cse-mdদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারের সম্প্রসারন এবং উন্নয়নে প্রস্তাবিত বাজেটে কিছুই উপস্থাপিত হয়নি বলে দাবি করেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। রোববার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় বাজেট ২০১৮-১৯ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সিএসই’র পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়। তিনি বলেন, চলমান অস্থিরতা নিরশন এবং দুর্বলতা চিহ্নিত করে যথাযথ কৌশল প্রনোয়নের জন্য ব্যবস্থা গ্রহন প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে সিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, দেশের পুঁজিবাজার কাঠামোগত এবং আইনি সংস্কার অর্থমন্ত্রীর যুগ উপযোগী এবং দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।

বর্তমান পুঁজিবাজার অবকাঠামো দেশের বিকাশমান অর্থর্নৈতিক অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য সম্পূর্ণ রূাে প্রস্তুত। পুনগঠাত পুঁজিবাজার অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজে লাগাতে গেলে পুঁজিবাজার বিকাশের জন্য সঠিক কৌশল ও নীতাগত সহায়তা প্রয়োজন।

Page-01.eps-fতিনি বলেন, পুঁজিবাজারের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এবং যথাযথ সম্প্রসারণের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী পুঁজি সংগ্রহের জন্য একটি সঠিক কৌশল নির্ধারণ করা অতীব জরুরি। যা শুধুমাত্র পুঁজিবাজারের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে না, আর্থিক খাতেও একটি টেকসই স্থিতিশীলতা আনবে।

সাইফুর ররহমান বলেন, বর্তমানে দেশে লক্ষাধিক লিমিটেড কোম্পানি, কোম্পানি আইন অনুযায়ী নিবন্ধিত রয়েছে।

অর্থমন্ত্রীর ঘোষিত বাজেটে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচিত হয়ার সুযোগ রয়েছে দ্বি করে সিএসই-

১. সরকারী কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তকরণের জন্য সুস্পষ্ট তাগিদ এবং নির্দেশনা ।

২. বহুজাতিক কোম্পানিসমূহকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি নিশ্চিতকরণের জন্য যথাযথ আইনী সংস্কারকরণ।

৩. বন্ড মার্কেটসহ পুঁজিবাজারের এডভ্যান্স প্রডাক্ট সমূহ চালু করণের লক্ষ্যে কাঠামোগত সংস্কারকরণ।

৪. প্রাইভেট সেক্টরে বৈদেশিক ঋণ এবং সিন্ডিকেশন ফাইন্যান্সিং অনুমোদনের সময় পুজিবাজারে তালিকাভুক্তির শর্তারোপ।

৫. পুঁজিবাজার বিকাশের জন্য জাতীয় ভিত্তিক শক্তিশালী সমন্বয় কমিটি গঠন।

৬. ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক কোম্পানিসমুহের জন্য ২.৫% কর্পোরেট কর কামানোর সুবিধা সকল লিস্টেড কোম্পানির জন্য প্রদান করা।ক্রমান্বয়ে ভবিষ্যতে লিস্টেড এবং নন-লিস্টেড কোম্পানির কর্পোরেট কর হারের বাবধান বর্ধিতকরণের সুস্পষ্ট ঘোষোণা।

৭. লিস্টেড কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ আয় থেকে দ্বৈত কর রোহিতকরণ।

৮.পুঁজিবাজার অবকাঠামো টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে মানসম্মত এবং লাভজনক কর্পোরেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার জন্য যথাযত আইনি বাধ্যবাধকতা, রেগুলেটরি সমন্বয় এবং আর্থিক প্রণোদনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কৌশল প্রনয়ন।পুঁজিবাজারের মাধ্যমে ক্যাপিটাল মোবিলাইজেশনের স্বল্প ও মধ্যমেয়াদী সুস্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারন।

৯. পুজিবাজারের উন্নয়ন এর লক্ষ্যে এবং বিনিয়োগকারিসহ পুজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযোগি এবং কার্যকর ব্যবসায়িক মডেল ( Business Model) নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে স্বল্প মেয়াদি কৌশল হিসেবে লেনদেনের উপর ধার্যকত উৎসকর হ্রাসকরন এবং নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত করনের জন্য প্রণোদনা ঘোষণা।

১০. ক্যাপিটাল মার্কেট স্পেশাল প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইসিবি এর ভুমিকা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে-

•আইসিবিকে আর্থিককভাবে শক্তিশালী করা

•বিভিন্ন ব্যাংক কতক আইসিবিকে প্রদত্ত ফান্ড /ঋণ কে সিঙ্গেল এক্সপজার লিমিটে শিথিলিকরন

•ক্যাপিটাল মার্কেট সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগের বাইরে আইসিবিএর ভুমিকা সীমিতকরণ

১১. চিটাগং ষ্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন প্রক্রিয়ার সফল বাস্তবায়ন তথা স্টেটেজিক ইনভেষ্টর আন্তভুক্তকরনের স্বার্থে এক্সচেঞ্জ সমূহেকে পরবর্তী তিন বছর পর্যন্ত ১০০% কর অবকাশ সুবিধা বহাল করা।

১২. ব্যাংক এবং আর্থিক খাত পুজিবাজারের মার্কেট কাপিটালাইজেশন ৫০% এর ও অধিক। যার ফলে এই খাতের অস্থিরতা পুঁজিবাজারকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। এই খাতের চলমান অস্থিরতা নিরশন এবং দুর্বলতা চিহ্নিত করে যথাযথ কৌশল প্রনয়নের জন্য প্রয়োজনীয় বাবস্থা গ্রহন।