topu dcদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: রাজধানীতে জামাত শিবির বিরোধী রাজনীতিতে অকুতোভয় অগ্রসেনাদের মধ্যে অন্যতম নাম ইসমাইল হোসেন তপু। ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের অবস্থান সুদৃঢ় করতে নিজের জীবন বাজি রেখে লড়েছেন বহুবার। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে কলেজ জীবনের শেষ পর্যন্ত ছিলেন ছাত্রলীগের সাথে।

মেধাবী এ ছাত্রনেতা সাহসীকতার সাথে সাবেক ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বিচক্ষণতা এবং জনপ্রিয়তার স্বীকৃতিস্বরুপ ২০১১-২০১৮ সালে দুই কমিটির মেয়াদে সহ সভাপতির দায়িত্ব নিষ্টার সাথে পালন করছেন। একান্ত আলাপকালে তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক এস. এম জাকির হোসেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গঠনে ছাত্র সমাজকে শিক্ষা শান্তি প্রগতির পতাকাতলে আনার শপথ নিয়েই তার ছাত্ররাজনীতিতে প্রবেশ, এমনটিই জানান এ ছাত্রলীগ নেতা। তিনি আরও বলেন, দেশ ও জাতির অর্থনৈতিক ও গণতন্ত্রের মুক্তি, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা, অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে গণতন্ত্রের মানসকন্যা বিশ্বশান্তির অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার শক্তিশালী করতে একজন ছাত্রনেতা হিসেবে সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন।

ভবিষ্যতে জাতীয় রাজনীতিতে আসতে চান কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগরের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, “বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে আজীবন আওয়ামী রাজনীতির সাথে থাকব। জাতীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনগণকে সেবাদানের সুযোগ পেলে অবশ্যই সেব্যাপারে সচেষ্ট থাকবো। এছাড়া আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাবা জীবনের শুরুতে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।

তিনি যে ভাবে জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য যুদ্ধ করছেন। তেমনি বাবার আদর্শ ধারন করে সারাজীবন আ’লীগের জন্য কাজ করবো। এক কথার প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের মা জননী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য জীবন দিতে আমরা প্রস্তুত।

ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের নেতৃত্বে কারা আসছেন, এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে সদ্য বিদায়ী কমিটির সহসভাপতি ইসমাইল হোসেন তপুর নাম আলোচনার শীর্ষে। বর্তমানে যাদের নাম আলোচনায় রয়েছে তাদের মধ্যে তপু এগিয়ে। ২৬ এপ্রিল সম্মেলন হলেও ঘোষণা হয়নি ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের নাম।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের পরেই একই সঙ্গে এ কমিটি ঘোষণা হবে। ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে তপু ছাড়াও আছেন সদ্য বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দীন আহমেদ।

এ ছাড়া সদ্য বিদায়ী সহসভাপতি মাজহারুল হক মাহফুজ, মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, ফারুক আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হাসান সম্রাট, সালমান খান প্রান্ত, সাগর মোল্লার নাম আছে আলোচনায়।

তেজগাঁও থানা ছাত্রলীগ সভাপতি হেলাল উদ্দীন, আদাবর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহাবুর রহমান, গুলশান থানার সভাপতি হামিদুর রহমান নূর, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক নুর রুখসান, পলিটেকনিক এর সভাপতি মেহেদী হাসানের নামও আছে বিবেচনায়।

তবে তপুর বিষয়ে আলোচনা বেশি। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরুহুম মো: শহিদুল্লাহ ৭৫ এর পরবতী ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মতলব উপজেলার। তপু বর্তমানে এলএলবি দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যায়নত। ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও নটরডোম কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা কলেজ থেকে মাস্টার্স হিসাববিজ্ঞান সমাপ্ত করেন। পরিবারের অন্য সদস্যরাও আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পড়াকালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তপু। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারবিরোধী আন্দোলনে তপু ছিলেন রাজপথে। এক এগারোর পর শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে ছিলেন সক্রিয়। আর আন্দোলন সংগ্রামের স্বীকৃতি স্বরূপ ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার রবিউল-রানা কমিটির সহ সভাপতির দায়িত্ব পান। এরপর সদ্য সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন।

তপুর একজন সমর্থক বলেন, ‘তপু ভাই ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। ছাত্রদের দাবি আদায়ে সব সময়ই মাঠে ছিলেন। রাজপথে তার ভূমিকা সব সময় প্রশংসিত হয়েছে। ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মেয়র প্রয়াত আনিসুল হকের পক্ষে হাজারিবাগ ও ধানমন্ডিতে দায়িত্ব পালন করেন। তপুর তার পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির কারণে নিজ সংগঠনে ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।

জানতে চাইলে ইসমাইল হোসেন তপু বলেন, ‘স্কুল জীবন থেকেই মুজিব আদর্শের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ি। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকাকালে সব আন্দোলনে ছিলাম। বর্তমান সরকারের সময়ও বিএনপি-জামায়াতের সব অপকর্মের বিরুদ্ধে রাজপথে ছিলাম। নেত্রী যদি আমাকে দায়িত্ব দেন, তাহলে আগামী ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগকে সবার সামনে একটি মডেল হিসাবে গড়ে তুলব।