ctg collageচট্টগ্রাম ব্যুরো, দেশ প্রতিক্ষণ: চট্টগ্রামে চকবাজার থানাধীন এলাকা নানা অপরাধে বিপর্যস্ত। অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে ব্যাপক তথ্য। চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজ, গভ:হাই স্কুল, কাজেম আলী স্কুল, মহসিন স্কুল ও কোচিং সেন্টার টার্গেট করে তৎপর অপরাধী চক্র। চট্টগ্রাম কলেজের চারপাশ বসে ভাসমান অসংখ্য দোকান। দোকান গুলোর আড়ালে মাদক বিক্রি হচ্ছে রমরমা। হাত বাড়ালে পাওয়া যাচ্ছে মরণঘাতী ইয়াবা, গাঁজা। অধিকাংশ গ্রাহক স্কুল কলেজ শিক্ষার্থী।

সবার কাছে সব জানা, তবুও রহস্যজনক কারণে অজানা সবাই। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাসমান দোকান গুলো নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। প্রতিদিন পুলিশের কথিত ক্যাশিয়ার টাকা তুলে নিয়ে যায়। চট্টগ্রাম কলেজ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন। শুধু চট্টগ্রাম কলেজ এর চারপাশ নয়, চকবাজার এলাকাজুড়ে এই দৃশ্য। চট্টগ্রামের খুব গুরুত্বপূর্ণ জমজমাট এলাকার তালিকায় চকবাজার।

কেয়ারী মার্কেট সামনে থেকে গুলজার মোড় হয়ে অলি খাঁ, জামান হোটেল থেকে তেলপট্টি মোড় ও থানা সংলগ্ন লালচাঁদ রোড ঘিরে শতশত ভাসমান দোকানের হাট বসে। সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। প্রতিটি দোকান থেকে দৈনিক ১০০/২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করছে পুলিশ। টাকা তুলে কতিপয় ক্যাশিয়ার।

মূলত এসব ভাসমান দোকানের আড়ালে জমজমাট মাদক ব্যবসা চলছে। চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় মাদক স্পট চকবাজার থানা থেকে ১০০ গজ দূরত্বে বসে। চক সুপার মার্কেটের নীচে প্রকাশ্যে গাঁজা বিক্রি হয় রাত দিন ২৪ ঘন্টা। থানার পূর্ব পাশের মার্কেট আলিফ প্লাজায় বসে বিশাল জুয়ার আসর। উল্টো তাদের নিরাপত্তা দেয় পুলিশ এমন অভিযোগ মার্কেট ও আশপাশ দোকানদার ব্যবসায়ীদের। বিনিময়ে পাচ্ছে মোটা অংকের টাকা।

কেয়ারি ইলিশিয়াম ও গুলজার মার্কেট হচ্ছে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আখড়া। এখানে ঘুরে ঘুরে খুচরা ইয়াবা বিক্রি করে মাদক ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি তৎপর ছিনতাইকারী চক্র। বিশেষ করে, স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীদের ভয় দেখিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া হয় মোবাইল। অনলাইনে মোবাইল ক্রয়ের কথা উল্লেখ করে মোবাইল বিক্রেতাকে নিয়ে আসা হয় গুলজার মার্কেট এলাকায়। মারধর করে ছিনিয়ে নেওয়া হয় মোবাইল।

ভুক্তভোগী অনেকে মামলা না করায়, প্রশ্রয় পেয়ে যায় এসব ছিনতাইকারী দল। অভাব নেই আলো আঁধারি রেস্টুরেন্ট। এখানে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। আবাসিক হোটেল গুলোতে চলছে পতিতা ব্যবসা। আবার কলেজ শিক্ষার্থীদের ঘন্টা হিসেবে রুম ভাড়া দেওয়া হয়। রেস্টুরেন্ট ও হোটেল মালিকগণ পুলিশকে মাসিক মাসোয়ারা দিয়ে যাচ্ছে। একদিকে ভাসমান দোকানপাট অন্যদিকে বিভিন্ন গাড়ীর অনুমতি বিনীত স্ট্যান্ড।

চট্টগ্রাম কলেজ প্যারেড মাঠের পূর্ব পাশ থেকে চলে মাহিন্দ্রা ও বড় তাকিয়া নামক দুইটি গাড়ীর লাইন। চক সুপার মার্কেটের সামনে থেকে চলে দুইটি লাইন। মাস শেষে থানা পুলিশ ও ট্রাফিকপুলিশ পাচ্ছে মোটা অংকের টাকা। এদিকে, অলি খাঁ মসজিদের সামনে থেকে দুইটি টেম্পু স্ট্যান্ড চলে। তবে সড়কের এইপাশ পাঁচলাইশ থানা এলাকা। সিরাজদৌল্লা সড়ক জুড়ে ফুটপাত ও রাস্তার একপাশ ইট বালু ব্যবসায়ীর দখলে।

মাঝেমাঝে উচ্ছেদ অভিযান হলেও, পরেদিন আবার দখলদার চক্রের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। সব কিছু মিলিয়ে, চট্টগ্রাম কলেজ টার্গেট করে চকবাজার এলাকাজুড়ে চলছে এসব অপরাধ। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। চকবাজার থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ নুরুল হুদা ওনার সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা সম্পূর্ণ মিথ্য আর টং দোকান. গুলো সিটিকর্পোরেশনের. অনুমতি প্রাপ্ত