govtদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির জোগান বাড়াতে ও সময় কমিয়ে দ্রুত তালিকাভুক্ত করার জন্য সরাসরি পদ্ধতি চালু করেছিল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই পদ্ধতির অপব্যবহার করায় বেসরকারি কোম্পানির জন্য এটি বন্ধ করে দিয়েছে কমিশন। তবে এই পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত হতে পারবে সরকারি কোম্পানি।

এই পদ্ধতিতে গত ১০ বছরেও আসেনি সরকারি কোনো কোম্পানি। এদিকে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে কম সময়ে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত করা যায়। কেউ যদি এই পদ্ধিতির অপব্যবহার করে থাকে, তাহলে আইনটির সংশোধন করে বা নতুন আইন করে হলেও এটি চালু রাখা প্রয়োজন। এটি হলে পুঁজিবাজারের জন্য ভালো হবে।

ডিএসই সূত্র মতে, ২০০৮ সালে সর্বশেষ সরকারি কোম্পানি তিতাস গ্যাস এই পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত হয়েছিলো। এর পর আর কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে এই পদ্ধতিতে আসেনি। তবে বেসরকারি কোম্পানি হিসেবে ২০১০ সালের ১৫ মার্চ সর্বশেষ খুলনা পাওয়ার কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিতাভুক্ত হয়েছিলো।

সরাসরি পদ্ধতিতে মোট ১০টি কোম্পানি পুঁজিবাজারে এসেছে। এর মধ্যে ৫টি সরকারি ও ৫টি বেসরকারি কোম্পানি। সরকারি কোম্পানিগুলো হলো: তিতাস গ্যাস, যমুনা অয়েল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, পাওয়ার গ্রিড ও ডেস্কো। বেসরকারি কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে: খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, ওশান কন্টিনার,নাভানা সিএনজি, এসিআই ফরমুলেশন ও শাইনপুকুর সিরামিক। ২০০৬ সালে এই পদ্ধতি চালু হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য ও এএফসি ক্যাপিটালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব এইচ মজুমদার বলেন, সরাসরি তালিকাভুক্তির পদ্ধতিটি অনেক ভালো ছিলো। অভিযোগ আছে এই পদ্ধতিতে কোম্পানি তালিকাভুক্তির সময় কিছু অপব্যবহার হয়েছে। ফলে কমিশন বেসরকারি কোম্পানি তালিকাভুক্তিতে সম্মতি দিচ্ছে না।

পদ্ধতিটির যাতে কোনো অপব্যবহার করতে না পারে, প্রয়োজনে সেই উদ্যোগ গ্রহণ করুক বিএসইসি। এই পদ্ধতিতে বেসরকারি কোম্পানি বাজারে আসতে পারলে পুঁজিবাজার লাভবান হবে বলে মনে করেন তিনি।

তবে ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও বেসরকারি ইউনাইটেড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুসা। তিনি বলেন, সময় বাঁচানোর জন্য বিশ^ব্যাপী একটি ভালো পদ্ধতি হলো সরাসরি কোম্পানি তালিকাভুক্ত করা। বাংলাদেশেও এই পদ্ধতি আছে। তবে এটি বেসরকারি কোম্পানির জন্য নয়। কোনো কোনো কোম্পানির ক্ষেত্রে এটি অপব্যবহার হয়েছিলো। ফলে কমিশন বন্ধ করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতির উন্নতি না হলে শুধু সরকারি কোম্পানির জন্য রাখলেই ভালো।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান বলেন, বর্তমানে শুধু সরকারি কোম্পানি এই পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসতে পারবে। তবে কমিশন মনে করলে আবারো বেসরকারি কোম্পানিকে এ সুযোগ দিতে পারে।