keya_EDদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভূ্ক্ত কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। এ কারণে কেয়া কসমেটিকসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরই মধ্যে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিএসইসির এনফোর্সমেন্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান বলেন, কমিশনের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে কেয়া কসমেটিকস দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ করেনি। তাই কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এনফোর্সমেন্ট বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বিএসইসির নির্দেশনা ও স্টক এক্সচেঞ্জের লিস্টিং রেগুলেশন অনুসারে, জীবন বীমা কোম্পানি ছাড়া অন্য খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রথম প্রান্তিক শেষ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিক শেষ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের নিয়ম রয়েছে। এর ব্যত্যয় হলে নির্ধারিত সময়ের পর প্রতিদিনের জন্য ৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপের বিধান রয়েছে।

কেয়া কসমেটিকসের দ্বিতীয় প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর) শেষ হয়েছে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর আর তৃতীয় প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ) শেষ হয়েছে চলতি বছরের ৩১ মার্চ। দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষ হওয়ার ছয় মাস এবং তৃতীয় প্রান্তিক শেষ হওয়ার তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি কোম্পানিটি।

উল্লেখ্য, এর আগেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে কেয়া কসমেটিকস। গত ২০১৫-১৬ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রকাশের বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিক শেষ হওয়ার প্রায় ১২০ দিন পর ২০১৬ সালের ১৬ মার্চ আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেসময়ও আইন ভঙ্গের কারণে কেয়া কসমেটিকসকে কারণ দর্শানোর পাশাপাশি কমিশনের শুনানিতে উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল।

তবে ২০১৫ সালে কেয়া কসমেটিকসের সঙ্গে কেয়া নিট কম্পোজিট, কেয়া কটন মিলস ও কেয়া স্পিনিং মিলসকে একীভূতকরণ-পরবর্তী চার কোম্পানির সমন্বিত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করার কারণে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশে বিলম্ব হয়েছে বলে কারণ দেখিয়েছিল কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। কমিশনের পক্ষ থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ না করে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের কারণে তাদেরকে সতর্ক করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে আইন মেনে চলার নির্দেশ দিয়ে বিষয়টির নিষ্পত্তি করা হয়।

২০০১ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত কেয়া কসমেটিকসের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ৫০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ২ কোটি ১১ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৮০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে বর্তমানে উদ্যোক্তা-পরিচালক ৪৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ৮ দশমিক ১৩ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে বাকি ৪৩ দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার।