jobদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সরকারি ও বেসরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়াতে সারাদেশে সমাবেশ শনিবার। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের ব্যানারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে ।

সাধারণ ছাত্রদের ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছরে উন্নীতকরার দাবীতে সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের র‌্যালিতে পুলিশি হামলা ও সাধারণছাত্র-ছাত্রীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সংগঠনটির এক বিজ্ঞতিতে বলা হয়েছে, শনিবার ঢাকা জেলাবাদে সকল জেলা সমূহের প্রেসক্লাব/শহীদ মিনার/কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সামনে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

গত ১০ মার্চ চাকরিতে ঢোকার বয়স ৩৫ করার দাবিতে একদল আন্দোলনকারী সকাল সাড়ে দশটা থেকে শাহবাগ জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিতে শুরু করে। বেলা ১১টার দিকে দুই শতাধিক আন্দোলনকারী সেখানে অবস্থান নেন। প্রায় এক ঘণ্টা তাঁরা সেখানে থেকে ওই দাবিতে স্লোগান দেন।

একপর্যায়ে তাঁরা সেখান থেকে বাংলামোটরের দিকে মিছিল নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। তাঁরা বাধা উপেক্ষা করতে গেলে পুলিশ তাতে লাঠিপেটা করে। এ সময় পুলিশের পিটুনি ঠেকাতে নারী আন্দোলনকারীরা সামনে এলে পুলিশ তাঁদেরও পিটুনি দেয়। এ সময় পুলিশ কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়।

সেসময় কয়েকজন আন্দোলনকারী বলেছিলেন, তাঁদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ হামলা চালিয়ে অন্তত ২৫ জনকে ধরে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে শাহবাগ থানার পুলিশ বলেছে, এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

আন্দোলনের মুখপাত্র ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে মাধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। যেখানে সব মধ্যম আয়ের দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫, সেখানে বাংলা‌দে‌শের মানুষ কেন এ সুযোগ পাবেন না? দেশের লাখ লাখ তরুণ-তরুণী বয়সের দেয়ালে আবদ্ধ হয়ে হতাশায় ভুগছেন।’

চাকরি প্রত্যাশীদের অভিযোগ, পড়াশোনা পদ্ধতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজগুলোয় সেশনজটের কারণে ছাত্রজীবনের একটা বড় সময় নষ্ট হয়ে যায়। স্নাতক পাশ করতে করতে বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়া হয়ে উঠে না অনেকের। আবার প্রস্তুতি নিতে নিতেই সময় শেষ হয়ে যায়। এ কারণে সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়স ৩৫ করার দাবি জানিয়ে আসছে তারা।