lutদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ২০১০ সালের মতো বাজারে আর লুটপাট হবে না। কারণ, লুটপাটের ধরন ও কৌশল এখন ডিজিটাল। অর্থাৎ বদলে গেছে। যেমনি বদলেছে ব্যাংক লুটপাটের ধরণ।

এখন, শেয়ার বাজারে লুটপাট হচ্ছে সবার চোখের সামনে, নীরবে, আইনের আওতায়। দেখে মনে হবে সব ঠিক আছে। কিন্তু কাগজ কলম নিয়ে হিসাব করলে দেখা যাবে বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকা বাজার থেকে গায়েব।

আর এটাকে ঢাকা দেয়ার জন্য শান্তনা হিসাবে জেড শেয়ারগুলোর দাম ১০ গুন বাড়লেও এরা চুপচাপ।

এদের উদ্যেশ্য হলো আমরা গরুর দুধ ও মাংস খাই আর ওদের জন্য হাঁড় গুলো রেখে দেই। ওরা হাঁড় কামড়াতে থাক, আর বড় টুকরা গিলতে গিয়ে গলায় বাধুক, তা তাদের ব্যাপার। এই ফাকে আমাদের কার্যসিদ্ধি করি।

আসল কথায় আসি :—কিভাবে ডিজিটাল লুটপাট হচ্ছে ?

১।নুতন IPO এর মাধ্যমে লুটপাট : ২০০ কোটি টাকার ১০ টাকা দামের Ipo শেয়ার ১১০ টাকা দামে ধরিয়ে দিয়ে হাজার কোটি টাকা আইনের আবরণে লুটপাট।

২। প্রতি বছর বোনাস শেয়ার ইস্যু করে বাজারে পরিচালকগন বোনাস বিক্রি করে দিয়ে হাজার কোটি টাকা লুটপাট।

৩। রাইট শেয়ার : ভাল ইপিএস দেখিয়ে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে রাইট অনুমোদন নিয়ে পরিচালকদের রাইট শেয়ার চড়া মূল্যে বাজারে বিক্রি করে হাজার কোটি টাকা লুটপাট।

৪। কথিত সিন্ডকেটের মাধ্যমে কমদামে কোটি কোটি শেয়ার মালিকানা পরিবর্তনের নামে ( ব্যাংক শেয়ার) অসময়ে ক্রয় করে বিবিধ গুজব সৃস্টি করে ৪০- ৬০% দাম বাড়িয়ে পাবলিকের হাতে ধরিয়ে দিয়ে সবার চোখের সামনে বিক্রি করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট।

এখন প্রশ্ন হলো : এতো ব্যাংকের শেয়ার কেনার টাকা তারা পেল কোথায়?

প্রথমে তারা দুই একটি ব্যাংক দখলে নিল। সেখান থেকে টাকা নিয়ে আরো তিন চারটি ব্যাংকের শেয়ার বাই করলো এবং সেগুলো দখলে নিল। এভাবে ব্যাংকের টাকায় প্রায় সবগুলো ব্যাংকের শেয়ার কিনলো। যাকে মার্জিন লোন বলতে পারেন। তারপর শেয়ার সেল দিয়ে মার্জিন লোন ফেরত দিয়ে ( যদি দিয়ে থাকে) লাভের হাজার হাজার কোটি টাকা পকেটে ভরলো।

এই টাকাগুলো বাজারের টাকা, আপনার আমার।। বাজার থেকে বাইরে চলে গেল, বাজারকে পঙ্গু করে।

এটাই হলো ২০১৭ এর ডিজিটাল লুটপাট।

যারা বলেছিল : ২০১৭ তে ১৫০০ কোটি টাকা লেনদেন হবে, শুধু তারাই নয়, শেয়ার বাজারের সাথে সংসিষ্ট টপ টু বটম সকল মহল এর সাথে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত। BSEC, DSE, CSE, সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংক যত আইন করুক –কোন লাভ হবে না যতক্ষণ সুশাসন প্রতিষ্ঠিত না হয়।

সুশাসন, জবাবদিহিতা, আইনের সঠিক প্রয়োগ, দোষীদের আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত এ ধারা অব্যহত থাকবে।

আবদুল কুদ্দুস, বিনিয়োগকারী।

ফেসবুক থেকে সংগ্রহীত

##উল্লেখ্য, ‘‘বিনিয়োগকারীর কথা’’ সেশনের কোন লিখার দায়-দায়িত্ব পত্রিকা কর্তৃপক্ষ বহন করবে না।##