m_a_muhitদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দেশের শেয়ার বাজার ঘুরে দাঁড়াবে, আর এখান থেকে মানুষ পয়সা নিতে পারবে। মানুষের কর্মসংস্থান ও আয়ের উৎস হবে পুঁজিবাজার বলে মনে করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে এখন যে অবস্থা, বিনিয়োগের জন্য খুবই ভালো দেশ। প্রাইভেট ইনভেষ্টমেন্ট হলে, বিদেশি ইনভেস্টমেন্টও বাড়ে। অদূর ভবিষ্যতে দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশে একটা ক্যাপিটাল মার্কেট হবে, মানুষ সেখান থেকে পয়সা আনতে পারবে।

আজ সচিবালয়ে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের নগদ লভ্যাংশ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় আইসিবি’র পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মজিব উদ্দিন আহমদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কমরুন নাহার আহমেদ, মানিক চন্দ্র দে, সালমা নাসরিন, যুগ্মসচিব মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে লভ্যাংশের সরকারের প্রাপ্য ৫১ কোটি ২৫ লাখ আটাত্তর হাজার তিনশত ৪ টাকর চেক অর্থমন্ত্রীর হাতে তুলে দেয় আইসিবি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেট অনেক দিন থেকেই ফটকা বাজারের মতো কাজ করছে। আওয়ামী লীগের আগের সরকার যখন ছিল ৯৬ সালে একটা তান্ডব হয়েছিল, এবারে আসার পরে সে ধরণের একটা কান্ড ২০১০ সালে শুরু হয়ে ১১ সালে শেষ হয়। তারপরে আমরা এটা সংস্কারের কাজে হাত দেই এবং সংস্কারটা খুব কার্যকর হয়।

তিনি বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এটা অপরিবর্তিত আছে ৬ বছর ধরে। এবার একটু পরিবর্তন হবে, কারণ আইনগত সেটা করতে হবে। এ ৬ বছরই তারা বাজারটিকে সংস্কারের কাজে লিপ্ত থাকেন। তারা বাজারটিতে এখন এমন অবস্থায় নিয়ে আসছেন, এটা আর ফটকা বাজার বলা যাবে না।

মুহিত বলেন, ‘বাজারে উত্থান-পতন হয়ই। আকস্মিক ধরণের বড় উত্থান বা পতন সেটা খুবই খারাপ। সেটা হবার এখন বোধোহয় সুযোগ নেই। বিভিন্ন ধরণের যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেটা হবার সুযোগ নেই। এটা নিয়ে আমরা খুবই সন্তুষ্ট। যদিও এই মুহুর্তে কিছু দূযোর্গ গেছে’।

এসময় শেয়ার বাজারে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, একসময় আমার কিছু শেয়ার ছিল। আমি ২০০১ সালের পর কোন বিনিয়োগ করি নাই। এক পয়সা, এদিক ওদিক করি নাই, বিক্রিও করি নাই।