ipoদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মুল পুঁজি শেষ হওয়ার পথে। দিন যতই যাচ্ছে লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে। টানা দরপতন পুঁজিবাজারে আসার তড়িঘড়ি করছে অন্তত ২৩ কোম্পানি। কোম্পানিগুলো ফিক্সড প্রাইস ও বুক-বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে বাজারে আসার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজার থেকে টাকা নিয়ে কোম্পানির উন্নয়ন, ঋণ পরিশোধ ও আইপিও বাবদ ব্যয় করবে।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতি ও ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে এসব কোম্পানি শেয়ারবাজার থেকে প্রায় এক হাজার ৭০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। কোম্পানিগুলো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আইপিও অনুমোদনের জন্য জমা দিয়েছে। বিএসইসির অনুমতি পাওয়ার পর কোম্পানিগুলো পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবে।

জানা যায়, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজারে জন্য অপেক্ষা করছে ১২ কোম্পানি। এই ১২ কোম্পানি বাজার থেকে মোট ১ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এছাড়া ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে পাইপলাইনে রয়েছে ১১ কোম্পানির আইপিও। এই ১১ কোম্পানি বাজার থেকে ৩০১ কোটি ২৯ লাখ টাকা উত্তোলন করবে।

এ ব্যাপারে বিএসইসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, প্রতিটি কোম্পানির আইপিও অনুমোদনের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। যেসব কোম্পানি বিএসইসির কমপ্লায়েন্স শতভাগ পূরণ করতে পারছে সেগুলোকেই ধারাবাহিকভাবে আইপিও’র জন্য অনুমোদন দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতি: অনেক আগেই বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওতে আসার অপেক্ষায় রয়েছে এসটিএস হোল্ডিংস (অ্যাপোলো হাসপাতাল) লিমিটেড। কোম্পানিটি বাজার থেকে ৭৫ কোটি টাকা টাকা উত্তোলন করবে। একই পদ্ধতিতে রানার অটোমোবাইলস ১০০ কোটি টাকা উত্তোলনের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস ৭০ কোটি টাকা, ডেল্টা হসপিটাল ৫০ কোটি টাকা, ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্টিজ ৪০ কোটি টাকা, শামসুল আলামিন রিয়েল স্টেট ৮০ কোটি টাকা টাকা,

এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন ১৫০ কোটি টাকা, এডিএন টেলিকম ৫৭ কোটি টাকা, লুব-রেফ বাংলাদেশ ১৫০ কোটি টাকা, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড ২২৫ কোটি টাকা, স্টার সিরামিকস ৬০ কোটি টাকা এবং মর্ডান ষ্টীল মিলস পুঁজিবাজার থেকে ২০০ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য রোড শো সম্পন্ন করেছে। উল্লেখিত কোম্পানিগুলোর ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতি:

এদিকে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে বা ফেসভ্যালু ১০ টাকায় বাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য ১২ কোম্পানি অপেক্ষা করছে। এর মধ্যে কাট্টালি টেক্সটাইল ৩৪ কোটি টাকা, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স ২৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস ৩০ কোটি টাকা, এমএল ডাইং ২০ কোটি টাকা, জেনেক্স ইনফোসিস ২০ কোটি টাকা, নিউ লাইন ক্লোথিং ৩০ কোটি টাকা,

সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস ৩০ কোটি টাকা, ইলেক্ট্রো ব্যাটারি কোম্পানি সাড়ে ২২ কোটি টাকা, এসএস স্টিল ২৫ কোটি টাকা, মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্স পয় মেন্যুফ্যাকচারিং ২৫ কোটি টাকা এবং দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স পুঁজিবাজার থেকে ১৬ কোটি টাকা উত্তোলনের অপেক্ষায় রয়েছে।