ligদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই সংগঠনটির নতুন কমিটির ঘোষণা হবে। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নতুন কমিটিও ঘোষণা করা হবে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানিয়েছেন।

দলীয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা বড় তালিকা জমা রয়েছে ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের। যেহেতু সম্মেলনের পর এক মাসেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে, তাই শুধু সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নয়, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রায় পূর্ণাঙ্গ নামের তালিকা ঘোষণা করা হবে। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদের ঘোষণা দেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের কাজ গুছিয়ে ফেলেছেন শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের বিষয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে বসবেন তিনি। এর পর যে কোনো সময় কমিটি ঘোষণা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর

কর্মসূচির তালিকা অনুযায়ী, আগামীকাল শনিবার গণভবনে তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তিনি। পরদিন রবিবার সকালে ঢাকা সফররত জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও রাতে নৈশভোজে ব্যস্ত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ নেতাদের ধারণা, এর পর শেখ হাসিনা সুবিধামতো সময়ে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করবেন।

তারা আরও জানান, গত এক মাসে রোজা, ঈদুল ফিতর, বাজেট প্রস্তুতিসহ নানা বিষয় নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী। তা ছাড়া তিনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের একদিন গণভবনে ডেকে সবার সঙ্গে মতবিনিময় করে আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দিতে চান। এর পর তিনি নতুন কমিটি ঘোষণা করবেন। মূলত এ কারণেই কমিটি ঘোষণায় এতদিন সময় লেগেছে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক শীর্ষ নেতা আবদুর রহমান  বলেন, ছাত্রলীগের সাংবিধানিক নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কারণে কমিটি করতে কাউন্সিলররা তার ওপর দায়িত্ব দিয়েছেন। যারা এবার নেতৃত্বে আসবেন, তাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন।

মূলত পারিবারিক রাজনৈতিক পরিচয়টাকেই একটা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন। আমার ধারণা, সেই কাজটি উনি প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছেন। হয়তো খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি কমিটি ঘোষণা করবেন।

গত ১১ মে সংগঠনটির ২৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এবারের সম্মেলনে প্রথমবারের মতো পুরনো রীতি নির্বাচনের পরিবর্তে সমঝোতার মাধ্যমে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।

কিন্তু ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে সমঝোতায় পৌঁছতে না পেরে কমিটি ঘোষণার দায়ভার দেন প্রধানমন্ত্রীকে। এর পর থেকেই কমিটির অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন নেতাকর্মীরা।