joyদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ স্থগিত হওয়ায় চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। শুক্রবার সকালে নিজের ফেসবুকে দেয়া পোস্টে তিনি একথা জানিয়েছেন।

জয় লিখেছেন, উৎক্ষেপণের শেষ মুহূর্তগুলো কম্পিউটার দ্বারা সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। হিসেবে যদি একটুও এদিক-সেদিক পাওয়া যায়, তাহলে কম্পিউটার উৎক্ষেপণ থেকে বিরত থাকে।

তিনি বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) যেমন নির্ধারিত সময়ের ঠিক ৪২ সেকেন্ড আগে নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটার উৎক্ষেপণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। স্পেস এক্স সবকিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আগামীকাল (শনিবার) একই সময়ে আবারও আমাদের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বহনকারী রকেটটি উৎক্ষেপণের চেষ্টা চালাবে।

প্রধানমন্ত্রীর ছেলে বলেন, যেহেতু এই ধরনের বিষয়ে কোনো ঝুঁকি নেয়া যায় না, সেহেতু উৎক্ষেপণের মোক্ষম সময়ের জন্য অপেক্ষা করা খুবই সাধারণ বিষয়, চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।

শেষ মুহূর্তে এসে বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ স্থগিত করা হয়। তবে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দিনগত রাত ২টা ১৪ মিনিটে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

স্যাটেলাইন উৎক্ষেপণকারী মার্কিন প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, শেষ মিনিটে কিছু কারিগরি সমস্যার কারণে উৎক্ষেপণ স্থগিত রাখা হয়েছে। রকেট ও স্যাটেলাইট ভালো অবস্থায় আছে। আজ নির্ধারিত সময়ে উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি ফের শুরু হবে।

এর আগে গত ৪ মে উৎক্ষেপেণের কথা ছিল প্রায় ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ স্যাটেলাইটটি। কিন্তু, কারিগরি কারণে ৭ মে উৎক্ষেপেণের সিদ্ধান্ত হলেও পরে তা পিছিয়ে ১০ মে করা হয় এ মহাকাশ যাত্রার।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রজেক্ট নেয় সরকার। বিটিআরসি ২০১৫ সালের নভেম্বরে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট নির্মাণের জন্য ফ্রান্সের থালেস এলিনিয়া স্পেস ফ্যাসিলিটিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে।

এছাড়া স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের জন্য বাংলাদেশ ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে রাশিয়ার স্যাটেলাইট প্রতিষ্ঠান ‘ইন্টার স্পুটনিক’র কাছ থেকে ২ কোটি ৮০ লাখ ডলারে ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমায় (স্লট) কক্ষপথ স্লট কেনে। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য স্পেস এক্স’র ফেলকন-৯ লঞ্চার ব্যবহার করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও চুক্তি করে। এভাবেই নানা পথ পরিক্রমা শেষে স্যাটেলাইটটি এখন উৎক্ষেপণের অপেক্ষায় আছে।