bnp-alig lagoদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: রমজানের শুরুতে এতিম শিশুদের জন্য প্রতিবছর বিএনপির ইফতার আয়োজন করে থাকে। এবারও প্রথম রোজায় রাজধানীর লেডিস ক্লাবে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগে সবসময় এ ইফতারের উপস্থিত থেকেছেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এবার কারারুদ্ধ থাকায় তিনি থাকতে পারছেন না।

দেশের রাজনীতিবিদদের সম্মানে বিএনপির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে শনিবার। এরই মধ্যে অনেকের কাছে এ ইফতারের আমন্ত্রণ পত্র পৌছে গেলেও আওয়ামী লীগের কোনো নেতা তা পাননি।

রাজনীতিকদের সম্মানে ইফতারে বরাবরই সব দলের প্রধান, সাধারণ সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদদের আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকে বিএনপি। আগের বছরগুলোতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সাধারণ সম্পাদককে ইফতার মাহফিলে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দলটি। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কখনোই আওয়ামী লীগের কোনো নেতা দলের পক্ষ থেকে ইফতারে যোগ দেননি।

বিএনপি এবারের ইফতারে আওয়ামী লীগ ও ১৪-দলের শরিকদের ছাড়া অন্য প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে । এবার বিএনপির আয়োজনে ইফতার মাহফিলে জন্য আমন্ত্রপত্রগুলোতে আয়োজক হিসেবে খালেদা জিয়ার পরিবর্তে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের নাম রয়েছে।

যদিও কয়েকটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান বাস করছেন লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে। বিএনপির ইফতার মাহফিলগুলোতে আতিথেয়তা করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, রাজনীতিবিদদের সম্মানে এবারের ইফতারে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের শরিকদের বাইরে আমন্ত্রণ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন,

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-রব) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। এ ছাড়া সিপিবিসহ বাম রাজনৈতিক দল ও ধর্মভিত্তিক দলগুলোকেও ইফতারে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, চলমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোটা অর্থহীন। তাছাড়া খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিএনপির প্রধান এখন তারেক রহমান।

তিনিই আমন্ত্রণ জানিয়ে পত্র দেবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তারেককে নিয়ে ক্ষমতাসীনদের মধ্যে যে ধরনের মনোভাব তাতে আমন্ত্রণ পাঠানোটা যৌক্তিক মনে করেনি বিএনপি। এ কারণে এবার আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানোর প্রযোজন মনে করছি অামরা।