dse-up-dowenদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে যে ভয়ংকর দরপতন হয়েছিল বর্তমান অবস্থা তার চেয়েও খারাপ বলে মনে করছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। তাই বাজার ভালো না হলে বিনিয়োগকারীরা লাগাতার আন্দোলনে যাবার হুমকি দিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।

বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আজ সংগঠনটির অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারী নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি এ.কে.এম. মিজান উর রশিদ চৌধুরী, সিনিয়র সভাপতি কাজী মো: নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল হক, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নুরুল হক হারুন, সাংগঠনিক সম্পাদক এ.কে.এম শাহাদাত উল্লাহ ফিরোজসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, টানা দরপতনের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, আইসিবি, মার্চেন্ট ব্যাংক, স্টেক হোল্ডারদের রহস্যজনক ভূমিকা ও বিনিয়োগকারীদের সাথে লাগাতা মিথ্যা আশ্বাস পুঁজিবাজারকে চরম ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে এবং নির্বাচনের বছরে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার একটি আত্মঘাতি ষড়যন্ত্র অব্যহত রয়েছে।

পরিস্থিতি এমন পর্যায় পৌছেছে যে, ২০১০ সালের ঐতিহাসিক ভয়ংকর পতনের চেয়েও বর্তমান শেয়ারবজার ভয়াবহ হুমকির মুখে রয়েছে। এই পবিত্র রমজান মাসেও রোজা রেখে বহু বিনিয়োগকারী পুঁজি হারিয়ে নি:স্ব হয়ে হতাশায় আত্মহত্যার মতো চরম মানসিক ঝুঁকিতে রয়েছে।

নির্বাচনের পূর্ব মূহুর্ত্বে এই গুরুত্বপূর্ণ সময় নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিএসইসি) শুধুমাত্র আইপিও বানিজ্য নিয়ে মজে আছে। তাই বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঘোষণা করছে যে, আগামীকাল রবিবার ৩ জুন থেকে ৭ জুন বৃহস্পতিবারের মধ্যে শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরিয়ে আনতে না পারলে বিএসইসির চেয়ারম্যানসহ পুরো কমিশন এবং ডিএসই’র এমডি ও চেয়ারম্যান এবং আইসিবির চেয়ারম্যান ও এমডির স্বেচ্ছায় পদত্যাগ দাবি করছি।

অন্যথায় আমরা সর্বস্তুরের বিনিয়োগকারীরা পুঁজি রক্ষা ও শেয়ারবাজার রক্ষার স্বার্থে পূর্বের ন্যায় দেশব্যাপী রাজপথে লাগাতার আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব এবং পাশাপাশি তাদের ব্যর্থতা ও দুর্নীতির দায়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সমূহের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও আমরা বাধ্য থাকিব।

নির্বাচনের পূর্ব মূহুর্ত্বে এ ধরণের দরপতনে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টে করছে বলে আমরা আবারও মনে করছি। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছে, তিনি যেন আগামী বাজেটে পুঁজিবাজারের দিকে বিশেষ নেক নজর প্রদান করেন এবং তিনি যেন প্রয়োজনে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট একজন মন্ত্রী নিয়োগ দান করেন।