Bergerজ্যৈষ্ঠ প্রতিনিধি, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের আর্থিক হিসাবে অসম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। যাতে প্রান্তিকগুলোর মোট হিসাবে গরমিল তৈরী হয়েছে। আর এই গরমিল তথ্যকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে কোম্পানির প্রোফাইলে প্রকাশ করা হয়েছে। উক্ত হিসাবকে ডিএসই কর্তৃপক্ষ ভুল হিসেবে ‘লাল’ চিহ্নিত করে রেখেছেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বার্জার পেইন্টস কর্তৃপক্ষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরের (এপ্রিল ১৭-মার্চ ১৮) প্রথম ৩টি প্রান্তিকের পৃথক আর্থিক হিসাবের মধ্যে ২য় প্রান্তিকের হিসাবে বিক্রয় ও নিট মুনাফার তথ্য প্রকাশ করেনি। যাতে কোম্পানিরই প্রদত্ত মোট ৩টি প্রান্তিকের যোগফল মিলছে না।

আর এই কারনে উক্ত হিসাবকে ডিএসই কর্তৃপক্ষ ভুল হিসেবে ‘লাল’ চিহ্নিত করে রেখেছেন। দেখা গেছে, বার্জার পেইন্টস কর্তৃপক্ষ ১ম প্রান্তিকে ও ৩য় প্রান্তিকে বিক্রয় ও নিট মুনাফার তথ্য প্রকাশ করলেও ২য় প্রান্তিকে করেনি।

যাতে ৬ মাসের ও ৯ মাসের মোট হিসাবের সঙ্গে যোগফলের সত্যতা নেই। এক্ষেত্রে কোম্পানি কর্তৃপক্ষই অসম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করায় এমনটি হয়েছে। আর এই হিসাবকেই ডিএসই কর্তৃপক্ষ ‘লাল’ চিহ্নিত করে রেখেছেন। কোম্পানিটির ২০১৭ সালে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৭৭.১০ টাকা। যার পরিমাণ আগের হয়েছিল ৮২.৯৮ টাকা।

এ হিসাবে ইপিএস কমেছে ৫.৮৮ টাকা বা ৭ শতাংশ। এর বিপরীতে আগের বছরের ১৫ মাসের (জানুয়ারি ১৬-মার্চ ১৭) ব্যবসায় ঘোষিত ৬০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ থেকে কমিয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ব্যবসায় ৩০০ শতাংশ (২০০% নগদ ও ১০০% বোনাস) লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

কোম্পানিটির পর্ষদ ৭৭.১০ টাকা ইপিএসের বিপরীতে ৩০০ শতাংশ হারে প্রতিটি শেয়ারে ৩০ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যা মুনাফার ৩৯ শতাংশ। বাকি ৬১ শতাংশ কোম্পানির রিজার্ভে যোগ হবে। কোম্পানিটির ২০১৭ সালে শেয়ারপ্রতি ৭৭.১০ টাকা হিসেবে মোট ১৭৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এরমধ্যে শেয়ারপ্রতি ২০০ শতাংশ বা ২০ টাকা নগদ হিসাবে শেয়ারহোল্ডারদের ৪৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হবে।

এছাড়া ১০০ শতাংশ বোনাস শেয়ার বা ১০ টাকা হিসাবে ২৩ কোটি ১৯ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হবে। আর বাকি ১০৯ কোটি ২২ লাখ টাকা রিজার্ভে যোগ হবে। ২৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের বার্জার পেইন্টসে ৫৪৭ কোটি ১৫ লাখ টাকার রিজার্ভ রয়েছে।