Foreign-Investmentদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৬৩ কোম্পানিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার রয়েছে। দেশের ভবিষ্যত রাজনৈতিক পরিস্থতি এবং বৈদেশিম মুদ্রার দর বৃদ্ধির কারণে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সেল প্রেসার বেড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিদায়ী জুন মাসেও ১৭ কোম্পানিতে ছিলো বিদেশিদের অত্যধিক সেল প্রেসার। আর এই সেল প্রেসারের কারণে এসব কোম্পানিতে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণও কমে গেছে।

কোম্পানিগুলো হলো: এবি ব্যাংক, একমি ল্যাবরেটরিজ, অ্যাপোলো ইষ্পাত, বিডি থাই অ্যালমুনিয়াম, বার্জার পেইন্টস, বেক্সিমকো লিমিটেড, এনভয় টেক্সটাইল, জিএসপি ফাইন্যান্স, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক, রেনেটা, অলিম্পিক ইন্ডাষ্ট্রিজ, বেক্সিমকো ফার্মা, বিএসআরএম লিমিটেড, গ্রামীন ফোন এবং লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড।

পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত কোম্পানিতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত ডিএসইর সর্বশেষ বিবরণী থেকে জানা যায়, এবি ব্যাংকের গত মে মাসে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ ছিলো ১.৭০ শতাংশ। সেটি গত জুন মাসে দাঁড়িয়েছে ১.৫৬ শতাংশ। অর্থাৎ এ কোম্পানিতে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ কমেছে ০.১৪ শতাংশ।

একমি ল্যাবরেটরিজের গত মে মাসে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ ছিলো ২.৭৩ শতাংশ। সেটি গত জুন মাসে দাঁড়িয়েছে ২.৬৮ শতাংশ। অর্থাৎ এ কোম্পানিতে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ কমেছে ০.০৫ শতাংশ।

অ্যাপোলো ইষ্পাতের গত মে মাসে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ ছিলো ০.৮১ শতাংশ। সেটি গত জুন মাসে দাঁড়িয়েছে ০.৭১ শতাংশ। অর্থাৎ এ কোম্পানিতে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ কমেছে ০.১০ শতাংশ।

বিডি থাই অ্যালমুনিয়ামের গত মে মাসে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ ছিলো ১.১৫ শতাংশ। সেটি গত জুন মাসে দাঁড়িয়েছে ১.০৫ শতাংশ। অর্থাৎ এ কোম্পানিতে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ কমেছে ০.১০ শতাংশ।

বার্জার পেইন্টসের গত মে মাসে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ ছিলো ২.১০ শতাংশ। সেটি গত জুন মাসে দাঁড়িয়েছে ১.৮০ শতাংশ। অর্থাৎ এ কোম্পানিতে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ কমেছে ০.৩০ শতাংশ।

বেক্সিমকো লিমিটেডের গত মে মাসে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ ছিলো ৮.৯১ শতাংশ। সেটি গত জুন মাসে দাঁড়িয়েছে ৮.৮০ শতাংশ। অর্থাৎ এ কোম্পানিতে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ কমেছে ০.১১ শতাংশ।

এনভয় টেক্সটাইলের গত মে মাসে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ ছিলো ২.১৮ শতাংশ। সেটি গত জুন মাসে দাঁড়িয়েছে ১.৮১ শতাংশ। অর্থাৎ এ কোম্পানিতে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ কমেছে ০.৩৭ শতাংশ।

জিএসপি ফাইন্যান্সের গত মে মাসে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ ছিলো ৮.০৯ শতাংশ। সেটি গত জুন মাসে দাঁড়িয়েছে ৭.৯৪ শতাংশ। অর্থাৎ এ কোম্পানিতে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ কমেছে ০.১৫ শতাংশ।

আইপিডিসি ফাইন্যান্সের গত মে মাসে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ ছিলো ০.২৭ শতাংশ। সেটি গত জুন মাসে দাঁড়িয়েছে ০.১৮ শতাংশ। অর্থাৎ এ কোম্পানিতে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ কমেছে ০.০৯ শতাংশ।

ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের গত মে মাসে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ ছিলো ৬.৭১ শতাংশ। সেটি গত জুন মাসে দাঁড়িয়েছে ৬.৬২ শতাংশ। অর্থাৎ এ কোম্পানিতে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ কমেছে ০.০৯ শতাংশ।

প্রাইম ব্যাংকের গত মে মাসে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ ছিলো ৩.৮৯ শতাংশ। সেটি গত জুন মাসে দাঁড়িয়েছে ৩.৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ এ কোম্পানিতে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ কমেছে ০.১৩ শতাংশ।

রেনেটা লিমিটেডের গত মে মাসে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ ছিলো ২২.৩৮ শতাংশ। সেটি গত জুন মাসে দাঁড়িয়েছে ২২.০৩ শতাংশ। অর্থাৎ এ কোম্পানিতে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ কমেছে ০.৩৫ শতাংশ।

অলিম্পিক ইন্ডাষ্ট্রিজের গত মে মাসে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ ছিলো ৪৪.৩৫ শতাংশ। সেটি গত জুন মাসে দাঁড়িয়েছে ৪৪.১৬ শতাংশ। অর্থাৎ এ কোম্পানিতে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ কমেছে ০.১৯ শতাংশ।

বেক্সিমকো ফার্মার গত মে মাসে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ ছিলো ৪১.১৪ শতাংশ। সেটি গত জুন মাসে দাঁড়িয়েছে ৪১.১১ শতাংশ। অর্থাৎ এ কোম্পানিতে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ কমেছে ০.০৩ শতাংশ।

বিএসআরএম লিমিটেডের গত মে মাসে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ ছিলো ২২.৩১ শতাংশ। সেটি গত জুন মাসে দাঁড়িয়েছে ২১.২৯ শতাংশ। অর্থাৎ এ কোম্পানিতে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ কমেছে ১.০২ শতাংশ।

গ্রামীন ফোনের গত মে মাসে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ ছিলো ৩.৮২ শতাংশ। সেটি গত জুন মাসে দাঁড়িয়েছে ৩.৫৯ শতাংশ। অর্থাৎ এ কোম্পানিতে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ কমেছে ০.২৩ শতাংশ।

লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের গত মে মাসে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ ছিলো ১.৭২ শতাংশ। সেটি গত জুন মাসে দাঁড়িয়েছে ১.৭১ শতাংশ। অর্থাৎ এ কোম্পানিতে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ কমেছে ০.০১ শতাংশ।