ific-bankদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: গত বছর রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন দ্বিগুণ করার পরেওআইএফআইসি ব্যাংক বোনাস শেয়ারে আটকে আছে। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ২০১৭ সালের ব্যবসায়ও বোনাস শেয়ারের মাধ্যমে মুনাফার শতভাগ ব্যাংকে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে ব্যাংকটির নগদ লভ্যাংশ প্রদানের কোন ইতিহাস ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়নি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত বছর ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন ছিল ৫৬৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এর উপরে ১টি সাধারন শেয়ারের বিপরীতে ১টি রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে আরও ৫৬৩ কোটি ৮২ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হয়। এছাড়া ২০১৬ সালের ব্যবসায় ১২ শতাংশ বোনাস শেয়ারের মাধ্যমে ৬৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হয়। যাতে বর্তমানে ব্যাংকটির মোট পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ১৯৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এর উপরে ২০১৭ সালের ব্যবসায় আরও ১২ শতাংশ হারে ১৪৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।

কোম্পানিটির ২০১৭ সালের ৯ মাস বা ৩টি প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছিল ১.৪৩ টাকা। তবে বছরের শেষ প্রান্তিকে এই মুনাফার পরিমাণ হয়েছে ০.৯১ টাকায়। যাতে ২০১৭ সালে মোট ইপিএস হয়েছে ২.৩৪ টাকা। এক্ষেত্রে শেষ প্রান্তিকের অবদান ৩৯ শতাংশ ও বাকি ৬১ শতাংশ এসেছে আগের ৩টি প্রান্তিকে।

এদিকে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ২০১৭ সালে ২.৩৪ টাকা ইপিএসের বিপরীতে ১২ শতাংশ হারে প্রতিটি শেয়ারে ১.২০ টাকা বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যা মুনাফার ৫১ শতাংশ। তবে এর পুরোটাই বোনাস শেয়ারের কারনে লভ্যাংশ প্রদানের অনুপাত (ডিভিডেন্ড পে আউট রেশিও) হবে শূন্য। কারন বোনাস শেয়ারের কারনে কোম্পানি থেকে শেয়ারহোল্ডারদের কোন ধরনের সম্পদ প্রদান করতে হবে না।