Dse-upদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজার নিয়ে আশা-নিরাশার দোলাচলে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। সরকারের পক্ষ থেকে স¤প্রতি ব্যাংক খাতকে বেশ কিছু সুবিধা দেয়া হয়েছে। বাজেটেও কর্পোরেট করে ছাড় দেয়া হয়েছে। এমনকি চলতি বছরের প্রথমার্ধে বেশিরভাগ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফাও বেড়েছে। কিন্তু এরপরও শেয়ারবাজারে ব্যাংকের শেয়ারে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে না।

শুধু ব্যাংক খাত নয়, সব খাতের অবস্থাই এখন নড়বড়ে। ফলে সূচকের হঠাৎ বড় উত্থান হচ্ছে আবার পরের কার্যদিবসেই বড় পতন হচ্ছে। এরই অংশহিসেবে আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ৮৩ পয়েন্টেরও বেশী পড়েছে। আর এমন ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে পুঁজি নিয়েও অস্বস্তিতে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

তারা বলছেন, বর্তমানে দেশের শেয়ারবাজারে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, এর মূল কারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা। বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীরা আস্থা ফিরে পাচ্ছেন না, যে কারণে বাজার অস্বাভাবিক আচরণ করছে। তবে অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করলে এখন বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই।

কেননা সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন সুবিধা দেয়া হয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদের হার কমেছে। এমন পরিস্থিতিতে তো স্বাভাবিকভাবেই বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবতা কাটিয়ে উল্টো আচরণ করছে বাজার। এমন অবস্থা চলতে থাকলে পুঁজি রক্ষা করার কোনো পথ থাকবে না।

একাধিক বিনিয়োগকারীরা বলছেন, বাজারে মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ার দর নড়াচড়া করছে না। অথচ হঠাৎ করে কিছু দুর্বল কোম্পানির শেয়ার দর টানা বাড়ছে। এতে বোঝা যাচ্ছে বাজার নিয়ে একটি গ্রæপ খেলা করছে। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে এই খেলোয়ারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এতে কারসাজি চক্র ঠিকই মুনাফা তুলে নিচ্ছে, আর ধরা খাচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এ অবস্থা চলতে থাকলে বাজারের ওপর কিছুইতে আস্থা ধরে রাখা সম্ভব না।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বাজার কিছুদিন বেশ ভালো ছিল। এরপর দর সংশোধন হতেই পারে। কিন্তু সংশোধনের বদলে বাজারের যে আচরণ তা মোটেও সন্তোষজনক নয়। এটা দেখে বোঝা যায় বাজারে তারল্য সংকট চলছে। এটা দূর করতে না পারলে বাজার পরিস্থিতি খুব একটা ভালো হবে না।

তবে এই পরিস্থিতিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের উচিত ভালো কোম্পানির শেয়ার কেনা। তাদের অবশ্যই মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ার কিনতে হবে। গুজবে এই কোম্পানি, ওই কোম্পানির শেয়ার কেনা ঠিক হবে না। আর মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ার কিনে হুটহাট বিক্রি না করে ধরে রাখতে হবে বলেও পরামর্শ দিয়েছেন তারা।