটি জেলায়-মহকুমায় তিন সদস্যের কমিটি ছিল। স্বাধীনতার প্রস্তুতি অনেক আগেই নেওয়া হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় তাদের নিয়েই মুজিব বাহিনী গঠন করা হয়।