dseদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: অনিয়ম-দুর্নীতি ও ব্যবস্থাপনা ত্রুটির কারণে দুর্বল হয়ে পড়া দেশের ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো ঘুরে দাঁড়াতো চেষ্টা করছে। এ খাতের ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গত বছরের মার্চ শেষে ২৯টিই সমস্যাগ্রস্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ সময়ে গ্রিন জোন বা নিরাপদ স্থানে রয়েছে মাত্র চারটি প্রতিষ্ঠান।

বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১১টি রেড জোন বা নাজুক পরিস্থিতিতে এবং ১৮টি ইয়েলো জোনে অবস্থান করছে। ২০১৬ সাল শেষে রেড জোনে পড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৭। বাংলাদেশ

ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট মার্চ-২০১৭-তে এ তথ্য উঠে এসেছে। এসব বিতর্কের কারণে অর্থনীতির মেরুদন্ড হিসাবে চিহ্নিত গুরুত্বপূর্ণ এই দুই খাত নানামুখী চাপের মুখে পড়েছে। এমনি নেতিবাচক অবস্থায় আর্থিক খাতে খাতে কিছুটা আশার আলো দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরা সুদিনের অপেক্ষায় রয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমানত ও ঋণের সুদহারের ব্যবধান বা স্প্রেড কমে যাওয়া, কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম-দুর্নীতি বৃদ্ধি পাওয়া, প্রত্যাশা অনুযায়ী ঋণ বিতরণ করতে না পারা এবং শেয়ারবাজারে দুর্বল পারফরম্যান্সের কারণেই এনবিএফআই খাতে দুর্বলতা বেড়েছে।

তবে গ্রিন জোনে থাকা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফা ও আর্থিক সক্ষমতা দুটোই বাড়ছে। তবে এ খাত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভ‚ক্ত লিজিং খাতের কোম্পানিগুলো সমাপ্ত অর্থবছরে ঘোষিত লভ্যাংশের চিত্র দেখে এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লিজিং খাতে ডিসেম্বর ক্লোজিং সংখ্যা ২২টি। এরমধ্যে ১১টির লভ্যাংশ অপরিবর্তিত থাকলেও ৬টি কোম্পানির লভ্যাংশ বেড়েছে। তবে কমেছে ৩টি লিজিং কোম্পানির লভ্যাংশ। আর ২টি কোম্পানি এখনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সমাপ্ত অর্থবছরে জিএসপি ফাইন্যান্স, ফাস ফাইন্যান্স ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, ইসলামিক ফাইন্যান্স, মাইডাস ফাইন্যান্স ও ন্যাশনাল হাউজিংয়ের লভ্যাংশ বেড়েছে। তবে ফারইস্ট ফাইন্যান্স, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স ও ইউনিয়ন ক্যাপিটালের লভ্যাংশ কমেছে।

অন্যদিকে, বে-লিজিং, বিডি ফাইন্যান্স, ডেল্টাব্র্যাক হাউজিং, আইডিএলসি, আইপিডিসি, ফিনিক্স ফাইন্যান্স, প্রিমিয়ার লিজিং, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স এবং উত্তরা ফাইন্যান্সের লভ্যাংশ গত বছরের সমপরিমাণ রয়েছে। এছাড়া, পিপলস লিজিং এখনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। আর ফার্স্ট ফাইন্যান্স আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে লভ্যাংশ ঘোষণা স্থগিত রেখেছে এবং বিআইএফসি গতবছরের ন্যায় এবছরও শুন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।