dse-cseদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে এক হাজার ৩৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা রিজার্ভে রয়েছে। ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য আপাতত এই টাকা বিনিয়োগের কোনো পরিকল্পনা নেই কোম্পানি দুটির। কৌশলগত বিনিয়োগকারী আসার পর ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এর আগে কিছু টাকা সেন্টার কাউন্টার পার্টি বাংলাদেশ নামে কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ডিএসই ও সিএসই সূত্র মতে, রিজার্ভে ডিএসইর ৮৯১ কোটি টাকা রয়েছে। গত বছর ছিল ১ হাজার ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ডিএসইর এই টাকা ১৯টি ব্যাংক ও এনবিএফআই এ এফডিআর হিসেবে রয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি ব্যাংক ও দুটি এর মধ্যে দুটি এনবিএফআই। এই এফডিআরের এভারেজ সুদের হার ৬ দশমিক ৫০ থেকে ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

রিজার্ভ কমার বিষয়ে ডিএসইর প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আব্দুল মতিন পাটোয়ারি বলেন, গত বছর লভ্যাংশ দেওয়ার জন্য এখান থেকে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। ফলে রিজার্ভ কিছুটা কমেছে।

page 1 (78)এ বিষয়ে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএএম মাজেদুর রহমান  বলেন, রিজার্ভের টাকা বিনিয়োগের জন্য কয়েকটি জায়গা নিয়ে ভাবছি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি আইটি কোম্পানি ছাড়াও অন্য কোনো জায়গায় বিনিয়োগে যেতে পারি কী না, সেই পরিকল্পনা আছে।

তবে কৌশলগত বিনিয়োগকারী পর্ষদে আসার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তবে এখান থেকে সিসিপিতে ভালো একটি বিনিয়োগ চলে যাবে। এদিকে দেশের দ্বিতীয় স্টক এক্সচেঞ্জ সিএসইর রিজার্ভ আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। সিএসইর রিজার্ভে রয়েছে ৫০৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। গত বছর এর পরিমাণ ছিল ৪৬৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অন্যদিকে সিএসইর সেটেলম্যান্ট গ্রান্টেট ফান্ডে রয়েছে আরও ৩০ কোটি টাকা।

এই ৩০ কোটি টাকা পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত আল-আরাফা ব্যাংকে আমানত হিসেবে রেখেছে সিএসই। অন্যদিকে রিজার্ভের ৫০৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা ৩৪টি ব্যাংক ও এনবিএফআইয়ে আমানত হিসেবে রেখেছে। এর মধ্যে ১৮টি ব্যাংক ১৬টি এনবিএফআই। এর মধ্যে ৪টি কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়। এদের সুদের হার ৬ থেকে ১১ শতাংশ পর্যন্ত।

এ বিষয়ে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণকে বলেন, কৌশলগত বিনিয়োগকারী আসার পরই রিজার্ভের টাকা বিনিয়োগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এর আগে সিসিপিতে কিছু টাকা বিনিয়োগ হবে।এদিকে বিনিয়োগকারীদের সেবা দিতে সেন্টার কাউন্টার পার্টি বাংলাদেশ নামে ক্লিয়ারিং হাউজ গঠন করা হবে। এতে ডিএসইর মালিকানা হবে ৪৫ শতাংশ।

এছাড়া সিএসইর ২০ শতাংশ, বিভিন্ন ব্যাংকের ১৫ শতাংশ ও কৌশলগত বিনিয়োগকারীর ১০ শতাংশ এবং সিডিবিএলের ১০ শতাংশ মালিকানা হবে। ৪৫ শতাংশ মালিকানায় ডিএসইর বিনিয়োগ হবে ১৩৫ কোটি টাকা এবং সিএসইর ২০ শতাংশ মালিকানায় ৬০ কোটি টাকার মতো বিনিয়োগ হবে।