ksrmচট্টগ্রাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ঘটনা চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, একসময়ের রক্তাক্ত জনপদ! না আজ কোন রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নয়। ইফতার আনতে গিয়ে পদদলিত হয়েই লাশ হলো অসহায় দরিদ্র ১০ নারী। তবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে আহত অনেকে।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ইফতার সামগ্রী নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে নিহতদের পরিবারকে তিন লাখ টাকা করে দেয়া হবে। সোমবার (১৪) বিকেলে ‘কেএসআরএম’ গ্রুপের পক্ষ থেকে এমনই ঘোষনা দেয়া হয়েছে।এছাড়া ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । তাতেই কী দ্বায়িত্ব শেষ ?

ঘটনার বিবরণে উঠে আসে,‘৩০-৪০ হাজার মানুষ ইফতার সামগ্রী নিতে ওই বাড়িতে ভিড় করেন। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও কক্সবাজার জেলা থেকে লোকজন সেখানে আসেন।’ পুলিশের ধারণা অব্যবস্থাপনার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয়দের প্রশ্ন ,তাহলে অব্যবস্থাপনার শাস্তি কেন হবে না? একটি মানুষের জীবনের মূল্য মাত্র ৩ লাখ টাকা ? তাদের প্রশ্ন এভাবে কেন ঘোষণা দেয়া হলো? আর মানুষের সংখ্যা যেহেতু বেড়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যাবস্থা কেন করা হলো না? তাদের দাবি শুধু জরিমানা নয়, যতাযথ ক্ষতিপূরণসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ইফতার সামগ্রী নিতে গিয়ে নিহতরা ১০ মহিলা পদদলিত হয়ে নিহত হয়,সাতকানিয়া সার্কেলের এসপি জাসানুজ্জামান মোল্লা বলেন,‘নিহতদের সবাই নারী। অতিরিক্ত ভিড়ে হিটস্ট্রোকে তাদের মৃত্যু হয়েছে।’

সোমবার দুপুরে সাতকানিয়ার নলুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গাটিয়াডাঙ্গা গ্রামে কেএসআরএম গ্রুপের পক্ষ থেকে ইফতারসামগ্রী বিতরণের সময় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন হাসিনা আক্তার (৩০), নূর আয়েশা (৫০), রিনা বেগম (২০), কুন্তুনী বেগম (১৩), রশিদা আক্তার (৫৪) ও জ্যোৎস্না বেগম (২৫)। হাসিনা আক্তার, রিনা বেগম, রশিদা আক্তারের বাড়ি সাতকানিয়ায়। নূর আয়েশা বান্দরবান জেলার সুয়ালক এলাকা থেকে এসেছিলেন। এ ছাড়া কুন্তুনী বেগম ও জ্যোৎস্না বেগমের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায়।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল আলম বলেন, ‘স্থানীয় এক ব্যক্তির যাকাত দেয়ার খবরে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কমপক্ষে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছেন। এর মধ্যে অনেকে গতরাত থেকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সকাল সকালে ওই ভিড় আরো ব্যাপক আকার ধারণ করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্তত ৯ জন নারীর মৃত্যুর খবর পাই।’

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ)এ কে এম এমরান ভূঁইয়া জানান,‘৩০-৪০ হাজার মানুষ ইফতার সামগ্রী নিতে ওই বাড়িতে ভিড় করেন। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও কক্সবাজার জেলা থেকে লোকজন সেখানে আসেন। অব্যবস্থাপনার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’